ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আর এম দেবনাথ

চীনা প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক প্রধানের ঢাকা সফর ও ইকোনমিস্টের প্রশংসা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২১ অক্টোবর ২০১৬

চীনা প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক প্রধানের ঢাকা সফর ও ইকোনমিস্টের প্রশংসা

গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুটো অভাবনীয় ঘটনা ঘটে গেল। বিশ্বের দুই নম্বর অর্থনীতির দেশ চীনের মহাশক্তিধর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফর করে গেলেন। তার পরপরই ঢাকা সফরে এলেন শক্তিশালী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। প্রথমজন এসেছিলেন অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস ও অঙ্গীকার করতে, আর দ্বিতীয়জন এসেছিলেন দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর ছিল দ্বিতীয়বারের মতো, প্রথমবার তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঢাকা এসেছিলেন ২০১০ সালে। তার পরবর্তী সাত বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটে গেছে। শি তা দেখে গেলেন। এর পূর্বে তিনি গিয়েছিলেন কম্বোডিয়া। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের অবস্থানকে কম্বোডিয়া দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। এরপর ঢাকায় দুদিনের সফর থেকে তিনি যান ভারতের গোয়ায়। সেখানে ছিল ‘ব্রিকস’ (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকা) সম্মেলন এবং এর আউটরিচ হিসেবে ছিল ‘বিমসটেক’ শীর্ষ সম্মেলন। ‘বিমসটেক’ (বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ইন্ডিয়া) সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোঝাই যাচ্ছে গত সপ্তাহটি ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন : এসব সফর ও শীর্ষ সম্মেলন শেষে আমরা কী পেলাম? গোয়ায় অনুষ্ঠিত ‘ব্রিকস’ ও ‘বিমসটেক’ সম্মেলনকে আলাদা বিষয় করা যায়। আপাতত বিষয় : চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে আমাদের প্রাপ্তি কী এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সফরেইবা আমাদের প্রাপ্তি কী? প্রথমেই বলে রাখা ভাল, চীন এতদিন ছিল আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার। গত দশ বছর যাবত চীন হচ্ছে আমাদের আমদানির এক নম্বর উৎস। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চীন থেকে আমাদের আমদানির পরিমাণ ছিল ৯৬৪ কোটি ডলার। আর আমাদের রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৮০৮ মিলিয়ন ডলার। এমন একটা বৈরী বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে চীন এবারই প্রথম বাংলাদেশে বিনিয়োগের দিকে পা বাড়াল। তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, চীন ১৯৭৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে সেইস্থলে শি জিনপিংয়ের দুইদিনের সফরে মোট চুক্তি ও সমঝোতা হয় ৩৮ বিলিয়ন ডলারের। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দিয়েছে মাত্র ১৯ বিলিয়ন ডলার (এক বিলিয়ন সমান শত কোটি)। এই তুলনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, আমাদের জন্য এটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো ঘটনা। চীনের সঙ্গে সর্বমোট ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিশ্রুত হচ্ছে ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ও চীনের ১৩টি কোম্পানি আলাদাভাবে তেরোটি যৌথ উদ্যোগের সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োজিত হওয়ার কথা ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে চীনের প্রতিশ্রুত সাহায্য ও সহায়তার পরিমাণ যেমন বিশাল, তেমনি এসব সহযোগিতার ক্ষেত্র সর্বত্র বিস্তৃত। জ্বালানি, বিদ্যুত, রেল, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা, ওভারপাস, ওভার ব্রিজ, নদীর তলদেশে টানেল, অবকাঠামো, সার কারখানা, পায়রা বন্দর থেকে সবই আছে এসব চুক্তি ও সমঝোতা চুক্তির মধ্যে। অর্থনৈতিক সহযোগিতায় চীনের বর্তমান