ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওয়াহাবের গোলাপী বলের অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

ওয়াহাবের গোলাপী বলের অভিজ্ঞতা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডে-নাইট টেস্ট নিয়ে আলোচনা সেই শুরু থেকে। ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপী বলে বোলাররা কেমন করবেন, ব্যাটসম্যানদের জন্যেই বা কী অপেক্ষা করছে- এমন অনেক প্রশ্ন। তর্ক-বিতর্কের মধ্যে গতবছর নবেম্বরে এ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত হয় ইতিহাসের প্রথম ডে-নাইট টেস্ট। বোলারদের দাপটে সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সহজেই হারায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। খুব একটা বিতর্ক হয়নি। এ্যাডিলেড ওভালের গ্যালারি ভরে গিয়েছিল। সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন দুই অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। উপমহাদেশে যেটি প্রথম ডে-নাইট টেস্ট, সর্বোপরি দ্বিতীয়। ব্যাটসম্যানরা রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আজহার আলী, বোলারদের জন্য অভিজ্ঞতাটা সুখকর নয় বলেই জানিয়েছেন পাকিস্তানী পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ‘এটা নতুন এবং খুব কঠিন অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে ফ্লাডলাইটের আলোয় বল করা। প্রথম দুই সেশন ঠিক আছে। সমস্যা হচ্ছে তৃতীয় সেশন থেকে। অবিশ্বাস্য রকমের ডিউ-ফ্যাক্টর! গোলাপী বল ভিজে যাচ্ছে। গ্রীপ করতে সমস্যা হচ্ছে। একদম সুইং নেই। সেটি নিয়ে পরেরদিন যখন বল করতে যাই তখন আরও অবাক হই। বল এতটা নরম হয়ে ওঠে যে পিচ থেকে এতটুকু সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। সুইং-রিভার্স সুইং কিচ্ছু নেই।’ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ওয়াহাব। ওয়াহাব মন্দ বলেননি। মোহাম্মদ আমির, সোহাইল খান, ওয়াহাবকে নিয়ে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ যে কোন জায়গায় ভয়ঙ্কর। অথচ এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ২৫৯ রান তুলে জবাবটা ভালই দিচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই তিন উইকেটের দুটি আবার স্পিনার ইয়াসির শাহর। পাকিস্তানী বোলারদের সবালীলভাবে মোকাবিলা করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যারেন ব্রাভো (৮৭) আর মারলন স্যামুয়েলস (৭৬)। যদিও জার্মেইন ব্লাকউড (৩৭) ও রোস্টন চেইজকে (৬) ফিরিয়ে ওয়াহাবই দলকে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়দিন শেষে পাকিস্তানের ৫৭৯/৩ ডিক্লেঃ-এর জবাবে ৬ উইকেটে ৩১৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়াহাব আরও বলেন, ‘৫৫ ওভারের পর নতুন বল আমাদের কিছুটা সাহায্য করেছে। সোহাইল সেটি কাজে লাগিয়ে স্যামুয়েলসকে তুলে নেয়। কিন্তু রাতে ফ্লাডলাইটের আলোয় দু’দলের বোলারদের জন্যই বল করাটা অত্যন্ত কঠিন।’ ১৩ চারের সাহায্যে আক্রমণাত্মক ৭৬ রানের ইনিংস উপহার দেয়া স্যামুয়েলস বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। সময় নিয়ে ক্রিজে থাকতে পারলে ব্যাটিং করা সহজ। তবে রাতে ফ্লাডলাইটের আলোয় হঠাৎই বলের ফ্লাইট বুঝতে সমস্যা হয়! আমার বিশ্বাস আরও বেশি ডে-নাইট টেস্ট খেললে এই সমস্যা কেটে যাবে।’ আলোচিত ডে-নাইট টেস্টে বল যে বোলারদের শত্রু হয়ে উঠবে, তার প্রমাণ ছিল শুরু থেকেই। টস জিতে ব্যাটিং নেয়ার পর ক্যারিবীয়দের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন আজহার-সামি আসলাম, আসাদ শফিক, বাবর আজমরা।
×