ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে সন্ত্রাসীর কোপে জখম স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরেছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২০ অক্টোবর ২০১৬

মুন্সীগঞ্জে সন্ত্রাসীর কোপে জখম স্কুলছাত্রীর জ্ঞান ফিরেছে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম স্কুলছাত্রী তাহমিনার জ্ঞান ফিরেছে। বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসারত তাহমিনার জ্ঞান ফেরায় পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ঘটনায় বুধবার অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেছেন তাহমিনার বাবা মোঃ তফিজ উদ্দিন হাওলাদার। বুধবার দুপুরে এএসপি (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ শামসুজ্জামান বাবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, আমরা ক্লু খোঁজার চেষ্টা করছি। কারণ এখনও আমাদের হাতে তেমন কোন ক্লু নেই। দুটি কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রেমঘটিত কোন ঘটনা অথবা মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা। শীঘ্রই প্রকৃত দুর্বৃত্তদের সন্ধান পাওয়া যাবে। সিরাজদিখান থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টায় সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজিম ওসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ওসিকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে হামলাকারী শনাক্ত বা আটক না হওয়ায় পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। হামলাকারী যুবকের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তাহমিনার সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা গেছে, তাহের নামে এক বখাটে কিছুদিন আগে তাহমিনাকে প্রেম নিবেদন করেছিল। কিন্তু তাহমিনা তাতে সাড়া দেয়নি। সেক্ষেত্রে তাহের এমনটি করেছে কিনাÑ এই নিয়ে সহপাঠীদের মাঝে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক তাহমিনার এক সহপাঠী জানান, তাহের প্রায়ই তাহমিনাকে প্রেম নিবেদন করতো। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। কিন্তু তাহমিনা ওই ছেলেকে কখনও পাত্তাই দেয়নি। তাই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সে এমন কা- ঘটিয়ে থাকতে পারে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তাহমিনার চাচাত ভাই সাগর জানান, একটা কোপ তাহমিনার মাথায় ৫ ইঞ্চি লম্বা, এছাড়া হাতেও একটি কোপ লেগেছে। গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। সাগর আরও জানান, তাহমিনা একজনকে হাতে কামড় ও আরেকজনকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জ্ঞান ফেরে তার। দুষ্কৃতকারীদের গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা থাকায় চিনতে পারেনি। সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসন জানান, পুলিশের একাধিক টিম হামলাকারীদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। থানায় মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সিরাজদিখানের চোরর্মদ্দন গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে তাহমিনা আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে ওই রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও চোরর্মদ্দন গ্রামের মোঃ তফিজ উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে।
×