ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাস্টিন গোমেজ

ভালবাসার মহিমা

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২০ অক্টোবর ২০১৬

ভালবাসার মহিমা

‘ভালবাসা নিত্যসহিষ্ণু, ভালবাসার স্নেহ-কোমল, তার মধ্যে নেই কোন ঈর্ষা। ভালবাসা কখনও বড়াই করে না, উদ্ধতও হয় না, রুক্ষও হয় না, সে স্বার্থপর নয়, বদমেজাজিও নয়। পরের অপরাধ সে ধরেই না। অধর্মে সে আনন্দ পায় না, বরং সত্যকে নিয়েই তার আনন্দ। ভালবাসা সমস্তই ক্ষমার চোখে দেখে, ভালবাসার বিশ্বাস সীমাহীন, সীমাহীন তার আশা ও তার ধৈর্য’- (পবিত্র বাইবেল)। সত্যিকার অর্থে ভালবাসা মানে একে অপরের মঙ্গল কামনা করা। আর এজন্য শিল্প সাহিত্যেও দেখতে পাই দুনিয়া কাঁপানো জুটি। যারা একে অপরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করছে কিন্তু কেউ কারও ক্ষতি করেনি কিংবা ক্ষতির চিন্তাও করেনি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট, ওডিয়াস-পেনেলোপ, প্যারিস-হেলেন, জর্সি-এলিজাবেথ এছাড়া আরও অনেকে। এসবের পেছনে যেসব কারণ উল্লেখযোগ্য- হতাশা, বেকারত্ব, পারিবারিক কলহ, স্নেহ-মমতার অভাব, পারিবারিক দিক-নির্দেশনার অভাব, বন্ধু-বান্ধবদের প্ররোচনা ইত্যাদি। অভিভাবকরা আজ তাদের মেয়ে সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত ও আতঙ্কগ্রস্ত। শঙ্কিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হবে না কেন? এসব উন্মত্ত-প্রতিহিংসা যে একদিন তার ঘরে আসবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। পিতা-মাতারা তাদের সন্তানকে বিদ্যানিকেতনে পাঠায় বিদ্যা-অর্জনের জন্য। তার বদলে যদি সন্তানকে হারাতে হয় চাপাতির আঘাতে, তাহলে দেশটা কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে? এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশ একদিন সামাজিক বিকলাঙ্গতার মুখোমুখি দাঁড়াবে এটা নিশ্চিত। এখনও সময় আছে এসব সমস্যার মূল উপড়ে ফেলার। এখন থেকে কঠোর না হলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় একটি খেসারত দিতে হবে। তবে এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের দেশে রয়েছে পর্যাপ্ত আইন-কানুন, প্রয়োজন শুধু যথার্থ প্রয়োগ। উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সবার সামনে দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ রাখলে আর কেউ সাহস পাবে না। বেশিকিছু প্রয়োজন নেইÑ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ বলবত থাকলে এর মাধ্যমে সমস্যা অনেকাংশে নির্মূল করা সম্ভব। লক্ষ্য রাখতে হবে আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ যেন পালিয়ে না যায়। আর প্রশাসন যদি আইন প্রয়োগে দুর্বল হয় তাহলে এ সমস্যা অচিরে আরও বাড়তে থাকবে। তাই প্রশাসনিক ও সরকারী ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও গণপ্রতিরোধও আবশ্যকীয়। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা থেকে
×