ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাসীর মামুন

৬৭ বছরে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

৬৭ বছরে আওয়ামী লীগ

এই অঞ্চলে কোন রাজনৈতিক দলের ৬৭ বছর টিকে থাকাই বিশাল এক অর্জন। বাংলাদেশের [পূর্ববঙ্গ/পূর্ব পাকিস্তান] সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি তারপর মুসলিম লীগ। পাকিস্তান আন্দোলনের পুরোধা মুসলিম লীগ। কমিউনিস্ট পার্টিও পাকিস্তান সমর্থন করেছিল। ভারত বিভক্ত হলে ‘ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়’ বলে স্লোগান তুলেছিল। পাকিস্তান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেও মুসলিম লীগ এখন প্রায় ভরাট করা এক পুকুর। মুসলিম লীগ হয়ত ১০০/১৫০ সদস্য নিয়ে টিকে আছে। মুসলিম লীগের পতন বোঝার জন্য ইতিহাসবিদ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। আত্মম্ভরিতা, বাস্তব বোঝার মতো দূরদর্শিতার অভাব, তরুণদের মন জয় করতে না পারা, অতি মাত্রায় ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাপতিদের সমর্থন প্রভৃতি মুসলিম লীগের পতন ত্বরান্বিত করেছে। এ দেশের সবচেয়ে ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মীরা ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। গত শতকের পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে তরুণদের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছিল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু বাস্তবের বিপরীতে ধার করা তত্ত্বে গুরুত্ব আরোপ, চীন-রাশিয়ার আদর্শের প্রতি অন্ধ আনুগত্য, প্রায় প্রতিটি মাইলফলক ঘটনায় ভুল সিদ্ধান্ত কমিউনিস্ট পার্টিকে এখন ঢাকার ভরাট করে ফেলা ক্যানালের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এ দলের প্রদীপ আর উজ্জ্বল হবে না। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা এ দুটি পার্টির পরে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বদলে যাওয়া ঢাকার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলে পরিণত হয়েছে। এর একটি কারণ, আওয়ামী লীগে যে কেউ সংশ্লিষ্ট হতে পেরেছেন। বাস্তবতা বুঝে অগ্রসর হয়েছে লীগ। পাকিস্তান আমলে গরিব ও পেটি বুর্জোয়ারা এই দল করেছে। গরিবরা পেটি বুর্জোয়া হওয়ার জন্য আর পেটি বুর্জোয়ারা বুর্জোয়া হওয়ার জন্য। তবে, আওয়ামী লীগ আজ টিকে থাকতে পারত না যদি না শেখ মুজিবুর রহমান এর সম্পাদক হিসেবে সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তুলতে না পারতেন। একটি দলে, নানা ধরনের মানুষ থাকতে পারেন। কিন্তু সবাইকে এক সুরে বেঁধে সারা দেশে একটি সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তোলা দুরূহ ব্যাপার। আজ আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রীকে বলুন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দল গড়ে তুলতে। দেখবেন, তার মুখের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বইচ্ছায় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দল সংগঠন করেছিলেন। সে জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন। সবাই তাকে বিশ্বাস করতেন কেন না টাকার প্রতি তার মোহ ছিল না। বর্তমান মন্ত্রিসভায় মতিয়া চৌধুরী ছাড়া আর কারও টাকার মোহ নেই-এ কথা মানুষজন দূরে থাকুক, নেতারা নিজ পরিবারের সদস্যদেরও বোঝাতে পারবেন না। জওহরলাল নেহরু বঙ্গবন্ধুকে লিখেছিলেন, যেদিন আপনার বক্তৃতা শুনতে এক লাখ মানুষ আসবে সেদিন জানবেন আপনি জাতীয় নেতা হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়েছেন। ৭ মার্চ তার কথা শুনতে লাখ লাখ মানুষ হাজির হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীন আহমদের মতো সাধারণ সম্পাদক পেয়েছিলেন। এটি ছিল বোনাস। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, মানুষ বিশ্বাস করেছিল, আওয়ামী লীগে তরুণরা যোগ দিয়েছিল। শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের মূল আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িকতা, সেটি বিস্তৃত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে। আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হলে ধরে নেয়া হয় তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। আর পাকিস্তানে বিশ্বাসী হলেই ধরে নেয়া হয় তিনি বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক। অদূরভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মজা পুকুরে বা ভরাট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে, এটিও