ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৯-১০ নবেম্বর ঢাকায় যৌথ কমিশনের বৈঠক

মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২০ অক্টোবর ২০১৬

মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ

এম শাহজাহান ॥ এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে আমদানি-রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশটি থেকে বিদ্যুত ও গ্যাস আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে সরকার। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাজার চালু, বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে উপকূলীয় নৌযান চলাচল চুক্তি, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি, বর্ডার হাট স্থাপন এবং দেশটির কৃষি ও মৎস্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চাওয়া হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ বাণিজ্য কমিশনের (জেটিসি) আসন্ন বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরবে সরকার। আগামী ৯ ও ১০ নবেম্বর দু’দিনব্যাপী ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যৌথ বাণিজ্য কমিশনের অষ্টম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার পরও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আশানুরূপ বাড়ছে না। যদিও এই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির বড় সুযোগ রয়েছে। এই বাস্তবতায় মিয়ানমারের সঙ্গে প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএস রড, সিমেন্ট, টিভি, ফ্রিজসহ গৃহস্থালি পণ্যের বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে। এছাড়া চিংড়ি, ইলিশ মাছ, শুকনো মাছ, সুপারি এবং লবণ রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে মিয়ানমার। এ লক্ষ্যে দু’দেশের বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে একটি কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই বাণিজ্য বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নৌ-ট্রানজিট না থাকা, এলসির মাধ্যমে বাণিজ্যের সুযোগ না থাকা। ইতোপূর্বে এসব সমস্যা সমাধানে বিষয়টি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যৌথ বাণিজ্য কমিশনের সপ্তম বৈঠকে (জেটিসি) আলোচনা হয়েছে। সেখানে দু’দেশের বাণিজ্য বাড়াতে সবাই একমত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই এ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে এখন যা হচ্ছে তার সবই প্রায় বর্ডার ট্রেড। এই ট্রেড ব্যাংকিং সিস্টেমের মধ্যে নেয়া গেলে আমদানি-রফতানি বাড়বে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে। আগামী জেটিসি বৈঠকে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করবে সরকার। আশা করা হচ্ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
×