ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে আওয়ামী জনতা লীগ সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রীসহ আহত ২

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২০ অক্টোবর ২০১৬

না’গঞ্জে আওয়ামী জনতা  লীগ সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রীসহ আহত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ১৯ অক্টোবর ॥ ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি শেখ স্বাধীন হোসেন মনির ওরফে মনির হোসেনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার সঙ্গে স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় মনির হোসেনের স্ত্রীর বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি পাগলায় বেড়াতে গেলে সন্ত্রাসীরা মনিরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার স্ত্রী পারভীন ওরফে মেঘলা ও স্ত্রীর বড় বোন রেখা আক্তার ছুটে এলে তাদেরও কোপানো হয়। আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুধবার সকালে মনির হোসেন মারা যায়। মনির হোসেন ফতুল্লার রসুলপুর এলাকার মুসলিম শেখের ছেলে। আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির হোসেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি বলে স্বজনরা দাবি করলেও এই রকম দল ও পদের বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে মনির হোসেন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে পুলিশ স্বীকার করেছে। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের দল যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তার ও ডিশ লাইনের দখল নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর হোসেন ওরফে মীরু বাহিনীর সঙ্গে মনির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে সম্প্রতি মারামারি ও মামলার ঘটনা ঘটেছিল। এর জের ধরেই মনির হোসেনকে খুন করা হতে পারে। ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ জানায়, নিহত মনিরের পাগলায় একটি রড-সিমেন্টের দোকান রয়েছে। এলাকার প্রভাব বিস্তারের ঘটনা নিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবার বলছে, প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ আরও জানায়, এখানে মনির গ্রুপ, লিটন গ্রুপ ও মীর হোসেন মীরু গ্রুপ রয়েছে। লিটন ও মনির গ্রুপ মিলে মীরুর ডিশ ব্যবসা দখল করতে চাচ্ছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরেই মনির হোসেনকে খুন করা হতে পারে। মীরু ও লিটন বর্তমানে জেলহাজতে।
×