ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিটিসেল বন্ধ ঘোষণা, স্পেকট্রামও বাতিল

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২১ অক্টোবর ২০১৬

সিটিসেল বন্ধ ঘোষণা, স্পেকট্রামও বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বকেয়া পরিশোধ না করায় বেসরকারী মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির জন্য বরাদ্দ স্পেকট্রামও বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশ না মানায় সিটিসেলের তরঙ্গ বাতিল করা হয়েছে। সিটিসেলের বকেয়া পরিশোধ না করায় আমরা তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বন্ধ করে দিয়েছি। বিকেলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রাজধানীর মহাখালীতে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে সংস্থাটির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা। আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে তাদের দিতে হতো ৩১৮ কোটি টাকা। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা দিয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। আর এনবিআরকে দিয়েছে ১৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা তারা পরিশোধ করেনি। তাই তাদের তরঙ্গসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিটিআরসির আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দুই তৃতীয়াংশ টাকা এক মাসের মধ্যে, আর এক তৃতীয়াংশ টাকা পরবর্তী এক মাসে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সিটিসেল তা করেনি। এ ছাড়া ১৭ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা হচ্ছে। আদালত নির্দেশ দেয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে বিটিআরসি সিটিসেলের বিরুদ্ধে যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে। সিডিএমএ অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে দুই লাখের চেয়ে কম। বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে সরকারের পৌনে পাঁচ শ’ কোটি টাকা পাওনা। এই পাওনা না পেয়ে গত জুলাই মাসে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসি সিটিসেলকে এই মর্মে একটি নোটিস দেয়া হয়। নোটিস পেয়ে সিটিসেল আদালতে গেলে আপীল বিভাগ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেয়। আদালত গত ২৯ আগস্ট এই আদেশ দেয়। উল্লেখ্য, অপারেটরটি ১৯৮৯ সালে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (সিটিসেল) নামে লাইসেন্স পায়। সিটিসেলের ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান মালিকানাধীন প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ৪৫ শতাংশ সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাতে। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
×