ভুলব না, মুসলিম লীগ কম বড় পার্টি ছিল না। বিএনপিও। গত ৬৭ বছরে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। সে কারণে আওয়ামী লীগ অন্যান্য দল থেকে জনমানসে এক কদম এগিয়ে থাকবে। এ কৃতিত্ব তার থেকে কেড়ে নেয়া সম্ভব না। ১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী মুসলিম লীগ হয় তখনই তাদের ম্যানিফেস্টোতে স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ধারণাটিকে আরও সুস্পষ্ট, তীক্ষè করে বাঙালীর প্রাণের দাবিতে পরিণত করেছিলেন। ১৯৪৯ সালের পর কাগজে-কলমেই এই দাবি রয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন এই দাবি তুললেন তখন বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন দল থেকেই এবং তাতেই বোঝা যায় কেন এই দাবি ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফাকে এক দফায় নিয়ে গিয়েছিলেন ধাপে ধাপে। বঙ্গবন্ধু যেমন আওয়ামী লীগকে নতুন প্রাণ দিয়েছেন তেমনি আওয়ামী লীগ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু এগোতে পারতেন না। যে ম্যানিফেস্টো ১৯৪৯ সালে রচিত হয়েছিল যার কথা সবাই ভুলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ছাড়া, তা তিনি এগিয়ে নিয়ে ২৫ বছরে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিলেন। তার স্বপ্ন কার্যকরে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৬৪ সালের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু নির্মাণের কথা বলেছিলেন। স্বাধীনতার পর যমুনা সেতু নিয়ে প্রথমেই তিনি জাপানের সঙ্গে কথা বলেন। সে সেতু পরে সম্পন্ন করা হয়েছে শেখ হাসিনার সময়। এ উদাহরণ দিলাম এ কারণে যে, আওয়ামী লীগ যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন সময় তার বড় অংশ পূরণ করেছে বা পূরণ করতে সচেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের আর কোন দল এমন দাবি করতে পারবে না। কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রাম’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে যেখানে মূল প্রবন্ধ পড়েছিলেন অধ্যাপক হারুন অর-রশিদ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মূল ধারার রাজনীতির ধারক। মূল ধারার রাজনীতি বলতে শাশ্বত বাঙালীর ধ্যানধারণা বৈশিষ্ট্যকেই তিনি বুঝিয়েছেন। তিনি শুধু নন, যারা নেতা আওয়ামী লীগের বা সমর্থক তাদের অনেকেই তা বিশ্বাস করেন। আমার মনে হয় বাস্তবতা তা নয়, কখনও ছিল না। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক নানা কারণেই এ দেশের সমাজ রক্ষণশীল, অধিকাংশ মানুষ প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসী। যে কারণে এখানে যে সব রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছিল তার অধিকাংশ প্রতিক্রিয়াশীল অথবা ডানপন্থী। তা না হলে, এখনও এ দেশে বিএনপি-জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি থাকে? যারা ভোট দেয় তাদের স্ট্যাটিসটিকস দেখেন। আওয়ামী লীগের ভোটের সংখ্যা কত? বিরোধীদের ভোটের সংখ্যা কত? প্রতিক্রিয়ার মধ্যে এক ধরনের হিপোক্র্যাসি আছে। ধরা যাকÑ ক। তিনি সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে, সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়ে পরাক্রমশালী সচিব হয়েছেন। তার বেতনে বরকত ছিল। ছেলেমেয়ে ইংরেজী মিডিয়াতে পড়িয়েছেন তারপর আমেরিকা পাঠিয়েছেন। ছেলে শ্বেতাঙ্গিনী বিয়ে করেছে। মেয়ে শ্বেতাঙ্গ, তাতে তিনি অখুশি নন। কৃষ্ণাঙ্গ বিয়ে তার পছন্দ নয়। তিনি ও তার বেগম সাহেবা প্রচুর হিল্লি দিল্লি করেছেন। রিটায়ার করার এক বছরের মাথায় থুতনিতে দাড়ি রেখেছেন এবং গ্রামে গিয়ে প্রথমে একটি মাদ্রাসা খুলেছেন ও মসজিদ গড়েছেন। গ্রামে আরও একটি মসজিদ মাদ্রাসা আছে। কিন্তু সেক্যুলার একটি স্কুল খোলেননি। এটি মৌল চরিত্র বাঙালী মুসলমানের। আওয়ামী লীগের অর্জন বা কৃতিত্ব এরকম কোটি কোটি মানুষকে নিজের আদর্শে প্রভাবান্বিত করে তার ম্যানিফেস্টো কার্যকর করা। এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। পৃথিবী আসলে রক্ষণশীল। হিসাব করে দেখুন, বিভিন্ন দেশে প্রতিক্রিয়াশীলরা কতদিন শাসন করেছে আর লিবারেলরা কতদিন? তবে গণতন্ত্র যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ও সত্যিকার অর্থে রূপ পেয়েছে সেখানে ডান বা বাম একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। ভারতে বিজেপি কোন ধর্মের মানুষ কিভাবে কি খাবে যে ঠিক করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপুলসংখ্যক মানুষ এক খচ্চরকে প্রেসিডেন্ট বানাতে আগ্রহী। যে দল ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে এবং পুড়িয়ে মানুষ মারায় দক্ষ সে দলের প্রধানকে বাংলাদেশের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ ক্ষমতায় দেখতে আগ্রহী। