ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তিতে দেশের সাফল্য ও অগ্রযাত্রার চিত্র উঠে আসবে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

প্রযুক্তিতে দেশের সাফল্য ও অগ্রযাত্রার চিত্র উঠে আসবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ শুরু হচ্ছে আজ। চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলা শুরু হচ্ছে ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ সেøাগান নিয়ে। মেলায় সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ উপস্থিত থাকবেন। এবারের মেলায় ৪ লাখেরও বেশি দর্শক উপস্থিত থাকবে বলে আয়োজক সংস্থা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে। আজ বুধবার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের সাফল্য ও অগ্রযাত্রার চিত্র উঠে আসবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬ মেলায়। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, বিশাল আয়োজনের এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এর আগে আরও তিনবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার কোনটিই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেননি। এবারের মেলা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ আইসিটি খাতে বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে গেছে। এই সেক্টরে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে। মেলায় বেশ কয়েকটি দেশ অংশ নেবে। সব দিক থেকে মেলাটি অধিক গুরুত্ব পেয়েছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ই-কমার্স, ই-গবর্নেন্স, মোবাইল ইনোভেশন, সফটওয়্যার শোকেসিং এবং প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ জোন সংযুক্ত করা হয়েছে। মেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার হবে। এবারের আয়োজনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইসিটি ক্যারিয়ার বিষয়ক সম্মেলন হবে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়েও থাকবে ডেভেলপার কনফারেন্স। এবারের আয়োজনে ৪ লাখ দর্শনার্থী সমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি বিশেষভাবে স্থান পাবে। মেলায় নেপাল, উগান্ডা, ভুটান, সৌদি আরব, সুরিনাম, ভিয়েতনাম ও মালদ্বীপের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া এতে ১২৪ দেশী ও ৪৩ বিদেশী বক্তা অংশ নেবেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরকারের ৪০ টি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিস (বেসিস) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই কর্মসূচীর সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় দর্শনার্থীর কোন প্রবেশ ফি দিতে হবে না। মেলার মোট প্রস্তাবিত খরচ ৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এ মেলা থেকে দেশের তরুণ-তরুণীরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন। প্রতিটি সেমিনারেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখবেন। বিদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের আলোচনা প্রযুক্তি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কাল্পনিক কিছু নয়, বাস্তব। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেয়ার পর এই সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। এখন ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। আর সাড়ে ৪ থেকে ৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তথ্যপ্রযুক্তি সেবাকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তত্ত্বাবধান করছেন। মানুষ এখন বুঝতে পারছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে কত রকমের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ ৩৫ বছর বয়সের নিচে। এই জনগোষ্ঠী আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠলে সোনার বাংলা সহজেই বাস্তবায়ন হবে। কেননা, আইসিটি হচ্ছে এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষকে চলমান ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করে। এখানে আইসিটিতে দক্ষ প্রতিটি মানুষই উদ্যোক্তা হতে পারে। তাই এর সম্ভাবনা অনেক। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জনগণ সরাসরি যুক্ত হতে পারছেন। এতে সরকার জবাবদিহিতার মধ্যে চলে আসছে। সরকার চাইলেও কোন অন্যায় জনগণের ওপর চাপাতে পারবে না। তা করতে গেলেই জনগণ প্রতিবাদ জানাতে পারছে। তাছাড়া বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষ ঘরে বসেই ৪০ ধরনের সেবা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এ সেবার পরিধি বাড়বে।
×