ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যান পার্সির আক্ষেপ...

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২১ অক্টোবর ২০১৬

ভ্যান পার্সির আক্ষেপ...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছরেই ইংল্যান্ড ছেড়ে তুরস্কে পাড়ি দিয়েছেন রবিন ভ্যান পার্সি। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচে যোগ দেন তিনি। তবে হল্যান্ডের এই তারকা ফুটবলারের আক্ষেপ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে স্যার এ্যালেক্স ফার্গুসন থাকলে তাকে হয়তো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছাড়তে হতো না। এ প্রসঙ্গে ৩৩ বছর বয়সী এই ডাচ স্ট্রাইকার বলেন, ‘এটা হতে পারতো যে, আমি আজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় থাকতাম। আমি যখন চুক্তি স্বাক্ষর করি তখন এমনটাই মনে হয়েছিল যে, স্যার এ্যালেক্স সম্ভবত আরও কিছু বছর বেশি থাকবেন। কিন্তু ফুটবলে বিষয়গুলোর পরিবর্তন হয়। এখানে আপনি কখনই নিজের কিংবা কোচের পথে চলতে পারবেন না। ফুটবলে এসব বিষয়ের পরিবর্তন হয়। কখনও কখনও ইতিবাচকভাবে আবার কখনও নেতিবাচকভাবে। এই পৃথিবীতে বিষয়গুলোকে আপনার সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যে, যেভাবে হয়েছে আপনাকে ঠিক তাই মেনে নিতে হবে।’ মূলত ইনজুরিতে থাকার কারণে ম্যানইউর হয়ে শেষ মৌসুমটি ভাল কাটেনি পার্সির। আর সে সময় স্বদেশী কোচ ভ্যান গালও তার প্রতি ততটা আগ্রহ প্রকাশ করেননি। যে কারণেই নতুন ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেক্ষত্রে তুরস্কের ক্লাবটিকেই বেছে নেন পার্সি। তবে নতুন ঠিকানায় দারুণ উপভোগ করছেন ডাচ স্ট্রাইকার। ফেনারবাচের হয়ে ৩৫ ম্যাচ খেলেই প্রতিপক্ষের জালে ১৭ বার বল জড়িয়েছেন রবিন ভ্যান পার্সি। তুরস্কের এই ক্লাবটির সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে তার। ফেনারবাচ থেকে ডাচ এই তারকা সপ্তাহে ২ লাখ ৪০ হাজার ইউরো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তবে বৃহস্পতিবার নিজের সেই প্রিয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরেন পার্সি। উয়েফা ইউরোপা লীগের ম্যাচে যে ফেনারবাচকে স্বাগত জানায় তারই সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ডাচ তারকা অতীত নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। বরং এখন তার ভাবনা শুধুই ফেনারবাচকে নিয়ে। এ প্রসঙ্গে ছয় ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার এই তারকা ফুটবলার বলেন, ‘আমার এখন ফেনারবাচকে নিয়েই চেষ্টা করতে হবে এবং নিজের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। আমিও সবটুকু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।’ অথচ পার্সির বাবা বব ভাস্কর আর মা হোসে রাজ চিত্রশিল্পী। তাই দু’জনই চেয়েছিলেন ছেলে রবিনকেও শিল্পী বানাতে। ভ্যান পার্সি শিল্পী হয়েছেন ঠিকই, তবে রং-তুলির নয়, ফুটবলের। ক্যানভাসের বদলে মাঠের সবুজেই রং ছড়াতে ভালবাসেন এই ডাচ ফরোয়ার্ড। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি যোগ দেন ফেইনুর্ডের যুব দলে। পরের বছরই ডাচ ক্লাবটির মূল দলের জার্সি পরার সুযোগ পান তিনি। প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত! অভিষেকেই ডাচ ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছিল পার্সির হাতে। কিন্তু কোচ বার্ট ভ্যান মারউইকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় পরের বছর তার ঠিকানা হয় সাইড বেঞ্চে। ঠিক তখনই আর্সেনালের অভিজ্ঞ কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের তীক্ষè চোখ খুঁজে পায় তাকে। আর্সেনাল তখন ডেনিস বার্গক্যাম্পের যোগ্য উত্তরসূরি খোঁজায় ব্যস্ত। পার্সিও খুঁজছিলেন নতুন ক্লাব। তাই গানারদের দলে যোগ দিতে সমস্যা হয়নি। ২০০৪ সালে তার সঙ্গে আর্সেনালের প্রথম চুক্তিটা ছিল চার বছরের। ২০০৮ সালে চুক্তিটা নবায়ন করে উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি। এ্যামিরেটস স্টেডিয়াম থেকে ২০১২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নতুন করে ঠিকানা গড়েন তিনি।
×