ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

ঢাকা কিছুটা ঠাণ্ডা হয়েছে। অন্তত রাতের বেলা বোঝা যাচ্ছে গরম কালের অবসান ঘটতে চলেছে। গত সপ্তাহে কোজাগরী পূর্ণিমা ছিল। রাজধানীর আকাশে শারদ এই পূর্ণিমা চাঁদ সন্ধেবেলা থেকেই আলো ছড়াচ্ছিল। এমন জোছনা রাতে বনে যেতে সাধ জাগে রোমান্টিক মনের মানুষের। বন কোথায় এই মহানগরীতে! তবু মানুষ বেরিয়ে পড়েছে কোথায় একটু খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ানো যায়, চাঁদের আলোয় মনটাকে বদলে নয়া যায়, তারই সন্ধানে। কাজের সন্ধানে ঢাকামুখী নারীর বিপদ রাজধানী ঢাকা কোন জঙ্গল নয়, নয় অপরাধীদের অভয়ারণ্য। তবু এই মহানগরীতেই বাস করে কিছু মানুষরূপী জংলি, সড়ক দাপিয়ে বেড়ায় ভয়ঙ্কর অপরাধী! সারাদেশের কর্মসন্ধানী নারী-পুরুষের দৃঢ় বিশ্বাস ঢাকায় গেলে একটা না একটা কাজ জুটে যাবে। বিশেষ করে গায়ে-গতরে খেটে খাওয়া মানুষের বেলায় এই ধারণা অনেকাংশে সত্যও বটে। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের জন্য ঢাকা কতখানি নিরাপদ? ঢাকার বর্ধিতাংশ উত্তরা ক্রমান্বয়ে বড় শহর হয়ে উঠছে। কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসা নারীদের বড় একটি অংশ এখানে কাজ খুঁজে নিচ্ছে। গত বছর উত্তরায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক তরুণী। এসএসসি পাস করে দারিদ্র্যের কারণে আর পড়া হয়নি মেয়েটির। ঢাকায় এসে চাকরি খুঁজে পেয়েছিল সে। উত্তরায় একটি বিপণি বিতানের বিক্রয়কর্মী সেই তরুণীর ওপর বর্বরদের আক্রমণের সংবাদটি দেশের অনেক লোকের জানা। ঢাকায় নতুন আসা মেয়েদের জন্য বিষয়টি আতঙ্কজনক। ওই তরুণীটি অল্প কিছুকাল আগে এসেছিল ঢাকায়। বয়সও তার অল্প। যদিও মেয়েটির মনোবল দৃঢ় বলেই সে থানায় গিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই রাতের মধ্যেই তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আমরা আশা করেছিলাম ধর্ষকদের এবার নিশ্চিতভাবেই শাস্তি দেয়া যাবে। বাস্তবে তার প্রমাণ মেলেনি। গত সপ্তাহেই ঢাকায় এ ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে যা বিবেকবান ঢাকাবাসীর মর্মমূল ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই। মগবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনে ছয় দিন আটকে রেখে এক কিশোরী (১৪) ও এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করলেও আরেকজন পালিয়ে গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই দুই কিশোরী-তরুণীকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। ৭ অক্টোবর দুই কিশোরী-তরুণী কাজের সন্ধানে তাঁদের বাড়ি গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে পূর্বপরিচিত খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। খোকন তাদের কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তার বন্ধু মহিউদ্দিনের রমনার হাজী টাওয়ারের বাসার দশম তলায় নিয়ে যায়। এরপর খোকন ও মহিউদ্দিন সেখানে দু’জনকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ছয়দিন পর কৌশলে ওই দুই কিশোরী-তরুণী বেরিয়ে রমনা থানায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা ধর্ষণের