ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুমন্ত গুপ্ত

অনন্য টেইলর সুইফট

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২০ অক্টোবর ২০১৬

অনন্য টেইলর সুইফট

টেইলর সুইফটের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে। সুইফট যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত, তখন সে একবার জাতীয় পর্যায়ে কবিতা আবৃতিতে পুরস্কার অর্জন করে। সে যে কবিতাটা আবৃতি করেছিল, তা ছিল তিন পৃষ্ঠার। এর শিরোনাম ছিল ‘মনস্টার ইন মাই ক্লোসেট।’ ২০০৬ সালে টেইলর সুইফট তার প্রথম গান ‘টিম ম্যাকগ্র’ প্রকাশ করে। এরপর প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক এ্যালবাম টেইলর সুইফট যা রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা কর্তৃক প্লাটিনাম প্রত্যয়ন পায়। ২০০৮ এর নবেম্বরে টেইলর সুইফট তার দ্বিতীয় এ্যালবাম ফিয়ারলেস প্রকাশ করেন। ২০০৮ এর শেষে ফিয়ারলেস ও টেইলর সুইফটের বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ২.১ এবং ১.৫ মিলিয়ন। ফিয়ারলেস এ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে শীর্ষস্থান দখল করেছিল, যা কোন এ্যালবাম ২০০০ সালের পর পারেনি। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের র‌্যাঙ্কিং-এ সুইফটের অবস্থান ছিল ৬৯তম শক্তিমান তারকা, যার আয়ের পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড সুইফটকে বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব প্রদান করে। ফিয়ারলেস ২০১০ সালের বর্ষসেরা এ্যালবাম হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার অর্জন করে। টেলর সুইফট ভাল গান করেন, গানও লেখেন খুব সুন্দর। এটা সবাই জানেন, কিন্তু তাঁর যে আরও একটা গুণ আছে, সে খবর অনেকেই জানেন না। খুব সুন্দর কার্ড বানাতে পারেন এই গায়িকা। আর এই গুণকে পুঁজি করেই নতুন এক খণ্ডকালীন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। শুভেচ্ছা কার্ড তৈরির প্রতিষ্ঠান প্যাপিরাসের জন্য কার্ড বানান এই তারকা। টেলরের তৈরি রংচঙে ও রতœখচিত শুভেচ্ছা প্যাপিরাসের কার্ডগুলো যুক্তরাষ্ট্রের দোকানে পাওয়া যায়। এই কার্ড বানিয়ে যা আয় হয়, তার একটি বড় অংশ সুইফট দান করেন চ্যারিটিতে। লেডি ক্লিনটো চিলড্রেনস হাসপাতালে অসুস্থ শিশুদের সঙ্গে দেখা করেছেন টেলর। তাদের সঙ্গে কয়েকঘণ্টা ছিলেন তিনি। হাসপাতালে শিশুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের বেশকিছু স্থিরচিত্র ফেসবুকে প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘ধন্যবাদ টেলর সুইফট, লেডি ক্লিনটো চিলড্রেনস হাসপাতালের অসুস্থ শিশু ও তার পরিবারের বিকেলটাকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য। আপনার এই অসাধারণ উপহারের কথা তারা কখনও ভুলবে না।’
×