ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ॥ মুক্তিযোদ্ধা ২-০ ফেনী সকার

শেষ মুহূর্তের গোলে মুক্তিযোদ্ধার জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২১ অক্টোবর ২০১৬

শেষ মুহূর্তের গোলে মুক্তিযোদ্ধার জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেভাবে খেলাটি চলছিল, তাতে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচটি পর্যবসিত হতে যাচ্ছে নিষ্প্রাণ ড্রয়ে। কিন্তু তখনই ভেল্কি দেখাল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। শেষ নয় মিনিটের মধ্যে একে একে তারা ফেনী সকার ক্লাবের জালে বল জড়িয়ে দিল দু’বার। এই জোড়া ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি সকার ক্লাব। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ’ তাদের হার মানতে হয় ০-২ গোলে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলায় জিতে (পঞ্চম জয়) ১১ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট দাঁড়াল ১৮তে। তবে এখনও তারা রয়ে গেছে পয়েন্ট টেবিলের আগের পঞ্চম স্থানেই। অপরদিকে সমান খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে (ষষ্ঠ হার) আগের নবম স্থানেই রয়ে গেল সকার ক্লাব। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু জাভেদ খানের ডান পায়ের শট জড়ায়নি জালে। ১১ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মুক্তিযোদ্ধা। শট নেন মোবারক, বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ৩৬ মিনিটে সকার ক্লাবের মোরো মোহাম্মদ বক্স লাইন থেকে যে কৌণিক ভলি নেন, তা অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। ৪১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সকার ক্লাবের পারভেজের বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন শাকিল। দ্বিতীয়ার্ধেও সমানতালে খেলতে থাকে দু’দল। ৫২ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ে শট নেন মুক্তির মোবারক। বল চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। ৫৪ মিনিটে মোবারকের কর্নার বক্সে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মুক্তিযোদ্ধার একাধিক ফুটবলার। ৮৪ মিনিটে বক্সে ফাউলের সুবাদে পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা। তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি মিডফিল্ডার সোহেল রানা, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠেও বল আটকাতে পারেননি (১-০)। ৮৮ মিনিটে বক্সে ঢুকে তীব্র শট নেন সকারের চৌমরিন রাখাইন। কিন্তু তার নেয়া শট মুক্তির গোলরক্ষক মোঃ নাঈম ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে শট নেন ইকবাল হোসেন। এবারও দারুণ তৎপরতায় বল বিপদমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক। ৮৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে প্রায় ফাঁকা সকার ক্লাবের অর্ধে ঢুকে পড়েন আহমেদ কোলো মুসা। তার পেছন পেছন ছুটতে থাকেন সকার ক্লাবের দুই ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত মুসার কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে সক্ষম হন তারা। ইনজুরি টাইমে (৯৩ মিনিটে) গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়ে যান মুক্তিযোদ্ধার নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার সাইমন ইজেওদিকা। মাথা ঠা-া রেখেই বল জালে পাঠাতে কোন ভুল হয়নি সাইমনের (২-০)। খেলা শেষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট প্রাপ্তির আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবদুল কাইউম সেন্টুর শিষ্যরা।
×