প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে। বাংলাদেশ চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ (ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড) এই ড্রিম প্রজেক্টে যোগদান করবে বলে রাজি হয়েছে। ভারত বাদে এই অঞ্চলের অনেক দেশই চীনের এই প্রজেক্টে যোগদান করবে বলে জানা যাচ্ছে। চীন চায় পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার নিবিড় যোগাযোগ, যার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত পৌঁছা যাবে ইউরোপে। এই ব্যবসায়িক বা ট্রেড রুট করার জন্য চীন মরিয়া। তাকে এরা নাম দিয়েছে সিল্ক রুট, যা দুই হাজার বছর পূর্বে ছিল। চীন এই রুটের কথা বলে আসছিল অনেকদিন থেকে। এখন বলছে জোরালোভাবে। দেখা যাচ্ছে প্রায় তিন দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে তা বাংলাদেশের হারের চেয়েও কম। চীনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা কুঋণের ভারে জর্জরিত। বহু মিল, কল-কারখানা বন্ধ। লাখ লাখ শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে। শ্রমের মূল্য অতিরিক্ত হওয়ায় চীনের শিল্প এখন ‘রোবট’ ব্যবহারের দিকে ধাবিত হয়েছে। যে চীন রফতানি করে উন্নতি করেছে সেই চীন অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রশ্নের সম্মুখীন। এই নীতিতে ধনী দেশগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত, যার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী অসহনীয় বৈষম্য তৈরি করেছে। এমতাবস্থায় চীনের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এর জন্য শুধু মার্কিন ও ইসরাইলীয় বাজার নয়, চীনের এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারও দরকার। এই দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দরকার। বোঝাই যায় চীনের যখন সত্যি সত্যি রমরমা অবস্থা তখন কিন্তু চীন ৪০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ঢাকায় আসেনি, এসেছে অর্থনৈতিক মন্দারকালে। এদিকে আমাদেরও দরকার টাকা, টাকা বিনিয়োগের জন্য। আশার কথা দুই দেশের স্বার্থের একটা যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে। চীন বুঝতে পেরেছে শুধু বাণিজ্যিক সম্পর্ক করে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে না। আমি মনে করি বর্তমান চীনা উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক। এবার প্রশ্ন অন্যত্র। চীনা সাহায্যের ও সহায়তার পরিমাণ বিপুল- এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এত বিপুল পরিমাণ প্রকল্প সহায়তা ‘হ্যান্ডেল’ করার ক্ষমতা আমাদের আছে তো? চুক্তি ও সমঝোতার অধীন প্রকল্পের অনেকগুলোই বড় বড় প্রকল্প। এমনিতেই আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের সাফল্য প্রশ্নাতীত নয়। তার ওপর মেগা প্রজেক্টের নতুন দায়িত্ব। এখানে সক্ষমতার প্রশ্নটি জড়িত। দ্বিতীয়ত. যে চুক্তি ও সমঝোতাগুলো সই হয়েছে সেগুলোর শর্তাদি নিরূপণ করতে হবে। সুদের হার, গ্রেইস পরিয়ড, পরিশোধের সময়সীমা, সার্ভিস চার্জ, কমিটমেন্ট চার্জ, মাল সংগ্রহের স্বাধীনতা, পরামর্শক নিয়োগ, দেশীয় শ্রমিক ও কলাকুশলী নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় চূড়ান্ত করার আছে। এগুলো জটিল কাজ। এতে দরকার ‘নেগোশিয়েটিং স্কিল।’ কাজ করতে করতে যদিও কিছু দক্ষতা আমরা অর্জন করেছি; কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। এমতাবস্থায় আগামী দিনে এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে চীনা সাহায্যের বাস্তবায়ন। আশা করি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর এসব কথা মনে আছে। এক্ষেত্রেই কেউ কেউ বলতে চান আমাদের দুটো বড় অর্থনীতির মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করতে হবে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান চীন ও ভারতের মধ্যস্থলে। এটা বিশাল একটা সুবিধা। চীনের মাল ভারতে যাবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে, আবার ভারতের মাল চীনে যাবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে। এসবের মধ্যে আছে ‘কানেকটিভিটির’ প্রশ্ন, যা খুবই আলোচিত বিষয়। তবে এর মধ্যেই রয়েছে ভারসাম্য রক্ষা করার দায়িত্ব, যা খুবই কঠিন। ভারসাম্য শুধু এসব দেশের সঙ্গেই নয়। পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের কিছুই দেয় নাÑ এ কথাটা কিন্তু সত্য নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহ এবং যুক্তরাজ্য আমাদের পোশাক রফতানির গন্তব্যস্থল। এসব দেশে ৮৫ শতাংশ পোশাক রফতানি হয়। বড় একটা শক্তি এটা। বস্তুত অর্থনীতির দুই স্তম্ভের একটা। এছাড়া আরও তথ্য আছে। একটি নিবন্ধে খুবই অনুধাবনযোগ্য তথ্য দেখলাম। কূটনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সবাই মিলে যে অর্থনৈতিক শক্তি হয় তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকার যৌথ জিডিপির পরিমাণ ২০১৫ সালে ছিল ১৬ লাখ ৩৫ হাজার কোটি ডলার। এর বিপরীতে ওই সালে একা যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৯৪ হাজার কোটি ডলার। এর সঙ্গে জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের জিডিপি যোগ করলে কী দাঁড়ায় তা সহজেই অনুমেয়। অতএব বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারসাম্য নীতি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ধারণা বর্তমান সরকার এসব ভেবে-চিন্তেই এগোচ্ছে। এবার আসা যাক বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর উপলক্ষে। তার এই সফর দুটো দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত জিম ইয়ং কিমের এই সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছিল তার ইতি ঘটবে বলেই আমি মনে করি। এক্ষেত্রে দেশীয় যে ‘নটবরেরা’ উস্কানিদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তারা আশা করি এখন থেকে ক্ষান্ত হবেন। দ্বিতীয়ত, দেখা যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক পুরনো সম্পর্কেই আবার ফিরে যাচ্ছে। পুরনো প্রকল্পগুলো তো চলবেই, এবারের সফরে বিশ্বব্যাংক প্রধান নতুন করে আরও দুই বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে বাংলাদেশের স্বীকৃতি। বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর দারিদ্র্য নির্মূলে যেসব দেশ সফল হয় সেসব দেশে একটি দিবস পালন করে। সেই দিবসটির নাম ‘বিশ্ব দারিদ্র্য নির্মূল দিবস।’ এবার তা পালিত হয়েছে বাংলাদেশে। ১৭ অক্টোবরে। দারিদ্র্য নির্মূলে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আমাদের সম্মান জানাতে ঢাকায় এসেছেন। ঢাকায় একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চালু একটি প্রকল্প দেখতে তিনি বরিশাল গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এসব আমাদের জন্য খুবই ভাল খবর। ভাল খবর তো বটেই। বিশ্বব্যাংক তো খামোকা আমাদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। দুর্ভিক্ষ, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে বিদেশে পরিচিত বাংলাদেশ আজ সম্পূর্ণ পরিবর্তিত একটি দেশ। একশত লোকের মধ্যে মাত্র ১২ জন এখন অতি দরিদ্র। সংজ্ঞার প্রশ্ন নয়, সাদা চোখে দেখা অবস্থা। সাধারণ মানুষ আজ দুইবেলা ভাত খেয়ে থাকে। এই ভাতের সমস্যাই ছিল এক নম্বর। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছিল ‘মঙ্গা’ কবলিত। সেখানে না ছিল ভাত, না ছিল ক্রয়ক্ষমতা, এমনকি ভিক্ষাও মিলত না। আজ সেই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চালে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন হয়েছে। সকালে মানুষ আটার রুটি খায়, অনেকে খায় ময়দায় তৈরি খাদ্য। এখন বাংলাদেশের সংগ্রাম দারিদ্র্য সম্পূর্ণ নির্মূল করাÑ যথাশীঘ্র। তারপর সংগ্রাম পুষ্টির জন্য। পুষ্টির অভাবেও অনেক লোক ভোগে। তার থেকেও মুক্তি চাই। বলাবাহুল্য, ভাতের সংগ্রামের এই সাফল্যের কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের, এই সাফল্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিশ্বব্যাংক ও রক্ষণশীল ম্যাগাজিন ‘দ্য ইকোনমিস্টের’ সর্বশেষ প্রশংসাপ্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। লেখক : সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×