ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আশা ইয়াসিরের

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আশা  ইয়াসিরের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মুখোমুখি’, ‘চ্যালেঞ্জ’ শব্দগুলোর সঙ্গে কেমন একটা বিরোধের গন্ধ জড়িয়ে! তবে ‘বিরোধ’ নয়, আর দশজন পাকিস্তানী ক্রিকেটারের মতোই ভারতের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চান ইয়াসির শাহ। দু’দেশের ক্রিকেট মানেই অন্য রকম উত্তেজনা। বর্তমান সময়ের সেরা অফস্পিনার ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আর লেগস্পিনে স্বপ্নের সময় পার করছেন পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ। অশ্বিন সম্প্রতি ২০০ ও ইয়াসির দ্বিতীয় দ্রুততম ১০০ শিকারের রেকর্ড গড়েছেন। সময়ের পেক্ষাপটে দু’দলের লড়াই মানে তো এখন এই দুই স্পিনারেরও লড়াই! দুবাইয়ে ইয়াসিরকে শত-শিকারের আগে ও পরে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অশ্বিন। জবাবে ধন্যবাদ দিয়ে তুখোড় ইয়াসিরও এবার তার ইচ্ছার কথা জানালেন, ‘প্রত্যেক পাকিস্তানী ও ভারতীয় ক্রিকেটারেরই একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়ের ইচ্ছে থাকে। আমি এখনও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলিনি। সত্যি বলতে, এটি আমার জীবনের অন্যতম বড় এক চাওয়া।’ ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দু’দেশের দিপক্ষীয় ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তানী জঙ্গীগোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে। ২০০৭ সালে সর্বশেষ টেস্টে মুখোমুখি হয় চিরশত্রু দুই প্রতিবেশী। অশ্বিনের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে, আর ইয়াসিরের ২০১৪ সালে। অভিষেকের পর থেকেই অবিশ্বাস্য পারফর্ম করছেন তারা। দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডে নাম লেখান ইয়াসির। এজন্য মাত্র ১৭টি টেস্ট খেলেন তুখোড় এই লেগস্পিনার। ৯৫ উইকেট নিয়ে মাঠে নামা ইয়াসিরকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে অশ্বিন টুইটারে লেখেন, ‘ইয়াসিরকে আগাম শুভেচ্ছা। খুব সম্ভব সে আমার রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিতে যাচ্ছে। অসাধারণ। ওর বোলিং দেখতে আমারও ভাল লাগে।’ ১০০ শিকারের পর আরেক টুইটারে অশ্বিন, ‘একটু দেরিতে হলেও আমি ইয়াসিরকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই, দারুণ কাজ করেছে সে।’ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানে চলছে শীতল সম্পর্ক। যার প্রভাব পড়ছে দু’দেশের ক্রিকেটেও। কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগঠক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকে। সেখানে ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের দারুণ এক বার্তা ছড়িয়ে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইয়াসির বলেছেন, অশ্বিনের শুভকামনা তাকে অনুপ্রাণীত করেছে, ‘অশ্বিন আমাকে শুভকামনা জানিয়েছে, এজন্য অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ। বিশ্বের সেরা একজন বোলারের কাছ থেকে এমন বার্তা সত্যিকার অর্থেই দারুণ ব্যাপার। আমি খুবই অনুপ্রাণীত হয়েছি।’ দুবাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইয়াসিরের বোলিং ফিগার ৪৩-১৫-১২১-৫। ইয়াসির অনন্য এই রেকর্ডে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছেন। সমান ১৭ টেস্টে ১শ’ উইকেট নিয়ে সঙ্গী হয়েছেন চার্লস টার্নার (১৮৮৭), সিডনি বার্নস (১৯০১) ও ক্লারি গ্রিমিটের। ইয়াসিরের আগে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিমিট রেকর্ডটি গড়েছিলেন সেই ১৯৩১ সালে! ১৬ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে তাদের ওপরে কেবল ইংল্যান্ডের জর্জ লোম্যান (১৮৮৬ সালে)। পাকিস্তানের আগের দ্রুততম ১শ’ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি ছিল সাঈদ আজমলের দখলে (১৯ টেস্টে)। সেটি তো ছাড়িয়ে গেছেনই, গোটা উপমহাদেশে এখন সবার ওপরে ইয়াসির। ১৮ টেস্টে শত-শিকারে যেখানে দ্বিতীয় স্থানে অশ্বিন!
×