ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২ গ্রাম প্লাবিত

সাতক্ষীরায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ তিন দিনেও সংস্কার হয়নি

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

সাতক্ষীরায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ তিন দিনেও সংস্কার হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনি উপজেলার কোলায় ভেঙ্গে যাওয়া খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধটি গত তিন দিনেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ গত তিন দিনে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করলেও প্রবল স্রোতের কারণে সংস্কার করা বাঁধের মাটি টিকছে না। বাঁধভাঙ্গা পানিতে এ পর্যন্ত প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মোট ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। পানিবন্দী অনেক পরিবার উঠেছে নিকটস্থ সাইক্লোন সেন্টার ও নিরাপদ বিল্ডিংয়ে। প্লাবিত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। পানি ঢুকেছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দ্রুত বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে আশাশুনি সদর ও চম্পফুল ইউনিয়নসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ, বস্তাভর্তি মাটি দিয়ে বাঁধটি সংস্কার করার চেষ্টা করলেও তারা সফল হননি। তাদের অভিযোগ, সরকারীভাবে বাঁধ সংস্কারে সেখানে এখনও তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বাঁধ ভাঙ্গার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার ইউনিয়ন। ইউনিয়নে মোট ১০ গ্রাম ও প্রতাপনগর ইউনিয়েনর দুই গ্রামসহ মোট ১২ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলো হলোÑ প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালী, কলিমাখালী, লাঙ্গলদাড়ি, কাঁকড়াবুনিয়া, জেলেখালী, গাজীপুর ও নাসিমাবাদসহ ১০ গ্রাম। আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম জানান, দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের নিয়ে বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার বস্তাসহ বাঁশ ও নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ৃউল্লেখ্য, রবিবার ভোরে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪নং পোল্ডারের কাছে খোলপেটুয়া নদীর প্রায় আড়াই শ’ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
×