ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ অক্টোবর ২০১৬

উবাচ

গণতন্ত্রের লাইসেন্স স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীদের সঙ্গে সখ্য থাকায় বিএনপিকে গণতন্ত্রের লাইসেন্স দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। জাসদ আয়োজিত ‘জঙ্গীবাদ নির্মূল ও জঙ্গী-সঙ্গী বর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি। হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের গণতান্ত্রিক লাইসেন্স হারিয়েছে। জঙ্গীদের সঙ্গে থাকার কারণে তারা কিছুতেই গণতন্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারে না। তারা এখন পর্যন্ত জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। অন্যদিকে বিএনপি জঙ্গী তৈরির কারখানা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরাসরি জঙ্গীদের নেত্রী বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, জঙ্গীদের রাজনৈতিক বন্ধুদের ত্যাগ না করা গেলে বর্তমান জঙ্গী পরিস্থিতির উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। বিএনপি জঙ্গী তৈরির কারখানা। শুধু তাই নয় বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি জঙ্গীদের নেত্রী। তারা আগেও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, এখন চেষ্টা করছে জঙ্গীদের জন্য। এদের আমাদের বর্জন করতে হবে। লুটের টাকা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান মনে করছেন, আওয়ামী লীগ লুটের টাকায় সম্মেলনের আয়োজন করছে। সম্প্রতি দলীয় কমিটিতে মূল্যায়ন না হওয়ায় রাজনীতি ছাড়তেবসা এই নেতা সম্মেলন আয়োজনের অর্থের উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। পরপর দুই কমিটিতেই ভাইস চেয়ারম্যানের গ-ি পেরুতে না পারা নোমান কারও প্রতি এই আহ্বান জানালেন, নাকি আকাশে-বাতাসেই সুর তুললেন., তা পরিষ্কার করেননি। প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ’র স্মরণসভায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত চেয়ে নোমান বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগ সম্মেলনের নামে প্রদর্শনী করছে। তারা এই টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে? কারা এ অর্থের যোগান দিচ্ছে বা কোথা থেকে টাকা আসছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়? একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমিও কোটি টাকা খরচ করার এ সম্মেলনের সফলতা চাই। কিন্তু সেই সম্মেলন যদি প্রতিহিংসার সম্মেলন হয় তাহলে জনগণের কাছে এ সম্মেলনের কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। মানসিক ভারসাম্য স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কোন কোন নেতার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু। তিনি মনে করছেন, বিএনপির কিছু কিছু নেতা মানসিক ফিটনেসবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থার জন্য অবশ্য তাদের ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকাকেই মূল কারণ বলে মনে করছেন নিলু। বিএনপি নেতাদের খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা নিলু অবশ্য তাদের সুচিকিৎসা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বলেছেনÑ তাদের পাবনা গমন ভীষণ জরুরী। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংককে তদন্ত করার অনুরোধ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এর পরই মূলত গোল বাধে। বিএনপি জানে পদ্মা সেতুতে টাকা দেয়ার ঋণ চুক্তি করে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে নিজস্ব অর্থে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। বিএনপির এবার গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপি জোটের সাবেক নেতা নিলু সেই রোগ কিন্তু ঠিকই ধরে ফেলেছেন। নিলু বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের কোন আর্থিক অংশগ্রহণ নেই। পদ্মা সেতুর কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছে দুর্নীতির তদন্ত করতে বলা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের দুর্নীতি তদন্ত করার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শেখ নিলু বলেন, বিএনপি নেতারা নিজেদের জাতীয়তাবাদী দাবি করে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই প্রভু ভাবে বিদেশীদের। বিএনপির একশ্রেণীর নেতাকে নিলু কর্মীবিমুখ ও জনতাবিমুখ বলে উল্লেখ করেন। ‘শহীদ’ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলের নেতৃত্ব নিয়ে তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
×