ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটকীয় জয়ে রোমাঞ্চিত মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

নাটকীয় জয়ে রোমাঞ্চিত মিসবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুবাই টেস্টে ৫৬ রানের নাটকীয় জয়ে যারপরনাই রোমাঞ্চিত পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। গত কয়েক মৌসুম ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামের উত্তরসূরিরা অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশদের ২-২এ রুখে দিয়ে প্রথমবারের মতো র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল তারা। এসব সাফল্যই এসেছে তার হাত ধরে, তবু এই ম্যাচটি নিয়ে মিসবাহর রোমাঞ্চের কমতি নেই। কারুণ এটি পাকিস্তানের ৪০০তম টেস্ট, উপমহাদেশের মাটিতে প্রথম ডে-নাইট সর্বোপরি ইতিহাসের দ্বিতীয়। ড্যারেন ব্রাভোর অসাধারণ সেঞ্চুরির কারণে পাকিস্তানকে ‘নাটকীয়’ জয় পেতে পঞ্চমদিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়! ট্রিপল সেঞ্চুরি, ইনিংসে ৮ উইকেট, ইয়াসিরের ১০০ শিকার- দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত উল্লেখযোগ্য দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেছেন। সব মিলিয়ে গোলাপী বলে ফ্লাডলাইটের রঙিন আলোয় উপমহাদেশে অভিজাত টেস্টের ডে-নাইট যাত্রাটা হয়েছে স্মরণীয়। ‘সত্যি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য শুভবার্তা। আমরা জিতেছি, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিল, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ড্যারেন ব্রাভোর কথা আলাদা করে বলতে হয়, চতুর্থ ইনিংসে সে অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। সর্বোপরি টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যতের স্বার্থে এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’ ম্যাচ শেষে বলেন মিসবাহ। ডে-নাইট টেস্টের ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান আজহার আলী (৩০২*)। ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। এরপর ৩৫৭ রানে অলআউট করে দিয়েও প্রতিপক্ষ উইন্ডিজকে ফলোঅন করায়নি তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মিসবাহরা অবশ্য মাত্র ১২৩ রানে (৩১.৫ ওভার) অলআউট হয়! অতিথি লেগস্পিনার দেবেন্দ্র বিশু নেন ৮ উইকেট। ৩৪৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ১১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানের জয়টা সময়ের ব্যাপার। তখনই ব্রাভোর ওই অসাধারণ সেঞ্চুরি। ২৪৯ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ১১৬ রানের ইনিংস। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান ইয়াসির শাহ। এরপর রোস্টন চেজ ৩৫ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার অপরাজিত ৪০ রান করে মিসবাহর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিলেন। জয় থেকে ৫৬ রান দূরে ক্যারিবীয়রা যখন (২৮৯ রান) গুটিয়ে যায় তখনও দিনের খেলা ১৫ ওভারের মতো বাকি। এ থেকেই উত্তেজনার মাত্রাটা বোঝা যায়। মিসবাহ বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের অন্তত আরও ১৫-২০ ওভার ব্যাট করা উচিত ছিল। লিড ৪০০ হলে ম্যাচ এত কঠিন হতো না। তবে শেষ দুইদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং-ব্যাটিং দুটিই বেশ ভাল করেছে। জানতাম খেলাটা শেষ সেশনে গড়াতে পারে। ব্রাভো অসাধারণ ব্যাট করেছে, ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের খেলায় ফিরিয়েছে ইয়াসির। সব মিলিয়ে প্রথম ডে-নাইট টেস্ট নিয়ে আমি দারুণ খুশি। দর্শক এমনটাই দেখতে চায়।’ দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন ইয়াসির, এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ইতিহাসে দ্রুত ১০০ শিকারের তালিকায় নাম লেখান তুখোড় এই লেগস্পিনার। গোলাপী বলে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন কিংবদন্তি হয়ে ওঠা পাক অধিনায়ক মিসবাহ। সেক্ষেত্রে কৃতিত্বটা পুরোপুরি আজহারের। ট্রিপল সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, গতবছর এ্যাডিলেডে ইতিহাসের প্রথম ডে-নাইট টেস্টে (অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড) একটি সেঞ্চুরিও ছিল না। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হোল্ডারের কণ্ঠেও ম্যাচসেরা আজহারের প্রর্শসা, ‘দলের অন্তর্নিহিত কিছু বিষয় বলতে গেলে অনেক প্রসঙ্গ চলে আসে। সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা আজহারই গড়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ভাল বল করেছি। পঞ্চমদিনে ব্রাভোর ব্যাটিংয়ের জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। দুবাই টেস্টে আমরা অনেক ইতিবাচক বিষয় খুঁজতে পারি। যা পরের ম্যাচে ভাল করতে সাহায্য করবে।’ আর গোলাপী বলে ব্যাটিংটা দরুণ উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ম্যাচের ‘নায়ক’ আজহার। শুক্রবার আবুধাবিতে শুরু তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। জাতীয় ‘বি’ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে জাতীয় ‘বি’ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ৪২তম আসরের খেলা আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে। ঢাকা শহর, বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, বিশ^বিদ্যালয়, বাহিনী, সংস্থাসমূহের বাছাইকৃত দাবাড়ুরা ২১০০-এর ওপর রেটিংপ্রাপ্ত দাবাড়ুরা, জাতীয় সাব-জুনিয়র, জাতীয় জুনিয়র এবং জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নরা জাতীয় ‘বি’ দাবায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণকারী দাবাড়ুদের বুধবারের মধ্যে স্ব-স্ব ক্রীড়া সংস্থার পত্র, এন্ট্রি ফরম, এন্ট্রি ও রেজিস্ট্রেশন ফিসহ নাম জমা দিতে হবে। চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা ১১ রাউন্ড সুইস-লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। শীর্ষস্থান প্রাপ্ত ৯ দাবাড়ু জাতীয় ‘এ’ দাবায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। দেশের ৫ গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীব, নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও রিফাত বিন সাত্তারকে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।
×