ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় রাস্তা কেটে বসানো হচ্ছে বেসরকারী পাইপ

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

ভালুকায় রাস্তা কেটে বসানো হচ্ছে বেসরকারী পাইপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ১৮ অক্টোবর ॥ মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের গাদুমিয়া গ্রামে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এলজিইডি’র সড়কের এক পাশ কেটে কারখানার নিষ্কাশন পাইপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, গাদুমিয়া গ্রামে তাইপে বাংলা ফেব্রিক্স লিমিটেড নামে নির্মাণাধীন কারখানার বর্জ্য দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী লাউতি খালে নিষ্কাশনের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন সড়ক থেকে শুরু হাজিরবাজার-মল্লিকবাড়ি সড়কের গাদুমিয়া মসজিদ মার্কেট মোড় থেকে লাউতি খাল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক এজিং পর্যন্ত কেটে ৭-৮ ফুট গভীরে আরসিসি পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। ওই পাইপ লাইন বসাতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে রাস্তার পাশের গাছপালা। গাদুমিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এস্কেভেটর লাগিয়ে ৭-৮ ফুট গভীর করে কাটা হচ্ছে এলজিইডি সড়কের দক্ষিণ পাশ। পাইপ লাইন বসানোর কাজ করাচ্ছে স্থানীয় শাহাব উদ্দিন। নিজেকে তাইপে বাংলা ফেব্রিক্স লিমিটেডের স্থানীয় কেয়ারটেকার পরিচয় দানকারী শাহাব উদ্দিন জানান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের অনুমতি নিয়েই সড়কটির পাশে পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কবির উদ্দিন শাহ্ জানান, হাজিরবাজার-মল্লিকবাড়ি সড়কের পাশ কেটে পাইপ লাইন বসানোর জন্য অনুমতি চেয়ে তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত তিনি ওই সড়কের পাশ কেটে পাইপ লাইন বসানোর কোন অনুমতি দেননি। এদিকে অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা অনুমতির কথা বলে রাস্তার পাশ কেটে পাইপ লাইন বসানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পটিয়ায় সওজ ও স্থানীয় সরকারে টানাপোড়েন নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া থেকে জানান, ভারি যানবাহন চলাচল ও নিম্নমানের কাজের ফলে পাচুরিয়া-কালারপোল সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টির পানি এখনও জমে থাকায় এলাকার লোকজনকে চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দীর্ঘ ৬ কিমি রাস্তায় খানাখন্দ ভরে গেছে। ফলে হাবিলাসদ্বীপ ও কোলাগাঁও ইউনিয়নের হাজারও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া এ সড়কের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বোয়ালখালী উপজেলার যোগাযোগ রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রশি টানাটানির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার সংস্কার কাজ হচ্ছে না। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাচুরিয়া থেকে শুরু করে কালারপোল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিমি রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে সওজ ও এলজিইডির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এই দুই অধিদপ্তরের অবহেলায় হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, ধলঘাট, কেলিশহর ইউনিয়নের অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ নারী-পুরুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কটির কোলাগাঁও অংশে কালারপোল থেকে কোলাগাঁও টেক পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক সওজ কর্তৃপক্ষ দেখভাল করে। অপরদিকে হাবিলাসদ্বীপ অংশে পাচুরিয়া থেকে সফর আলী মুন্সিরহাট পর্যন্ত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু এলজিইডির পটিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী শংকর কুমার নন্দী বলেন, পাচুরিয়া-কালারপোল সড়কে তাদের সীমানা পড়েনি। তবে সওজ ও এলজিইডির মধ্যে সীমানা নিয়ে দুই অধিদপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়েছে বলে তিনি জানান।
×