ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মিলু শামস

ব্রিকস ব্যাংক ॥ নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হবে কি

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

ব্রিকস ব্যাংক ॥ নতুন অর্থনৈতিক শক্তি হবে কি

পদ্মা সেতু ইস্যুতে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক টানাপড়েন সে সময় আরেকটি বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভাব বারবার মনে পড়িয়ে দিয়েছিল। বিশ্বে একচেটিয়া রাজত্ব প্রতিষ্ঠাকারী বিশ্বব্যাংক গরিব দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলে ইচ্ছেমতো নাকানি চুবানি খাইয়ে আসছে। শুরুতে যদিও উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ঋণ সহায়তা দিয়ে এসব দেশের দারিদ্র্য ক্রমশ কমিয়ে আনার ‘মহত’ উদ্দেশ্যের কথা জানান দিয়েছিল। কিন্তু কাজে কর্মে এসব দেশের কাছে এর মহাজনী চরিত্রই শুধু প্রকট হয়নি একই সঙ্গে এটি যে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থরক্ষার শক্তিশালী এজেন্ট তাও প্রমাণিত হয়েছে। তবু বিকল্প না থাকায় এর কাছেই ধর্ণা দিতে হয় সাহায্যপ্রার্থী দেশগুলোকে। এর সহায়তা প্রত্যাখ্যান করার মতো মেরুদ-শীল সরকারও এসব দেশে সাধারণত থাকে না। অবশ্য নত হয়ে থাকার রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবহ উন্নয়নশীল দেশে কৌশলে এরাই সৃষ্টি করে রাখে। বিশ্বব্যাংকের একচেটিয়া আধিপত্যের বিপরীতে নতুন অর্থনৈতিক শক্তির পাঁচ দেশ-ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকা- সংক্ষেপে ব্রিকস ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ বা ‘এনডিবি’ নামে এক ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। দশ হাজার কোটি ডলারের উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার খবর জানিয়ে সে সময় বলা হয়, ব্যাংকের পাশাপাশি জরুরী সঙ্কট মোকাবেলায় আইএমএফ এর বিকল্প হিসেবে দশ হাজার কোটি ডলারের একটি মুদ্রা তহবিলও থাকবে। প্রাথমিক পুঁজি হিসেবে পঞ্চাশ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলারের অবকাঠামো তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার কথা বলে। উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ সহায়তা দেয়াই মূল লক্ষ্য। বিশ্বব্যাংক প্রস্তাবিত এ নতুন ব্যাংকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, একে সমর্থন দিতে ও এর সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত। এ ব্যাংক হবে তাদের ভ্যালু এবল পার্টনার। বলেছে, তাদের লক্ষ্য অভিন্ন, উন্নয়নশীল বিশ্বের দারিদ্র দূর করা ও অগ্রগতি অর্জনে সহায়তা দেয়া। বিশ্বব্যাংক আগ বাড়িয়ে সহযোগিতার কথা বললেও দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থমন্ত্রী একে বিশ্বব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী দাবি করেছিলেন। যে পুঁজিবাদী কাঠামোয় বিশ্বব্যাংক রাজত্ব করছে সেই একই কাঠামোয় এর জন্ম হলেও এর বঞ্চনার ইতিহাস আছে। ব্রিকস দেশগুলোর জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের শতকরা পঁচিশ ভাগের মালিক এরা। এ ছাড়া তিরিশ শতাংশ ভূমি ও বিশ শতাংশ পণ্য উৎপাদন ক্ষমতার অধিকারী তারা। কিন্তু সক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক আইএমএফও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাদের অবস্থান বদলায়নি। বিশ্বব্যাংকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের দুশো পঞ্চাশটি ভোট প্রয়োগ করার বিধান থাকলেও আসলে ভোট দেয়ার শতকরা আশিভাগ ক্ষমতা পশ্চিমা ধনী দেশগুলোর এবং ব্যাংক পরিচালনার মূল নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। শুধু তাই নয়, বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান হবেন একজন মার্কিন এবং আইএমএফের প্রধান হবেন ইউরোপীয়। অন্য কোন দেশের প্রতিনিধির প্রবেশাধিকার এখানে নেই। যদিও এখন এ নীতিতে পরিবর্তন এসেছে। সুতরাং উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকে ব্রিকস জোটের নীরব প্রতিবাদও বলা যায়। বিভিন্ন কারণে বিশ্বে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিশ্বব্যাংকের জনপ্রিয়তায় যখন ভাটার টান তখন এ রকম একটি উদ্যোগ স্বাভাবিকভাবে সবার মনোযোগ কেড়েছে। সদ্য শেষ হওয়া গোয়ার