ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় ওসির প্রভাব ॥ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২১ অক্টোবর ২০১৬

ভোলায় ওসির প্রভাব ॥ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২০ অক্টোবর ॥ চরফ্যাশনে কোটি টাকার সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে এক প্রবাসী গ্রুপ ও বরিশাল থানার ওসি আওলাদ হোসেন মামুন গ্রুপ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। দুই গ্রুপ ওই জমির মালিক দাবি করে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওসি আওলাদ হোসেন মামুনের বাবা শাহ মোঃ শাজাহান লিখিত বক্তব্যে বলেন, চরফ্যাশনের প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম আমির হোসেন গংদের কাছ থেকে জিন্নাগড় মৌজায় ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই দলিলে আমির হোসেন গং ৩৮১৯ নং দাগ উল্লেখ করেছে। অথচ ওই জমির পূর্বের মালিক শামসুর নাহার ৩৮১৯ দাগের জমির আমির হোসেন গং এর কাছে বিক্রি করেনি। তাই ওই জমিতে আমির হোসেন গংয়ের কোন মালিকানা সত্ত নেই। পরবর্তীতে ভূমি অফিসকে ভুল বুঝিয়ে অনৈতিকভাবে উক্ত জমি সিরাজুল ইসলামের নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে তারা রিভিউ আবেদন করলে ওই জমির উপর এক রিক্সাওয়ালাকে দখল দেখিয়ে তাদের আবেদন খারিজ করা হয়। খারিজের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। শাহ মোঃ শাজাহান আরও বলেন, তার সন্তান বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি আওলাদ হোসেন মামুনের বিরুদ্ধে পুলিশী প্রভাব খাটানোসহ আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য প্রতিপক্ষ সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেছেন। গত ৪ মাসে তার ছেলে বাড়ি আসেনি। তার ছেলের ব্যাপারে চরফ্যাশনে প্রভাব বিস্তারের কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তিনি আর তার ছেলের সুনাম ক্ষুণœ করার বিচার দাবি করেছেন। অপর দিকে বুধবার প্রতিপক্ষ প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের পক্ষে তার ছোট ভাই জসিম উদ্দিন সাংবাদ সম্মেলনে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় মৌজার এসএ ১৪৮ নং খতিয়ানের ৫টি দাগে ২০ শতাংশ জমি প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর তৈরি করতে গেলে ওসি আওলাদ হোসেন মামুুনের প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ দিয়ে তার ভাই হারুন কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানা, ভূমি অফিস, পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন দফতরে ওই জমিতে ওসি মামুন গংয়ের মালিকানা নেই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সকলের সিদ্ধান্ত মামুন গং অমান্য করে গত কয়েক দিন আগে রাতের আঁধারে বালু ফেলে ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। জসিম উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ওসি আওলাদ হোসেন মামুন অন্যায়ভাবে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে তাদের লোকজনকে একাধিকবার মারধর করে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
×