ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গনের কবলে প্রাইমারী স্কুল ॥ ঝুঁকিতে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

ভাঙ্গনের কবলে প্রাইমারী স্কুল ॥ ঝুঁকিতে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৬ অক্টোবর ॥ ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন সময় নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুলটির খেলার মাঠ বারান্দা ভেঙ্গে পড়েছে নদীতে। একটি কক্ষে ফাটলের পাশাপাশি নিচের অংশ ভেঙ্গে গেছে। যেকোন সময় নদীতে মিশে যেতে পারে পুরো স্কুলটি। এরই মাঝে প্রাণের ঝুঁকিতে আর আতঙ্কে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্কুলটি দ্রুত স্থানান্তর না করা হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল পরিচালনা কমিটি। জানা গেছে, ফরিদপুর উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বড়াল নদীর কোল ঘেঁষে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারীকরণ হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ২২০ শিক্ষার্থীর পাঠদান। একটি মাত্র ভবনের চারটি কক্ষের একটিতে অফিস কক্ষ এবং বাকি তিনটিতে চলছিল পাঠদান। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে তিনটির মধ্যে একটি শ্রেণীকক্ষে দেখা দেয় ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল। এ বছরের বন্যায় সেই ফাটল বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুলের বারান্দার একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। শ্রেণীকক্ষটিও রয়েছে হুমকির মুখে। এমন অবস্থায় দেখা দিয়েছে শ্রেণীকক্ষের সঙ্কট। দুটি শ্রেণীকক্ষে ৬টি ক্লাস নেয়া হচ্ছে দুই শিফটে। ফলে দুর্ভোগ উঠেছে চরমে। স্রোতে শ্রেণীকক্ষ ভেঙ্গে যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা। বিকল্প উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি আর আতঙ্ক মাথায় নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে চলেছেন শিক্ষকরা। স্কুলের সহকারী শিক্ষক নয়ণমনি তামলী বলেন, গত এক বছর ধরে ফাটল ধরেছে। এবারের বন্যায় ফাটলটা বেশি হয়েছে এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। অপর সহকারী শিক্ষক পারুল খাতুন জানান, নদীর পাশে হওয়ায় স্কুলটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে ভয়ের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, স্কুলের দুর্দশার বিষয়টি বারবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা কয়েকবার স্কুলে এসে পরিদর্শনও করে গেছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি।
×