ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের নিজেদের মেধা আছে, আমরা নিজেরাই করব ॥ জয়

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

আমাদের নিজেদের মেধা আছে, আমরা নিজেরাই করব ॥ জয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে (আইসিটি) বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমার জানামতে, পৃথিবীতে আর কোন দেশ নেই, এতো অল্প সময়ের মধ্যে সে দরিদ্র দেশ, নিজেদের অর্থায়নে এভাবে নিজেদের ডিজিটাইজড করেছে। একমাত্র বাংলাদেশ পেরেছে। এই কারণে এখন বাংলাদেশ সারাবিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ এবং আমি বলব আমরা বিশেষজ্ঞ (এক্সপার্ট) হিসেবে দাঁড়িয়েছি। এখন জাতিসংঘ আমাদের কাছ থেকে এক্সপার্টিজ চায়, যে অন্যান্য দরিদ্র দেশ কিভাবে ডিজিটাইজেশন করতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে আয়োজিত তাঁকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসামান্য উন্নতির জন্য বাংলাদেশ সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ পুরস্কার অর্জন করে। এই পুরস্কার অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে সংবর্ধনা দিতেই জমকালো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘দ্য আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উপাধি দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ উপাধি ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা থেকে আরম্ভ করে বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে আমরা নিজেরা করেছি। নিজেদের অর্থে, নিজেদের পরিকল্পনায় করেছি। কিছু কিছু বড় প্রজেক্টে আমরা বাইরের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ কাজ করেছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের সফলতা দেখে, অন্যান্য দেশ আমাদের কাছে আসছে। বলছে, তোমরা আমাদের শিখিয়ে দাওÑকিভাবে আমরা আমাদের দেশকে ডিজিটাইজ করব। আর সেটা আমরা করছি। বঙ্গবন্ধুর এ দৌহিত্র আরও বলেন, আজকে যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকত, তাহলে কিন্তু এর কিছুই হতো না। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে কিছুই হতো না। কারণ আমাদের আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটা পরিবার। আপনারা জানেন আজকে আমার ছোট মামার জন্মদিন। আমার পরিবারের সবাই, আমার মামা বেঁচে থাকলে তিনিও আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সদস্য হতেন। আমরা নিজেদের এক মনে করি। আমরা একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। একসঙ্গে কাজ করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই একটাই চিন্তা, এই দেশের মানুষকে এগিয়ে নেয়া। শুধু দেশের প্রতি ভালবাসার কারণে এই পরিশ্রম আওয়ামী লীগ করতে পারে। জয় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, বারবার দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করেছে এবং আওয়ামী লীগই দেশকে উন্নত করেছে, এগিয়ে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’টি যখন অন্তর্ভুক্ত করা হয় তখন নানা রকমের বাধা এসেছিল বলে উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। অল্প সময়ের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের বর্তমান অর্জনের জন্য তিনি দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানান। জয় বলেন, আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যে স্নেহ ও শুভেচ্ছা আমি পেয়েছি, তার প্রতিদান কিভাবে ভাষায় প্রকাশ করব তা আমার জানা নেই। আমি সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি একইসঙ্গে আনন্দিত এবং গর্বিত। এই পুরস্কার আমার একার নয়, এই পুরস্কার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের। তিনি বলেন, আমি কেবল পরামর্শ দিয়েছি, পরিকল্পনা করেছি আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন আপনারা সকলে। অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার এ পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। এ স্বীকৃতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক অন্যন্য মাইলফলক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয় দুজন শিশু, যাদের হাত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরপর মূল মঞ্চে এবং অনুষ্ঠানস্থলের সকলে একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাসেলের ওপর নির্মিত ‘মায়ের কাছে যাবো’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। একাধিক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সমাজের বিভিন্ন মানুষের শুভেচ্ছাবার্তা সংবলিত একাধিক তথ্যচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। এ সময় তিনি একটি ছোট্ট প্রেজেন্টেশনও উপস্থাপন করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মানপত্র পাঠ করেন ডাঃ নূজহাত চৌধুরী।
×