ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিংসলের গোলে বিজেএমসির দ্বিতীয় জয়

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

কিংসলের গোলে বিজেএমসির  দ্বিতীয় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলের একমাত্র গোলে ভর করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে টিম বিজেএমসি। রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজেএমসি ১-০ গোলে হারিয়েছে সকার ক্লাব ফেনীকে। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে উঠে এসেছে বিজেএমসি। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের ভা-ারে জমা ১০ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে ফেনী সকার। শুরুর দিকে ম্যাচটি ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা জমজমাট হয়ে ওঠে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ভাল সুযোগ আসে বিজেএমসির। কিন্তু নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার স্যামসন ইলিয়াসু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১৫ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি এস.এম জাকারিয়া বাবুর দলকে। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে গোল করেন অধিনায়ক কিংসলে (১-০)। এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বিজেএমসি। অন্যদিকে ম্যাচে ফিরতে নিজেদের খেলায় গতি বাড়ায় ফেনী সকার। কিন্তু গোল পাওয়ার মতো কার্যকর আক্রমণ শাণাতে পারছিল না কোন দলই। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ হারায় ফেনী সকার। কিন্তু কাজে পারেনি কোচ লাডি বাবা লোলার দল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ফেনী সকার। কিন্তু গিনির ডিফেন্ডার চামারা মামাডুর শট বারপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটেই আরেকটা সুযোগ হারায় দলটি। এবার গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড চমরিন রাখাইন। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় ফেনীর দলটিকে। বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আক্রমণ শাণাতে থাকে ফেনী সকার। কিন্তু তাদের কোন প্রচেষ্টাই আলোর মুখ দেখেনি। ৫৮ মিনিটে ভাল সুযোগ নষ্ট করেন মিডফিল্ডার সাদ্দাম হোসেন। তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে বিজেএমসির সামনেও। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি দলটির ফরোয়ার্ডরা। ৬৪ মিনিটে মুকুলের পাস থেকে জিকুর নেয়া শট পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হারায় ফেনী সকার। নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার উচে ফেলিক্সের ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে টম ফ্রাঙ্কের শট বাইরের জালে আশ্রয় নেয়। ম্যাচের বাকি সময়েও গোল পেতে প্রচেষ্টা চালাতে থাকে ফেনী। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি তারা। ফলে আরও একটি হতাশার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। অন্যদিকে সিলেট পর্বে দু’টি ম্যাচেই হারের স্বাদ পাওয়া বিজেএমসি তৃপ্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। টানা দুই হারের পর এটি তাদের প্রথম জয়। ডায়বালার জোড়া গোলে জুভেন্টাসের জয় স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জুভেন্টাসের জন্য বেশ কঠিন একটা রাত গেছে শনিবার। চ্যাম্পিয়নরা উদিনিসের বিরুদ্ধে জিততেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। তবে পাওলো ডায়বালার জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় তুলে নেয় জুভরা। এ জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে একক শীর্ষস্থান অটুট রাখল তারা। তবে এএস রোমার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটা মিস হয়েছে। তাদের ৩-১ গোলে হারিয়ে হতাশা উপহার দিয়েছে ন্যাপোলি। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রোমা দুইয়ে এবং ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে ন্যাপোলি। তুরিনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে উদিনিসের বিরুদ্ধে গোল পেতে বেশ ঘাম ঝরেছে জুভেন্টাসের। উল্টো আগেই গোল হজম করে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়তে হয়েছে। ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময়ই উদিনিসের পক্ষে গোল করেন জ্যাকুব জাঙ্কটো (১-০)। পিছিয়ে পড়ার পর অবশ্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল ওল্ড লেডিরা। ৪৩ মিনিটেই স্বস্তি এনে দেন ডায়বালা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণটা ধারালো ছিল জুভেন্টাসের। সেটার ফল ম্যাচের ৫১ মিনিটেই পেয়েছে তারা। ডায়বালা নিজের দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন জুভেন্টাসকে (২-১)। ম্যাচে কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি খেলাননি গঞ্জালো হিগুয়াইন, লিওনার্দো বোনুচ্চি এবং সামি খেদিরা ও দানি আলভেসকে। মূলত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে লিও’র বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্যই তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন। এ কারণেই পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়তে হয়েছিল সিরি ‘এ’ চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে তাই স্বস্তিতে জুভেন্টাস। এ বিষয়ে ডায়বালা বলেন, ‘সবে অক্টোবর চলছে, এখনও আমাদের অনেক খেলাই বাকি আছে। হয়তো আমরা দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছি, কিন্তু এখনও আমাদের ন্যাপোলি ও রোমার বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া বাকি আছে।’ ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে রোমার অবস্থান দুইয়ে। তবে শনিবারের আগ পর্যন্ত ব্যবধানটা ছিল মাত্র ২ পয়েন্টের। ৮৫ বছর পর ইয়াসির শাহ... স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট ইতিহাসে দ্রুত ১ শ’ উইকেট শিকারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিলেন ইয়াসির শাহ। রবিবার দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চলমান ডে-নাইট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ৮৫ বছর পর এমন নজির স্থাপন করলেন পাকিস্তানী লেগস্পিনার। ১৭ টেস্টেই ১০০ উইকেট শিকার করলেন ‘সেনসেশনাল’ এ ঘূর্ণিতারকা। ইয়াসির অনন্য এই রেকর্ডে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছেন। সমান সংখ্যাক টেস্টে ১শ’ উইকেট নিয়ে সঙ্গী হয়েছেন চার্লস টার্নার (১৮৮৭), সিডনি বার্নস (১৯০১) ও ক্লারি গ্রিমিটের। ইয়াসিরের আগে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিমিট রেকর্ডটি গড়েছিলেন সেই ১৯৩১ সালে! ১৬ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে তাদের ওপরে কেবল ইংল্যান্ডের জর্জ লোম্যান (১৮৮৬ সালে)। ইয়াসির-বিষে নীল ক্যারিবীয়রা অলআউট ৩৫৭ রানে, যদিও পাকিরা (৫৭৯/৩ ডিক্লেঃ) তাদের ফলোঅন করায়নি। চতুর্থ দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় ২ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২০ রান। আগেরদিনই ২ উইকেট পাওয়া ইয়াসির কাল আরও তিন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান। ইতিহাস গড়ার পথে তিনি একে একে তুলে নেন কার্লোস ব্রেথওয়েট, লিও জনসন, শেন ডরিখ, জেসন হোল্ডার ও মিগুয়েল কুমিন্সকে। ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ৪৩-১৫-১২১-৫। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুত ১শ’ উইকেট শিকারে এর আগের রেকর্ডটি ছিল সাঈদ আজমলের (১৯ টেস্টে)। সেটি তো ছাড়িয়ে গেছেনই, গোটা উপমহাদেশে এখন সবার ওপরে ইয়াসির। ১৮ টেস্টে শত-শিকারে যেখানে দ্বিতীয় স্থানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই ম্যাচ শুরুর আগে যিনি ইয়াসিরকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটার করেছিলেন, ‘ইয়াসিরকে আগাম শুভেচ্ছা। খুব সম্ভব সে আমার রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিতে যাচ্ছে। অসাধারণ। ওর বোলিং দেখলে আমারও ভাল লাগে।’ দুবাইয়ে আরও এক ইনিংস বাকি, ৯৫ শিকারে শুরু করা ইয়াসিরের মোট উইকেট এখন সমান ১০০। আজহার আলির দুরন্ত ট্রিপল সেঞ্চুরির (৩০২*) ওপর ভর করে বড় স্কোর গড়ে পাকিস্তান। ফলোঅনে পড়লেও উইন্ডিজের জবাবটা একেবারে মন্দ হয়নি। ক্যারিবীয়দের সাড়ে তিন শ’ রানের সম্মানজনক পুঁজি এনে দেন ড্যারেন ব্রাভো ও মারলন স্যামুয়েলস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মূল্যবান ১১৩ রান যোগ করেন তারা। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে সোহাইল খানের শিকার হন স্যামুয়েলস, আর ৮৭ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ধরাশায়ী হন ব্রাভো। জার্মেইন ব্লাকউড ৩৭, আর রোস্টন চেইজ নামের পাশে যোগ করতে পারেন মোটে ৬ রান। শেষ দিকে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ২০ ও শেন ডরিখ করেন ৩২ রান। পাকিস্তানের হয়ে ইয়াসির ৫, ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজ নেন ২টি করে উইকেট।
×