ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহকর্মী শিশু ধর্ষিত ॥ ধর্ষককে বাঁচাতে পাগল আটক

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

গৃহকর্মী শিশু ধর্ষিত ॥ ধর্ষককে বাঁচাতে পাগল আটক

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাটে এক শিশু কাজের মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে একজন পাগলকে ধর্ষক বানিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পাগলকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এবং প্রকৃত ধর্ষক রাশেদের বিচারের দাবিতে পোস্টারিং করেছে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা। ধর্ষিত শিশুর মা বাদী হয়ে হাজী হুমায়ুন কবির (মদিনা হাজী), তার স্ত্রী রেহানা কবির ও ধর্ষক রাশেদ মাহমুদকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রাশেদ মাহমুদ (২৪) পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা কবিরাজ হাটের এক ব্যবসায়ীর বাসায় এক শিশু (৭) কাজ করত। ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ছাদে কাপড় তুলতে গেলে রাশেদ মাহমুদ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে ধর্ষক রাশেদের বাবা আলহাজ হুমায়ুন কবির ওরফে মদিনা হাজী। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে গৃহকর্তার পারিবারিক ডাক্তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। উপজেলা হাসপাতালের আরএম মদিনা হাজীর ভাগিনা ডাঃ পলাশের তত্ত্বাবধায়নে নিপাকে সে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার মাকে সংবাদ দেয়া হয়। শিশুর মা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখে নিজেও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ছেলেকে বাঁচাতে মদিনা হাজী মাঠে নেমে পড়েন। প্রথমে শিশুর মা’র কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। কাগজে একই উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মৃত মোরশেদ আলীর পুত্র পাগল আঃ হালিম (২৯)-কে ধর্ষণকারী উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এরপর ওই রাতেই মদিনা হাজী পুত্রকে বাঁচাতে পাগল হালিমকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে শিশুর অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাগল হালিম বর্তমানে মিথ্যা অভিযোগে দিনাজপুর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অপরাধে রাশেদ মাহমুদ এবং আলামত নষ্ট ও তথ্য গোপনের দায়ে হাজী হুমায়ুন কবির (মদিনা হাজী) ও তার স্ত্রী রেহানা কবিরকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ে করেন। প্রকৃত ধর্ষণকারী রাশেদের বিচারের দাবিতে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পাগলকে আসামি করার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ১৭ অক্টোবর কবিরাজহাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করে। ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ॥ গৃহশিক্ষক গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, ফতুল্লায় কলেজ ছাত্রীকে (২০) ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলিং করার অভিযোগে সমীর দত্ত (৩৯) নামে গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাড়া বাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা সমীর দত্তের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাঙ্ক এলাকার জনৈক এক ব্যবসায়ীর কন্যা নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজে অনার্সের প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করে। চতুর্থ শ্রেণী থেকে তাকে বাসায় পড়াশোনা করাচ্ছে সমীর দত্ত। এর মধ্যে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শহরের ২নং বাবুরাইল এলাকার শুভর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি সমীর দত্তকে জানায় কলেজ ছাত্রী। কিন্তু এর মধ্যে শুভের সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে তাকে নিয়ে বিভিন্ন কবিরাজের কাছে যায় সমীর। আর ছাত্রীর সরলতার সুযোগে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে দেওভোগ পানির ট্যাঙ্ক এলাকার জনৈক রকির বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সমীর দত্ত ওই ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করে আসছিল। এক পর্যায়ে ধর্ষণ করে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। আর সেই ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়াসহ ছাত্রীর আত্মীয় স্বজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার হুমকি দিয়ে ২৫ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়।
×