ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকল্পের মেয়াদ ৬০ মাস

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ৬ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ অক্টোবর ২০১৬

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ৬ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের পরামর্শক হিসেবে দেশী-বিদেশী ছয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ ৬০ মাস। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূল পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডেনমার্কের সিওডব্লিউআই। সহযোগী হিসেবে থাকছে ওভিই-এআরইউপি এ্যান্ড পার্টনার হংকং লিমিটেড এবং বাংলাদেশের তিন প্রতিষ্ঠান এসিই কনসালটেন্ট লিমিটেড, ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট লিমিটেড ও স্ট্র্যাটেজিক কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড। বুধবার এ লক্ষে রাজধানীর সেতু ভবনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, গণচীনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ সময় মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের প্রথম টানেল হওয়ায় সরকার অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে নির্মাণ তদারকি এবং কারিগরি বিষয়গুলো দেখছে। তিনি বলেন, কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম হবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগসহ টানেলটি যুক্ত করবে প্রস্তাবিত মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পকে। মন্ত্রী আরও জানান, এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি নদীর ওপাড়ে চীনের সহায়তায় নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ইপিজেডকে সংযুক্ত করবে। বাড়বে কর্মসংস্থান, সম্প্রসারিত হবে নগরায়ন। বদলে যাবে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনজীবনের চালচিত্র। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মহাসড়কে উত্তরণে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, টানেলটি হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। দুই প্রান্তের সংযোগ এবং একটি এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় নয় কিলোমিটার। শিল্ড ড্রাইভেন মেথডে নির্মিতব্য টানেলটি হবে দুটি টিউবে দুইলেন করে চার লেনের। প্রায় ২ শত ৯১ কোটি টাকা মূল্যের এ চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে গ্যাভিন হ্যারং স্ট্রিড স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টানেলের বিস্তারিত নক্সা রিভিউ এবং নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব পালন করবে। এ সময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, কর্ণফুলী টানেল নির্র্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ইফতেখার কবিরসহ সেতু বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এ প্রকল্প চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোডের অংশ। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে এটি যুক্ত হবে।
×