ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চীনের প্রেসিডেন্টের সফর, ব্রিকস ও আওয়ামী লীগের কাউন্সিল -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২০ অক্টোবর ২০১৬

চীনের প্রেসিডেন্টের সফর, ব্রিকস ও আওয়ামী লীগের কাউন্সিল -স্বদেশ রায়

চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে কয়েকটি দিক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এক, বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন পূরণ’ ও চীনের ‘টু সেনটানারি গোল’। দুই, সাউথ এশিয়ান ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’। তিন, ‘মেরিটাইম সিল্ক রুটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি’। এর পরে আসছে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে চীনের বিনিয়োগ। বাংলাদেশের সোনার বাংলা স্বপ্নপূরণ ও চীনের টু সেনটানারি গোল দুটোই কিন্তু সমানতালে চলছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। অন্যদিকে চীন তাদের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উদযাপন করবে ২০২১ সালে এবং তাদের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শতকের শুরুর পরে তারা টু সেনটানারি গোলের যে সময়সীমা ধরেছে তার সঙ্গে প্রায় মিলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। ২০৪৯ সালের মধ্যে পিপলস রিপাবলিক অব চায়না পরিবর্তিত হতে চায় একটি আধুনিক সোশ্যালিস্ট দেশে যা হবে উন্নত, শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক এবং উন্নত সংস্কৃতির এবং সব চিন্তার সুযোগসম্পন্ন একটি দেশ। এ রকম অবস্থানটি তারা উদযাপন করতে চায় ২০৪৯-এ। অর্থাৎ ২০৪৯ এর ভেতর সম্পূর্ণ নতুন এক চীনকে এ পৃথিবী পাবে যা শুধু অর্থনীতিতে বিশ্বে এক নম্বরে পৌঁছাবে না, তারা সোশ্যালিস্ট হিসেবে উন্নত গণতন্ত্রের অধিকারীও হতে চায়। চীনকে এই উন্নত গণতান্ত্রিক ও শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি হতে হলে তার সব থেকে বড় প্রয়োজন তার বৃহৎ প্রতিবেশী ও পৃথিবীর দ্বিতীয় জনসম্পদের দেশ ভারতকে। চীন আশা করছে ভারতও এ সময়ের ভেতর পৃথিবীর দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। চীনকে পৃথিবীর এই শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে হলে ভারতের সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় ও উন্মুক্ত করতে হবে। ভারত ও চীনের ভেতর অর্থনৈতিক যোগাযোগ উন্মুক্ত করার জন্যই কিন্তু প্রথম প্রয়োজন সাউথ এশিয়ান ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড। অর্থাৎ চীন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের ভেতর সড়ক, রেল, মেরিটাইম ও আকাশ যোগাযোগ সহজ ও উন্মুক্ত হওয়া। এর ভেতর আকাশ ও মেরিটাইম অবকাঠামো যেমন তৈরি করতে হবে, সড়ক ও রেলপথও তৈরি করতে হবে। চীনের বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন সাউথ এশিয়াতে তৃতীয় অর্থনীতি এবং স্ট্র্যাটেজিক্যালি বাংলাদেশের অবস্থান সড়ক ও রেল লাইনের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বর্তমান বাংলাদেশ সব থেকে বড় বন্ধু ভারতের। যে কারণে চীন চায় ভারত ও বাংলাদেশ যে বন্ধুত্বের হাত ধরে আছে ওই হাতের সঙ্গে তাদের হাত মেলাতে। পাশাপাশি মিয়ানমারেও গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় এসেছে। সব মিলে চীন এখন মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের ভেতর দিয়ে এই চার দেশীয় সাউথ এশিয়ান ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। বাস্তবে চীন, ভারত ও বাংলাদেশ এই তিন ইমার্জিং ইকোনমির কিন্তু এই ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের মাধ্যমে সড়ক ও রেল যোগাযোগ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে চীন যেমন নিজস্ব বিনিয়োগে থাইল্যান্ড থেকে রেল লাইন নিয়ে যাচ্ছে এখানেও তাকে সে বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সড়ক ও রেলে ভারত বিনিয়োগ করেছে। ভারত যে ২ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে তার একটি বড় অংশ যাচ্ছে রেলে। আফ্রিকাতে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ভারতের বিনিয়োগ ১২ বিলিয়ন ডলারের মতো। