ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে জরিমানা রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে জরিমানা রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে ৩৩ লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি। ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। জরিমানার বিষয়টি ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে সোনালী ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখার জরিমানার টাকা সরকার-ই বহন করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। জানা গেছে, মানিলন্ডারিং ঠেকাতে ২০১০ সালে সোনালী ব্যাংক ইউকে শাখাকে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি। চার বছরেও এ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৩৩ কোটি টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ সপ্তাহের জন্য নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আমানত নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যাংকের গ্রাহকরা। পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই জরিমানার কারণে কমিউনিটি হতবাক। ব্যাংকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কমিউনিটির আস্থা হারাতে বসেছে। এক সময়ে ব্রিটেনে সোনালী ব্যাংকের ৬টি শাখা থাকলেও নানা অর্থচুরি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও লোকসানের কারণে এখন রয়েছে মাত্র ৩টি। আগামী ৩১ ডিসেম্বর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আরও একটি শাখা। একের পর এক নতুন অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির কারণে সোনালী ব্যাংকের ওপর ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির আস্থা এখন শূন্যের কোঠায়। সোনালী ব্যাংকের এই অনিয়মের খেসারত দিতে হবে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স সেবা প্রদানকারী বাংলাদেশী মালিকানাধীন অন্য ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে। এখন নতুন করে শঙ্কায় রয়েছেন বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। তাদের ধারণা, রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নীতিমালা আরোপ করতে পারে সরকার। এ বিষয়ে এমটিবি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, এফসি সোনালী ব্যাংকের ওপর যে জরিমানাটা করেছে সেটার প্রভাব পরোক্ষভাবে আমাদের ওপরও পড়বে। এখন তারা আমাদের আরও শক্তভাবে মনিটর করবে। যার ফলে আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহটা কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি।
×