ব্রিকস-বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এনডিবি প্রধান কেভি কামাথ বললেন, ‘কেবল অবকাঠামো খাতে প্রতিবছর এক থেকে এক দশমিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হয়। বিশ্বের সব বহুমুখী ব্যাংক একত্রে এর মাত্র পনের শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। সবুজ পৃথিবীর স্বপ্নে এনডিবি তার প্রথম বিনিয়োগে গ্রীন প্রজেক্টে মোট নব্বই কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গ্রীন প্রজেক্টে ঋণ দেয়ার মধ্যদিয়ে উদীয়মান অর্থনীতির এ পাঁচ দেশের জোটের ব্যাংক ঋণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। মোট ঋণের পরিমান দুশো পঞ্চাশ কোটি ডলার। একচেটিয়া ক্ষমতা ভারসাম্যের আঘাত হিসেবে আসতে পারে ব্রিকস এর উন্নয়ন ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে সদস্য দেশগুলো প্রত্যেকে দশ বিলিয়ন ডলার দিয়ে তহবিল গঠন করেছে। শুরুতে ব্রিকসকে যারা একগুচ্ছ হতাশ দেশের কথামালার আউটলেট বলে বিদ্রƒপ করেছে, যারা বিশ্বে নিজেদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখতে চায় তারা হয়ত কিছুটা চাপ অনুভব করছে। নিজেদের অবস্থান যে আগের মতো নেই তা তারা দু’হাজার নয় এও একবার টের পেয়েছে। ওই বছর ছাব্বিশ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা ব্রাজিল প্যারাগুয়ে উরুগুয়ে ইকুয়েডর বলিভিয়া ও ভেনিজুয়েলা মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিল ‘ব্যাংক অব সাউথ’। যা ছিল বিশ্বব্যাংকের প্রতি এক ধরনের প্রত্যক্ষ চ্যালেঞ্জ। ব্যাংক অব সাউথের প্রাথমিক তহবিল ছিল দু’হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ব্রিকস এর প্রাথমিক তহবিল ধরা হয়েছে প্রত্যেক সদস্য দেশের জন্য দশ বিলিয়ন। এদেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার বিশাল রিজার্ভ ও এ মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি উদ্বৃত্ত সঞ্চয় রয়েছে। যা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে ও তারা শেষ করতে পারছে না। পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানে অপর্যাপ্ত সুদে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। সুতরাং এ রকম একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা তাদের নিজেদের অর্থনীতির গতিশীলতার জন্যও অপরিহার্য হয়েছে। নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে অবদান রাখার যথেষ্ট সম্ভাবনা তাদের রয়েছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সদিচ্ছার ওপর। বিশ্বব্যাংকের মোড়লগিরি এবং এর কূটকৌশলের রাজনীতির ভুক্তভোগী তারাও। সুতরাং আশা করা যায় একই পুঁজিবাদী কাঠামোয় জন্ম হলেও এ ব্যাংক ছোট ছোট প্রান্তস্থ পুঁজির দেশ যারা বিশ্বপুঁজিবাদী প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে হাঁসফাঁস করছে, তাদের প্রতি সত্যিকারের সহমর্মী আচরণ করবে। বিশ্বব্যাংকের মতো চালাকি ও শঠতার পথে যাবে না। গত শতকের আশির দশকে কাঠামো পুনর্বিন্যাসের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অশিল্পায়ন ও রাষ্ট্রের পরিপূরক হিসেবে নিজের ভিত শক্ত করার যে স্ট্র্যাটেজি বিশ্বব্যাংক নিয়েছিল তা চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে গ্যাট চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। ওই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিশ্ব পুঁজিবাদী প্রক্রিয়ার অংশ হয়। যে পুঁজির ঢেউয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব আবর্তিত হয় বাংলাদেশের মতো দেশ ও তাতে অবগাহন করলে ক্ষমতা সম্পর্কের যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় তার কুফল অনেক। নিজেদের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়ার অবাধ সুযোগ দিয়ে দেশীয় পর্যায়ে এতে সৃষ্টি হয়েছে এক রাজনৈতিক পরজীবী শ্রেণী। যাদের কাছে দেশের সম্মান ও উন্নয়ন কখনও গুরুত্ব পায় না। কয়েক হাজার ডলারের জন্য দেশের সম্মান বিক্রি করতে বাধে না। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশে দেশে এরকম শাসক শ্রেণী তৈরি করা বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অঘোষিত এজেন্ডা। এতে এসব দেশের ঘাড় মটকানোর কাজটি অনেক সহজ হয়। শর্তের পর শর্ত দিয়ে নানা ধাপে ঋণের চক্রে আটকাতে এর জুড়ি নেই। চুয়াল্লিশ বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। এর জন্য বাংলাদেশকে মূল্য দিতে হয়েছে অনেক। ঋণ শোধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন গিলে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন অনেক প্রকল্প হাতে নেয়ায় বাংলাদেশ নিজেকে বহুজাতিক কোম্পানির বাজারে পরিণত করেছে। এর সাংস্কৃতিক বহির্প্রকাশও ক্রমশ বাজার অভিমুখী হয়েছে। ঘরোয়া আড্ডা থেকে শুরু করে সভাসমাবেশে নিজেদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্তসার শূন্যতা নিয়ে যারা বিলাপ করেন তারা এর পেছনের কারণগুলো অনেক সময়ই তলিয়ে দেখেন না বা দেখতে পারেন না। এক সময় সুস্থ ধারার রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি দেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছিল। যা মানুষের চেতনার স্তর শাণিত করত অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শক্তি যোগাত। সেই ধারা আজ প্রায় অনুপস্থিত। প্রতিবাদী মানুষেরা যেন গুহাবাসী। সাহিত্য শিল্পাঙ্গনের মানুষদের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ প্রায় চোখে পড়ে না। যে অর্থনৈতিক প্রেসিক্রিপশনে দেশের রাজনীতি পরিচালিত হয়েছে সেখানে কমিটমেন্টের অবস্থান প্রায় শূন্য। রাজনীতি কমিটমেন্ট হারালে শিল্প সাহিত্যেও তার অনিবার্য প্রভাব পড়ে। এর সত্যতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর দরকার নেই প্রতিমুহূর্তে মর্মেমর্মে উপলব্ধি করছি আমরা। কাঠামো পুনর্বিন্যাস এর রাজনৈতিক অর্থনীতির পলিসি সমাজের ভারমাস্য ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। শিল্পায়ন নিরুৎসাহিত করে সামাজিক ব্যবসা শেয়ার ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের ওপর বীমা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ইত্যাদিকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় অনুৎপাদনশীল খাতে পুঁজির লগ্নি যত বেড়েছে উৎপাদনশীল খাত ততো গুরুত্ব হারিয়েছে। গত শতকের সত্তর দশক পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের শতকরা নব্বই ভাগ ছিল বাণিজ্য ও উৎপাদনশীল খাতের সঙ্গে জড়িত। এর পুরোটাই এখন চলে গেছে অনুৎপাদন খাতে। বিশ্ব পুঁজিবাদের এমন বিন্যাসের চক্রে পড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ব্রিকস প্রস্তাবিত উন্নয়ন ব্যাংক তাই উন্মুখ প্রত্যাশা সৃষ্টি করছে। সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, জোটে চার মহাদেশের পাঁচটি দেশের সদস্য রয়েছে এবং সবদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সমান না হলেও সবাইকে সমান হারে মূলধন যোগান দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয়া যায় সিদ্ধান্তের বেলায়ও একক কর্তৃত্বের বদলে সবার সমান অংশীদারিত্ব থাকবে। তবে দুর্মুখেরা এর মধ্যেই বলতে শুরু করেছে- ব্রিকসের চীন ও ভারতের দৃষ্টি আফ্রিকার কাঁচামালের দিকে। নিজেদের পণ্যের যোগ্য বাজারের খোঁজে দক্ষিণ আফ্রিকামুখী হয়েছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক পনেরো বছরের। দেড় শ’ কোটি ডলারে বাণিজ্য শুরু হলেও এ ক’বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারে। চীনের বিনিয়োগও আছে এখানে প্রায় এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আফ্রিকা মহাদেশের অন্যান্য দেশে চীনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক দশ হাজার কোটি ডলারের বেশি হলেও দক্ষিণ আফ্রিকাই এ অঞ্চলে চীনের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগী। দু’হাজার বারোয় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য হয়েছিল ষাট বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ করেছে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অন্যদিকে আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য তিন হাজার তিন শ’ কোটি ডলারের। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে পাঁচ দেশের মধ্যে চীনের অবস্থান ব্যাপক ব্যবধানে সবার ওপরে। চীনের একার জিডিপি অন্য চার দেশের সম্মিলিত জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। তবে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে কূটচাল চলছে তাতে এদের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত কেমন হবে ব্যাংকের ওপরও তার গভীর প্রভাব পড়বে নিশ্চয়ই।
×