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ দেশ যখন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়, তখন খচ্চরাও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ এ দেশ কতদিন শাসন করেছে আর প্রতিক্রিয়াশীলরা কতদিন? অথচ সব রাজনৈতিক অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। এরকম একটি দেশে নিজ ম্যানিফেস্টো থেকে বিচ্যুত না হয়ে নির্বাচনে জেতা সেটি আওয়ামী লীগের অর্জন। বর্তমানে যে সব রাজনৈতিক দলকে গণনার মধ্যে আনা হয় যেমন, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ-এর মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে, স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হয়েছে। ফলে, এই দলের মৌল অরিয়েন্টেশন নিরস্ত্রদের ক্ষমতায়ন। অন্যদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি সামরিক পাকিস্তান মনস্ক গোয়েন্দা দফতর দ্বারা গঠিত। মূলত গোয়েন্দা অর্থ ধরে নেয়া হয় এদের বিকশিত হওয়ার ভিত্তি। যে কারণে এ দল দুটি দক্ষিণপন্থীতো বটেই পাকিস্তান মনস্কও। ১৯৫৮ সালের পর থেকে জামায়াত ইসলামও একইভাবে পুষ্টি অর্জন করেছে। যে কারণে, এরা পাকিস্তানের ছায়া থেকে সরে আসতে পারেনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ সব দলের নেতাদের এখন পর্যন্ত কোন বিবৃতি পাওয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াত একই দলের দুটি দিক। বিএনপির জিয়া ও জাতীয় পার্টির এরশাদ দুজনই ছিলেন সামরিকায়ণ বা সামরিক সমাজের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান সমাজের সর্বক্ষেত্রে সশস্ত্রদের হটিয়ে নিরস্ত্রদের ক্ষমতায়ন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দুটি কারণ ছিলÑ বাংলাদেশ গঠন ও নিরস্ত্রদের ক্ষমতায়ন। বিএনপি-জামায়াত এটিকে অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করে, যে কারণে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। এ কারণেই ধরে নেয়া যায় আওয়ামী লীগ অধিক গণতন্ত্রায়ণ ও মৌলভাবে সামরিক শাসনবিরোধী। বিএনপি-জামায়াত জোট যে আওয়ামী বিরোধী তার মৌল কারণ, এটি। এবং তারা যে শেখ হাসিনার বিরোধী তার কারণ তিনি সে ঐতিহ্যের ধারক এবং সে কারণে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করেছেন। এটি তাদের চোখে অপরাধ এবং এই অপরাধের কারণে তাঁকে ২৫ বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি বৈশিষ্ট্য সজীবতা। ১৯৪৯ সাল থেকে প্রায় সময়ই ছিল তাদের জন্য দুঃসময়। আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতা কম করে দু’তিন বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু ১১ বছর। কয়েকবার এ দল বিলুপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতোই তা আবার জেগে উঠে ডানা ঝাপটাচ্ছে। বিরোধী দলে থাকতে হয়েছে বহুদিন। তাতেও নেতা-কর্মীরা ভেঙ্গে পড়েননি। এই সজীবতা খুব কম দলই আছে। আওয়ামী লীগ থেকে অনেকে বেরিয়ে এসে নতুন দল গড়েছেন। কিন্তু তাদের সে সব দল বিলীন হয়ে গেছে। মূল আওয়ামী লীগ যেমনটি ছিল তেমনটিই আছে। আওয়ামী লীগ মধ্যপন্থী দল। তবে মৃদু বামের সঙ্গে এ দলের ঘনিষ্ঠতা সবসময়ই ছিল। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তার আত্মজীবনীতে এর উল্লেখ আছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানেও মূল নীতি হিসেবে তা যুক্ত করেছিলেন। স্বাধীনতার পর দুটি বাম দলের সঙ্গে জোটও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মধ্যপন্থা অবলম্বন করলেও বামের প্রতি তার দুর্বলতা ছিল। ১৯৭০-৭৫ সালে এ কারণে আওয়ামী লীগে ডান /রক্ষণশীল/ প্রতিক্রিয়াশীল অংশটি তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ব্যক্তিগতভাবে হয়ত পদ পেয়েছেন, যেমন খন্দকার মুশতাক। হয়ত এ কারণে সরকার প্রতিক্রিয়ার পক্ষে যায়নি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৫৪, ১৯৫৬ এমনকি ১৯৭২-৭৫ সাল ধরলেও তা পরিলক্ষিত হবে। এটি আলটপকা কোন মন্তব্য নয়। স্ট্যাটিসটিকসই এর প্রমাণ। শেখ হাসিনাকে যত অপছন্দই করেন, কেউ কি বলতে পারবেন সংখ্যা তাত্ত্বিক হিসাব দিয়ে তার আমলে উন্নয়ন হয়নি। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার আমল বিবেচনা করুন। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের গ্রাফ বাড়ছে। চলবে....
×