ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ

জাতীয়করণ তালিকা থেকে বাদ ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২০ অক্টোবর ২০১৬

জাতীয়করণ তালিকা থেকে বাদ ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ সরকারীকরণের সব শর্ত পূরণের পরও তালিকা থেকে ‘ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ’ এর নাম বাদ পড়ায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। ক্ষুব্ধ ফুলবাড়িয়াবাসী কলেজটিকে সরকারীকরণ দাবিতে হরতাল, সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, স্থানীয় ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচী নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। তারা বুধবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ও কলেজের বিতর্কিত অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন খানের কারসাজির কারণেই সরকারীকরণ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এ কলেজ। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ আন্দোলনকারীদের সরকারবিরোধী ও ভিন্ন মতাবলম্বী উল্লেখ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই সঠিক। তারপরও সরকারীকরণ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ বলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী চাইলে একাধিক কলেজ সরকারী হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ‘ফুলবাড়িয়া কলেজ সরকারীকরণ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এসএম আবুল হাশেম অভিযোগ করেন, কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটসহ ‘থলের বেড়াল’ বের হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই সরকারীকরণের প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন ও কলেজ অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন খান। স্থানীয় সংসদ সদস্য কলেজের সভাপতি। সম্মেলনে আরও বলা হয়, নানা অপকর্মের ঘটনায় তারাকান্দার বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে বিতাড়িত কলেজ অধ্যক্ষের মেয়াদ ২০১২ সালে শেষ হওয়ার পর দুই দফায় অধ্যক্ষ চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরেক দফা আরও এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ নাছির কলেজে যোগদানের পর রাতারাতি ফ্ল্যাট, আলম এশিয়া পরিবহন ও ২২ লাখ টাকা দামের গাড়িসহ নানা কিছুর মালিক বনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ কলেজ অধ্যক্ষের সব অপকর্মের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কলেজ সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন ও তার ছেলে কলেজের বিদ্বোৎসাহী সদস্য এ্যাডাভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম। সেলিমের ভায়রা ভাই হচ্ছেন অধ্যক্ষ। কলেজটিতে এমপির মেয়ে ফারজানা শারমিন বিউটি, পুত্রবধূ বিলকিস খান পাপড়িকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারীকরণ হলে এসব বিষয় ফাঁস হবে জেনে সভাপতি ও অধ্যক্ষ জোটবদ্ধ হয়ে তলে তলে বিরোধিতা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
×