মামলা করে। উত্তরার সেই মেয়েটির ধর্ষকদের মতো মগবাজারের দুই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই। পুলিশ চাইলে এর সুরাহা নিশ্চয়ই হতে পারে। ঢাকায় আগেও বিকৃত মনের পুরুষদের ধর্ষণের শিকার হয়েছে অল্প বয়সী মেয়েরা। তবে ‘গণধর্ষণ’ বিষয়টি ঢাকায় শোনা যাচ্ছে বছরখানেক হলো। ঢাকা এখন বছরে দু’-চারবার এ ধরনের কলঙ্কজনক অভিজ্ঞতার প্রত্যক্ষদর্শী হচ্ছে। কুড়ি বছর আগে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটলে ধর্ষণের শিকার নারীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে রগরগে কেচ্ছা ফাঁদা হতো পত্রপত্রিকায়। এদিক দিয়ে সমাজ এগিয়েছে বটে! কিন্তু ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কমাতে পারেনি। বরং তা অনেকাংশে বেড়েছে। এখন সচেতন ঢাকাবাসীর কর্তব্য হয়ে উঠেছে ধর্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর কিছু একটা করা। চোখ ও মুখ বন্ধ করে থাকলে চলবে না। কথা হলো একটি সমাজে নারী-পুরুষ পাশাপাশি এবং একই সঙ্গে যদি কাজ না করতে পারে তবে সে সমাজের সত্যিকারের উন্নতি হবে না। মহানগরী কবে হয়ে উঠবে নারীবান্ধব? বলধা গার্ডেনের সাম্প্রতিক চেহারা! পুরান ঢাকার এই উদ্যানটি নিয়ে পুরনো আমলের মানুষের অনেক সুখস্মৃতি। কিন্তু আজকের ঢাকাবাসী কি বলধা গার্ডেন নিয়ে বড় গলায় ভাল কিছু বলতে পারবেন? সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে অল্পবিস্তর আলোকপাত। বিখ্যাত এই বাগানটির সৃষ্টি বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরীর হাতে উনিশ শতকের শেষের দিকে। এটি ছিল তার বাগানবাড়ি। সোয়া তিন একরের এই বাগানটি দুটি ভাগে বিভক্ত- ‘সাইকি’ আর ‘সিবিলি’। দুটি নামই গ্রিক পৌরাণিক শব্দ থেকে নেয়া যার অর্থ হলো ‘আত্মা’ আর ‘প্রকৃতির দেবী’। কিন্তু নরেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরীর মৃত্যুর পর এক সময় এই বাগান দুটি একসঙ্গে বলধা গার্ডেন নামে পরিচিতি পায়। নরেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম ফুলগাছ ও অন্যান্য দুর্লভ গাছ এনে লাগান এ বাগানে। সে সময়ে বলধা গার্ডেনে আট শ’ প্রজাতির প্রায় ১৮ হাজার গাছ ছিল। বিখ্যাত সব গুণীজন আসতেন এই বাগানে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এসেছিলেন তার অতিথি হয়ে। জানা যায়, এখানে অনেক বিদেশী ফুল আর গাছের বাংলা নামকরণ করেছিলেন তিনি। এখানকার ক্যামেলিয়া ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন তার বিখ্যাত কবিতা ক্যামেলিয়া। আসা যাক সম্প্রতি বলধা গার্ডেন ঘুরে আসা সায়কা শারমিনের অভিজ্ঞতার বয়ানে। ছোটবেলায় পত্রিকা পড়ে আমাদের এই পারিবারিক বন্ধুটি জেনেছিলেন বলধা গার্ডেনে নাকি এমন একটা ফুল গাছ আছে যার বিশাল পাতায় ২-৩ বছরের একটা বাচ্চাকেও শুইয়ে রাখা যাবে। আর পুকুরে ফুটে থাকা সেই ফুলও অদ্ভুত সুন্দর। আমাজন লিলিভর্তি পুকুরের মন ভোলানো সেই দৃশ্য নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারবেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। সায়কা সরেজমিন ঘুরে এসে বললেন, সাধারণ মানুষের জন্য এখন শুধু ‘সিবিলি’ অংশটিই উন্মুক্ত। টিকেট কাউন্টারের লোকটির ভাষ্যমতে ‘সাইকি’তে