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে চীনের বিনিয়োগের এই রেশিও আফ্রিকার থেকেও বেশি করতে হবে। আর তা যে করা হবে সেটা চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের ৫৬টি চুক্তি ও অন্যান্য বিষয় মিলে ফুটে উঠেছে। চায়না এখন থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে অনেক বেশি ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টে (এফটিএ) যাবে এবং আপাতত এর নব্বই শতাংশ থাকবে বাংলাদেশের সঙ্গে। চায়নার এই এফটিএ পাকিস্তানের সঙ্গে আছে। কিন্তু চায়নাকে তার টু সেনটানারি গোলে পৌঁছানোর এই পথে এগুতে হলে পাকিস্তানকে নিয়ে অবশ্যই তাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ শুধুমাত্র যে উইঘুরের জঙ্গীদের পাকিস্তান ট্রেনিং দিচ্ছে তা নয়, গোটা বিশ্বের জঙ্গীই কিন্তু ট্রেনিং পায় পাকিস্তানে। এ মুহূর্তে উন্নয়নের সব থেকে বড় বাধা এই জঙ্গী। আর পশ্চিমা বিশ্ব এশিয়ান এই ইকোনমির রাইজিংকে ঠেকানোর জন্য এ জঙ্গী ধারা বাঁচিয়ে রাখবেই। যেমন অনেকে মনে করছেন হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে জঙ্গী ধারা কমবে, মোটেই নয়, বরং আরও বাড়বে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা গাদ্দাফীর মৃত্যু দেখেছি। তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এ রকম অনেক মৃত্যু হয়ত দেখতে হবে। সেখানেও তাদের অন্যতম অস্ত্র হবে পাকিস্তান। তাছাড়া ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে জঙ্গীরা একটি হুমকি। পাকিস্তানী জঙ্গী মিয়ানমার অবধি অবস্থান করছে। মিয়ানমারের সরকারী ভাষ্য তাই বলছে। এর পরে আসছে মেরিটাইম সিল্ক রুট অর্থাৎ চীন থেকে একদিকে পশ্চিমা বিশ্ব, অন্যদিকে আফ্রিকা। এই মেরিটাইম সিল্ক রুটে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়ে বসে আছে। এমনকি সোনাদিয়া বন্দর, পায়রা বন্দর এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। অন্যদিকে এই মেরিটাইম সিল্ক রুটের বড় পথ হচ্ছে ভারত মহাসাগর। তাই ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক সমঝোতা এবং তার সঙ্গে সাউথ এশিয়ায় ভারতের পরেই অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যে অবস্থান এজন্য তাকে সঙ্গে নিয়েই এই সিল্ক রুট গড়তে হবে। তবে এ কথা ঠিক যে, আগামী অর্থনীতির স্বার্থে ভারত ও চীনের সমঝোতা দৃঢ় করে তাদের এই মেরিটাইম রুটকে অনেক বেশি কার্যকর করতে হবে। কারণ ব্যবসা বাণিজ্যতে পরিবহন খাতে এখনও মেরিটাইম রুটই সব থেকে বেশি উপযোগী, এর থেকে সহজ ও সুলভ পরিবহনের অন্য কোন পথ নেই। যা হোক, আগামী দুই দশকের অর্থনৈতিক পরিবর্তন বিশেষ করে এশিয়ার এই ইমার্জিং অর্থনীতির গতিবেগ বাড়ানোর জন্য এ দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা তৈরি করা ছাড়া বিকল্প নেই। সহযোগিতার ভেতরও একটি দর কষাকষি থাকে। যেগুলো সাধারণ কূটনীতি ও বাণিজ্যিক কূটনীতির অঙ্গ। এই দর কষাকষি ও অর্থনৈতিক উন্নতির এ সময়ে বাংলাদেশে আগামী দশ বছর যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই এটা ভারত ও চীন সঠিক উপলব্ধি করেছে। কারণ বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানই দেশটির গুরুত্ব যতখানি বৃদ্ধি করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বও ঠিক ততখানি অবদান যুগিয়েছে। তাই ব্যক্তি শেখ হাসিনাও এখন বাংলাদেশের এই উন্নয়নের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। সত্যি কথা বলতে কি, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই সত্য উপলব্ধি করেছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, বিএনপি বর্তমানের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার। তিনি যেহেতু দলটির মহাসচিব তাই পরিষ্কার করে বলতে পারেন না, শেখ হাসিনার মতো খালেদা জিয়া বর্তমানের এই উন্নয়নের ট্রেনের অপরিহার্য নয় বলেই তিনি পরিত্যক্ত হয়েছেন। তাই বাংলাদেশ এখন এশিয়ার আগামী শীর্ষ অর্থনীতিতে পৌঁছানোর দৌড়ে, ব্রিকসকে দঁাঁড় করানোসহ অনেক কিছুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই- যা স্পষ্ট এখন। অন্যদিকে এশিয়ায় অর্থনীতি শিফট হলেও পশ্চিমাদের নির্ভর করতে হবে এশিয়ার ওপর, কারণ জনশক্তি এখানে। পশ্চিমাদেরও বর্তমানের এশীয় এই নেতাদের রাজনীতি মেনে নিতে হবে। যেমন পশ্চিমাদের ব্যাংক- ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মেনে