ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইঁদুরের উৎপাতে নাজেহাল থানা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

ইঁদুরের উৎপাতে নাজেহাল থানা

ইঁদুরের উৎপাতে নাজেহাল আস্ত একটা থানা। খাকি উর্দি পরে লাঠি উঁচিয়ে দিনরাত তাড়া করেও বাগে আনা যাচ্ছে না ইঁদুরের দলকে। যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুরফুরে মেজাজে। থানার দরকারি কাগজপত্র থেকে অন্যান্য সামগ্রী যখন তখন ছিঁড়ে কুটি কুটি করছে তারা। ইঁদুরের এই উৎপাতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার দশা হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের জিআরপি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের। দিনের বেলা একটু আধটু স্বস্তি মিললেও রাত নামলেই থানায় টিকে থাকা দায়। ইঁদুর তাড়াতে দিন-রাতের অধিকাংশ সময়ই থানার ভেতরে পুলিশ কনস্টেবল থেকে সিভিল ভলান্টিয়ার কর্মকর্তারা লাঠি উঁচিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি লক আপের ভেতর থেকেও শোনা যাচ্ছে আসামিদের চিৎকার, ‘স্যার বাঁচান, এবার এরা কামড়াবে তো, সোজা গায়ের ওপর উঠে যাচ্ছে’। এমনকি এই থানায় কেউ অভিযোগ জানাতে এসে চেয়ারে খানিকটা সময় বসলেও নিস্তার মিলছে না ইঁদুরের হাত থেকে। সুড়সুড় করে উঠে যাচ্ছে পা বেয়ে। প্রথম দিকে থানার সবাই ভেবেছিলেন, সামান্য ইঁদুরের উৎপাত বিষ দিলেই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিষ দিলেও একটি ইঁদুরও মরেনি। শেষমেশ ইঁদুর তাড়াতে বিড়াল পোষার বুদ্ধি বের করেন থানার কর্মকর্তারা। থানায় ধরে নিয়ে আসা হয় বেশ কয়েকটা বিড়াল। কিন্তু ফল হয় উল্টো। বিশাল বিশাল সাইজের ইঁদুর দেখে থানা ছেড়েই পালিয়ে যায় বিড়ালগুলো। ফলে এখন থানায় একচেটিয়া রাজত্ব করছে ইঁদুরের দল। এই অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের জিআরপি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ স্বপন সরকার বলেন, ‘কী আর করা, ইঁদুরের উৎপাত সহ্য করেই ডিউটি করতে হচ্ছে। দিনভর তো আর ইঁদুর ভাগানোর কাজ আমরা করতে পারি না। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়া যায়, তার প্রায় সবই করেছি। কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ইঁদুরের দলকে। তাই অগত্যা ইঁদুরের উৎপাত সহ্য করা ছাড়া আর রাস্তা কি?’-ওয়েবসাইট অবলম্বনে
×