গবেষণার কাজ চলে। সায়কা বললেন, ‘শুনে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল কারণ এই অংশটিই আগে বেশি সুন্দর ছিল। টিকেট কেটে প্রধান ফটক পেরিয়ে ‘সিবিলি’তে ঢুকতেই দেখা গেল টাইলস দিয়ে বাঁধানো বইয়ের সূচীপত্রের মতো সুন্দর একটা মানচিত্র যা পড়ে যে কারও আগ্রহ বেড়ে যাবে বাগানটি ঘুরে দেখার। এই সূচীপত্র অনুযায়ী বলধা গার্ডেনের ‘সাইকি’ অংশে আছে এ্যালো হাউস, টাওয়ার হাউস, অর্কিড হাউস, ওয়াটার লিলি ট্যাঙ্ক, ক্যাক্টাস গ্যালারি, ক্যাক্টাস হাউস, আমাজন লিলি পন্ড, সাইকাস সেকশন, গুহা আরও কত কি; আর সিবিলি অংশে আছে ফার্ন হাউস, ক্যামেলিয়া হাউস, ওয়াটার লিলি ট্যাঙ্ক, সূর্যঘড়ি, জয় হাউস, লিলি পন্ড এবং অনেক কিছু। বাগান ঘুরে বাস্তবে এর কিছুই খুঁজে পেলাম না। ছোটবেলার দেখা সেই বলধা গার্ডেনের সঙ্গে এর কোন মিল নেই! বাগানে ঢোকার মুখেই দোকান আর দোকান। দোকানের ভেতরের অংশটুকু নিয়ে দোকানিদের আর কুলাচ্ছে না। বাগানের দুই অংশেরই প্রধান ফটক দুটি তারা বাড়তি ‘ডিসপ্লে হ্যাঙ্গার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন চিপস, চানাচুর, বিস্কুট ঝুলিয়ে রাখতে। বাগানের ভেতরে হাঁটার পথে এখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। গাছপালাগুলো পরিচর্যা করার জন্য কেউ আছে বলে মনে হলো না। অর্কিড, ক্যামেলিয়া, লিলি তো দূরের কথা দেশী ফুলের বাগানও নেই। জমিদার সাহেবের আট শ’ প্রজাতির গাছের মধ্যে এখন দু’শ’ প্রজাতিও আছে কিনা সন্দেহ। সূর্যঘড়ির কাঠামো আছে কিন্তু এটি কাজ করছে না। ছোট ওয়াটার ট্যাঙ্কগুলো যেখানে শাপলা, পদ্ম থাকার কথা সেখানে আবর্জনার স্তূপ, পচা পাতা, পলিথিন ব্যাগ, পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট, ছেঁড়া স্যান্ডেল কি নেই সেখানে! শানবাঁধানো ঘাটওয়ালা সেই পুকুরে কোথায় আমাজন লিলি আর কোথায় ওয়াটার লিলি? পুকুরের গাঢ় সবুজ পচা পানির গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। কয়েকটা হাঁস দুঃসাহস করে সেই পচা পানিতে সাঁতার কাটছে। অথচ এই আমাজন লিলির পুকুরটিই ছিল এক সময় আমার প্রিয় জায়গাগুলোর একটি। পাশে দাঁড়ানো স্থানীয় একজনের কাছে জানলাম বেশ কয়েক বছর আগেই আমাজন লিলি হারিয়ে গেছে এখান থেকে। ‘সিবিলি’র এই দুর্দশা দেখে ‘সাইকি’ অংশটা দেখতে না পারার দুঃখ ভুলে গেলাম। কোন গবেষক দল কি কি গবেষণা করেন তা আর বুঝতে বাকি রইল না। ভেতরের দিকের পরিস্থিতি তো ভীষণ বিব্রতকর! ঝোপের আশপাশে সব জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন বয়সের জুটি বেশ আপত্তিকর অবস্থায় ব্যস্ত। হঠাৎ কেউ দেখলে মনে করবে রোমান্টিক সিনেমার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং চলছে। বেশিরভাগই আশপাশের স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা ছেলেমেয়ে। এমনকি নেকাব পরা মেয়েও আছে কয়েকজন। পরিচিত একটা স্কুলের ইউনিফর্ম পরা একটা মেয়েকে নিয়ে একটা ছেলে বেশ জোরাজুরি করছে দেখলাম। পাশেই আরও দুটো ছেলে তার সঙ্গেই দাঁড়িয়ে হাসছে। একজনকে ডেকে বলতেই জানাল এরা এখানে সব সময় আসে। উল্টো আমাদেরই বলল মেয়েদের নিয়ে এখানে বেশিক্ষণ না থাকতে। তার কথায় বোঝা গেল আশপাশে যারা একটু ‘অন্তরঙ্গ প্রেম’ করেন তারা এখানে সব সময়ই আসেন। এমন জুটির জন্য এটি সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। কারণ এখানে কোন অভিভাবক আসেন না। হায় কপাল! বাচ্চাগুলোকে নিয়ে কোন দুঃখে এখানে এলাম তাই ভাবছিলাম। কি দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম আর কি দেখছে! ভয়ঙ্কর চেহারার কিছু লোক দেয়ালের পাশে বসে নেশাজাতীয় কিছু খেয়ে বুঁদ। শুনলাম ছিনতাইও নাকি হয় অহরহ। আর থাকা যায় না। মান সম্মান নিয়ে তাড়াতাড়ি পালালাম আমরা।’ উপেক্ষা করার পরিণতি উপেক্ষা করার পরিণতি ভাল হয় না, এ জন্য মূল্য দিতে হয়। রাজধানীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণশৌচাগার থাকলে রাস্তাঘাটে কুৎসিত দৃশ্য দেখতে হতো না, নাকে রুমাল গুঁজেও বড় রাস্তা ও অলিগলি পার হতে হতো না। ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের ওপরেই শুধু নয়, অলিগলিতে, পাড়া-মহল্লায় ও হোটেল-রেস্টুরেন্টের ছড়াছড়ি। মানুষকে দিনে বেশ ক’বার আহার গ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি মানুষের জন্যই এটি অপরিহার্য। ফলে হোটেলের ব্যবসা সব দেশেই রমরমা। ঢাকা অত্যন্ত জনবহুল বলেই এখানে হোটেলের সংখ্যাও বেশি। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকার প্রধান একটি সড়কের ওপর দু’-তিন কিলোমিটারের ভেতর অভিজাত রেস্টুরেন্টের সংখ্যা কুড়িটিরও বেশি! কিন্তু ওই সড়কে একটিও পাবলিক টয়লেট নেই। সব খাবার তো আর মানুষ হজম বা উধাও করে ফেলতে পারে না, শরীরের বর্জ্য তাকে বের করে দিতে হয়। জল বিয়োগ ও বর্জ্য বিয়োগের জন্য মানুষের কি কোন দুশ্চিন্তা নেই! আমার তো মনে হয়, শুধু পাবলিক সেক্টরেই নয়, প্রাইভেট সেক্টরেও ঢাকায় কিছু গণশৌচাগার নির্মিত হলে ধীরে ধীরে শিক্ষিত মানুষ সে সব ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠত। এখন মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠে। রাস্তাঘাটে প্রকৃতির ডাকে সেই সব মানুষ নিশ্চয়ই সুযোগ পেলে গণশৌচাগারের সুবিধা নিত। ফলে পাঁচ-দশ বছরে আমরা আরেকটু উন্নত পরিবেশ আশা করতে পারতাম। ২০১০ সালে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ ও ওয়াটার এইড যৌথ উদ্যোগে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষের গণশৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ভাসমান জনসংখ্যা পাঁচ লাখ। রিক্সাচালক ১০ লাখ। অন্যান্য জীবিকার মানুষ ১০ লাখ। নিয়মিত পথচারী ২০ লাখ। ঢাকার বাইরে থেকে আসা পথচারী ১০ লাখ। ওই সমীক্ষায় মোটামুটি ব্যবহারের উপযোগী গণশৌচাগার পাওয়া গিয়েছিল ৪৭টি। এর মধ্যে ৩৫টিতে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা নেই। গত ছয় বছরে গণশৌচাগারের সংখ্যা আরও কমেছে। অন্যদিকে গণশৌচাগার ব্যবহার করা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফলে নগরীর যেখানে-সেখানে মল-মূত্র ত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে কিছুদিন আগে একটি আধুনিক পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১৭ সালের মধ্যে আরও ১০০টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ১৬ অক্টোবর ২০১৬ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×