নিচ্ছে ব্রিকসকে। ব্রিকস ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাউন্ডিং মেম্বার হলেও মূল ডোনার নয়, তার পরেও ব্রিকস ব্যাংক অবকাঠামো তৈরি শুধু নয়, উন্নয়নের মূল ব্যাংক হয়ে উঠতে পারে ২০৫০ এর ভেতর। যে বিশ্বাস রাখার কথা চীনের প্রেসিডেন্ট গোয়া ব্রিকস সামিটে বলেছেন। ব্রিকস নিয়ে অনেকেই এখন হতাশ কারণ তারা বর্তমানকে দেখছেন, ভবিষ্যতকে দেখতে পাচ্ছেন না। বর্তমানে যে মন্দা চলছে এই মন্দার ভেতর একটি নতুন অবকাঠামো তৈরির আন্তর্জাতিক ব্যাংকের পথ চলা কিছুটা মন্থর হতে পারে, কিন্তু তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। চীন যে টু সেনটানারি গোলের সীমারেখা টেনেছে ২০৪৯ এ ওই সময়সীমা আসতে আসতে এই ব্রিকসই ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে নাড়া দিতে পারে বা আরও কিছু করতে পারে। যেহেতু ততদিনে ইকোনমি শিফট করে যাচ্ছে এশিয়ায়- তাই তখন স্বাভাবিকভাবে ব্রিকসের চিত্রও বদলে যাবে। এই এশিয়ার অর্থনীতি বদলে যাওয়া, ব্রিকসের কাঠামো বদলে যাওয়া সব কিছুতেই কিন্তু এখন বাংলাদেশ একটি অপরিহার্য প্লেয়ার এবং সেখান শুধু দেশ নয়, দেশের নেতাও গুরুত্ব পাচ্ছে সমান তালে। যে কারণে চীনের প্রেসিডেন্ট চলে যাওয়ার দু’দিন পরে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিম শুধু নয়, তার প্রধান ইকোনমিস্ট বাংলাদেশ সফরে এসে কেবল বাংলাদেশকে প্রশংসা করলেন না, বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনাকেও প্রশংসা করলেন। তার প্রয়োজনীয়তাকেও বুঝিয়ে দিলেন। এটাই বর্তমানের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে কেউ যদি উপলব্ধি করতে না পারেন তিনি ভুল করছেন। আবার এই বাংলাদেশকে যদি এ দেশের মানুষ বর্তমানের পথ ছাড়া ভিন্নপথে পরিচালিত করতে চায় তা হবে কেবল আত্মহত্যা নয়, প্রশান্ত মহাসাগরের তিমির হারিকিরি। তবে দেশের মানুষকে নেতৃত্ব দেয় রাজনৈতিক দল ও দলের নেতা। সত্যি বলতে, দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা শতভাগ যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন কখনও কখনও শতভাগকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তার দল সেটা দিচ্ছে না। বাংলাদেশ যেখানে পৌঁছে গেছে শেখ হাসিনার দলের অধিকাংশ কিন্তু ওই স্তরে পৌঁছায়নি। এ অবস্থায় শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হতে যাচ্ছে ২২ ও ২৩ অক্টোবর। তাঁর দলের অনেক নেতা বলছেন, তারা গোটা দেশের তৃণমূলের কাউন্সিল শেষ করে এই কাউন্সিল করতে যাচ্ছেন। তৃণমূলের কাউন্সিল যে খুব ভাল হয়েছে তা বললে অসত্য বলা হবে। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক শ্রেণীর কেন্দ্রীয় নেতা তাদের কোটারিসহ অনেক অপকর্ম করেছেন এই কাউন্সিলগুলো করতে গিয়ে। কিছু যে ভাল হয়নি তা নয়। এখন এ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার একমাত্র পথ আছে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। এ কাউন্সিল একেবারে আওয়ামী লীগের নিজস্ব বিষয়। এখানে সাংবাদিক হিসেবে কোন রাজনৈতিক দলকে কখনই কোন পথ বলে দিতে পারি না, তবে মত প্রকাশ করতে পারি। আর তাই বলা যায়, যেহেতু উন্নয়নের মহাসড়কে শুধু বাংলাদেশ অপরিহার্য হয়নি, শেখ হাসিনাও আগামী এক দশক অপরিহার্য, তাই তাঁর দলের কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের ভবিষ্যত কিছুটা হলেও জড়িত। একজন নাগরিক হিসেবে যে কোন সচেতন বাঙালী আশা করতে পারে, আধুনিক বিশ্বের উন্নয়নের এই মহাসড়কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতোই আধুনিক নেতৃত্ব এই কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে বের করে আনতে হবে শেখ হাসিনাকে। কাউন্সিলে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে পার্টি কাঠামোও আধুনিক ও উন্নয়নমুখী পৃথিবীর সঙ্গে সমঞ্জস হয়। তাছাড়া বর্তমানের নেতৃত্বের একটি অংশ দেশব্যাপী কিছু ক্ষত সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে তা কাটিয়ে উঠতে পারে সে কাজ করার মতোই নেতৃত্ব এই কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আসতে হবে। যাতে দল সহায়ক শক্তি হবে- ২০৪৫ এর ভেতর সোনার বাংলা স্বপ্ন অর্থাৎ বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার কাজে। [email protected]
×