ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ১৯-২৭ নবেম্বর হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘এএইচএফ কাপ হকি প্রতিযোগিতা’র পঞ্চম আসর। এতে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এই আসরের শীর্ষ চার দল খেলবে এশিয়া কাপ হকির মূলপর্বে। এ আসরে ২০০৬, ২০০৮ এবং ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এ আসরে অংশ নেয়া উপলক্ষে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) গত মাসে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করে। পরে জানান হয়, জাতীয় হকি দল জার্মানিতে একমাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে। এই দলের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়রা প্রাথমিকভাবে চলে যাবেন জার্মানিতে। সেখানে তারা খেলবেন বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে। এ সময় জার্মানির শক্তিশালী ক্লাবগুলোর সঙ্গে জাতীয় দল খেলবে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর দেশে ফিরে ঢাকায় কিছু দিন ক্যাম্প করে দল যাবে হংকংয়ে খেলতে। জার্মানিতে আপাতত ১৯ জন আছে অনুশীলনে। ঢাকায় রয়েছে বাকি ১৬ জন। একমাসের অনুশীলন শেষে জার্মানি থেকে ওই ১৯ জন ফিরে এলে তাদের সঙ্গে বাকি ১৬ জন যুক্ত হবে। এখান থেকেই চূড়ান্ত ১৮ খেলোয়াড়কে বেছে নেয়া হবে হংকং সফরে। পোল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১০টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মিমো-চয়নরা। এ লক্ষ্যে পোল্যান্ডের উদ্দ্যেশে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ছে জাতীয় দল। ভাল ফলের লক্ষ্যে জাতীয় হকি দলের সবধরনের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে বাহফে। অন্যবারের চেয়ে এবারের জাতীয় হকি দলগঠন করা হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে। প্লেয়ার সিলেকশনে এবার ছিল ভোটাভুটি! হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই আসরে সফল হতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয় বাহফে। ১৯৭২ সাল থেকে যাত্রা শুরু করার পর এ পর্যন্ত তারা কোচিং প্যানেল নিয়ে যা করেনি, এবার সেটাই করে তারা। সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফই হচ্ছেন জার্মানি থেকে। এজন্য ওই আসরকে কেন্দ্র করে একটি তিনমাস মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তার চূড়ান্ত রূপ দিচ্ছে বাহফে। অলিভার কার্টজকে হেড কোচ, গেরহার্ড পিটার উপদেষ্টা কোচ, লুজার বিসম্যান টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার, এ্যাখিম মেনট্রস ভিডিও এ্যানালিস্ট এবং জুস্ট ক্রুইজেন ফিজিও। ক্যাম্পের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরিফুল হক প্রিন্স এবং মাহবুব এহসান রানা। স্থানীয় হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাহবুব হারুন। এছাড়া একটি সফটওয়্যারে ম্যানুয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোচিং অনুশীলন পরিচালিত হবে। এ উপলক্ষে সোমবার বাহফেতে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনীর, যুগ্মসম্পাদক আনভীর আদিল খান ও জাতীয় দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স। ওইদিনই জার্মানিতে চলে যান প্রিন্স, রানা ও হারুন। সঙ্গে যান নয় খেলোয়াড় : জাহিদ, অসীম, কামরুজ্জামান, মিলন, আরশাদুল, রেজাউল, মিমো, জাহিদ হোসেন ও খোরশেদুর। খেলা হবে হংকংয়ে। কিন্তু জার্মানিতে কেন কন্ডিশনিং ক্যাম্প? এ নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচিত হতে হয়েছে বাহফেকে। এ প্রসঙ্গে শফিউল্লাহ আল মুনীর বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমাদের অনেকেই ধড়িবাজও বলেছে। এটা দুঃখজনক। জার্মানি থেকে কেউ ফিরে না এলে তার গ্যারান্টার আমি হব। হকিতে যে পুনর্জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’ ‘নবেম্বরে যে টুর্নামেন্ট তাতে চ্যাম্পিয়ন হবার বিকল্প নেই আমাদের। আর তাই সবধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জাতীয় দলকে প্রস্তুতির জন্য দেশের বাইরে পাঠাচ্ছি।’ যোগ করেন মুনীর। চূড়ান্ত দলের এই ১৯ খেলোয়াড় হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় এএইচএফ কাপ হকির মূল দলে ঠাঁই পাবেন কিনা? জানতে চাইলে মুনীর বলেন, ‘সিলেকশন কমিটি যাদের নির্বাচন করেছেন তারা সবাই চূড়ান্ত দলে থাকবেন আশা করছি। জার্মানিতে যে ৯ জন আছেন তারা তাদের পারফর্মেন্স দিয়েই জাতীয় দলে ঠাঁই পেয়ে আসছেন। আগামীকাল (আজ) ১০ জনের দলটা বার্লিন যাবে। বার্লিন থেকে পুরো দল পোল্যান্ডে চলে যাবে। সেখানে সব ব্যবস্থা করা আছে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯-২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে মোট চার ম্যাচ খেলবেন জিমিরা। এরপর ২৩ অক্টোবর রিকভারি সেশন শেষে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর আরও ২ ম্যাচ খেলবেন পোল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ২৭ অক্টোবর অস্ট্রিয়া গিয়ে তাদের জাতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলা শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আরও চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরে ঢাকায় ১৫-১৬ দিনের মতো ক্যাম্প করে এএইচএফ কাপ খেলতে হংকং যাত্রা করবেন মিমোরা।
×