ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হিলারি ও ট্রাম্প কাল ফের মুখোমুখি

চূড়ান্ত বিতর্কে নাটকীয় পরিবর্তন হতে পারে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

চূড়ান্ত বিতর্কে নাটকীয় পরিবর্তন হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্যালেন্ডারের একটি বড় অনুষ্ঠান এখনও বাকি আছে এবং ধারণা করা হচ্ছে সর্বশেষ অনুষ্ঠানে নির্বাচনী দৌড়ের গতি-প্রকৃতিতে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে। আর এ শেষ অনুষ্ঠানটি হলো বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে) লাস ভেগাসে অনুষ্ঠেয় দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটনের মধ্যকার চূড়ান্ত বিতর্ক। তবে বিতর্কে নাটকীয় পরিবর্তন কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। অস্বাভাবিক বিষয় হলো, একই অনুষ্ঠানে দুই প্রার্থীর উদ্দেশ্য ও কৌশলের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেটি। ট্রাম্পের জন্য প্রশ্ন হলো, গত বিতর্কে তিনি যে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন তা কি এ বিতর্ক কাঠামোতে তার জন্য সত্যিই কোন সুবিধা বয়ে আনবে? তিনি গত বিতর্কে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে কড়া আক্রমণ করেন এবং মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। আর হিলারির জন্য প্রশ্ন হলো, তিনি কি গত বিতর্কের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত থাকবেন, নাকি এর পরিবর্তে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের শেষ অধ্যায়ে নিজের অবস্থানকে আরও সমুন্নত করবেন। দুই প্রার্থীই বড় একটি সিদ্ধান্তের সম্মুখীন যে, তারা কিভাবে কুৎসিত এ প্রচারের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন। যুক্তি দেখানো হয়েছে, তারা হয়ত ভিন্নদিকে সরে যাবেন। ট্রাম্প মনে হয় একটি বাজি ধরেছেন যে, তার একনিষ্ঠ সমর্থকদের প্রবলভাবে সক্রিয় করতে মাত্র একটি কৌশলই অবশিষ্ট রয়েছে এবং তিনি জোর দিয়ে তা তাদের বলছেন, এমনকি সেটি তারা ইতোমধ্যে বিশ্বাস করাও শুরু করেছে। এ কৌশল হলো, প্রমাণ করা হিলারি দুর্নীতিপরায়ণ এবং জাতীয় গণমাধ্যম, কর্পোরেট আমেরিকা ও ওয়াল স্ট্রিট হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তার হাতে জয় তুলে দিতে। অপরদিকে শুধু ট্রাম্পই সকল ক্ষেত্রেই এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। এটি একটি স্পষ্টভাবে পরিকল্পিত কৌশল, এর মাধ্যমে তার সমর্থকদের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা সৃষ্টি করা এবং দ্বিধান্বিত ভোটারদের হিলারির কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। তবে এ কৌশল বিশেষত ওই সব লোকদের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছে না, যারা ট্রাম্পের স্টাইল ও বার্তা পছন্দ করেন না। হিলারির জন্য হিসাব কিছুটা জটিল বলেই মনে হচ্ছে। প্রথম দুই বিতর্কে ট্রাম্পের বিভিন্ন বিষয়ে তাকে সরাসরি আক্রমণ করা থেকে দূরে সরে যাওয়া তো দূরের কথা, হিলারি প্রমাণ করেছেন তিনি আক্রমণ চালিয়ে যেতে সমানভাবে আগ্রহী। হিলারি ওই বিতর্কগুলোতে নারীর প্রতি ট্রাম্পের ব্যবহার, হিসপ্যানিকদের প্রতি তার মন্তব্য, তার ব্যবসা ও আয়কর বিষয়ে আক্রমণ করেছেন। তবে যুক্তি দেখানো কঠিন যে, এগুলো হিলারির পক্ষে কাজ করেনি। প্রথম বিতর্কের পর থেকে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল/এনবিসি নিউজের নতুন জরিপে দেখা গেছে, প্রথম দুই বিতর্কের পর ট্রাম্পের চেয়ে হিলারিকে সমর্থনের কথা বলছেন আরও ভোটার। তবুও তার ব্র্যান্ড অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল। তাকে দক্ষ কূটনীতিক বলে মনে করা হয়। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, ট্রাম্পের সঙ্গে জমাট বিতর্কে তার সুবিধা অব্যাহত থাকবে কি-না। -ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
×