ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লিলি ইসলামের উৎসবের গানে মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

লিলি ইসলামের উৎসবের গানে মুগ্ধ শ্রোতা

গৌতম পাণ্ডে ॥ মিলনায়তনে শ্রোতার সংখ্যা কম। কিন্তু রাবিন্দ্রিক ভাবগাম্ভীর্যের কোন ঘাটতি নেই। রবীন্দ্রনাথের উৎসবকেন্দ্রিক গানগুলোতে ভিন্ন এক আবহ বিরাজ করছিল শনিবার সন্ধ্যায়। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী লিলি ইসলামের একক সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। শিল্পী লিলি ইসলাম আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানে তিনি উৎসবের গানগুলোই পরিবেশন করবেন। তার মতে দেশে এখন উৎসব উৎসব এক ভাব বিরাজ করছে। কিছুদিন আগে হয়ে গেল ঈদ উৎসব, তারপর শারদীয় উৎসব এবং শুরু হচ্ছে হেমন্তকাল। রবীন্দ্রনাথ শান্তি নিকেতনে যে উৎসবগুলো করতেন, সে উৎসব উপলক্ষে যে গান রচনা হতো তার কিছু গান তিনি পরিবেশন করেন। প্রথমেই গেয়ে শোনান কবিগুরুর শারদ উৎসব সম্পর্কিত গান ‘আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা-নবীন ধানের মঞ্জুরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা। এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে, এসো নির্মল নীলপথে’। শিল্পী শরতের আগমনী এ গানের মাধ্যমে যেন প্রিয় ঋতুর আনুষ্ঠানিক বিদায়ও জানালেন। হেমন্ত উৎসব সম্পর্কিত দ্বিতীয় গানের শিরোনাম ছিল ‘কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল’। এরপর তিনি একে একে পরিবেশন করেন ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’, ‘আজি যত তারা তব আকাশে’, ‘বিশ্ববিদ্যাতীর্থ প্রাঙ্গণ’, ‘যদি ঝড়ের মেঘের মতো আমি’, ‘আজি শুভ দিনে’, ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ’, ‘নিবিড় অমা তিমির হতে’, ‘ও আমার চাঁদের আলো’, ‘কী পাইনি তারই হিসাব’, ‘তুমি নব নব রূপে এসে প্রাণে’, ‘ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’, ‘ফিরে চল মাটির টানে’, ‘বাদলধারা হল সারা’ ও সব শেষে ‘অমল ধবল পালে লেগেছে’ উৎসব সঙ্গীত। আয়োজনের শুরুতেই আইজিসিসির পরিচালক জয়শ্রী কুন্ডু সদ্য প্রয়াত সাবেক সচিব ও লেখক রণজিৎ বিশ্বাস ও সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হককে স্মরণ করে বলেন, এই দুই গুণীর সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, দুজনই আমাদের অনুষ্ঠানে আসতেন। এ সময় জয়শ্রী জানান, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অনুষ্ঠান এখন থেকে গুলশানের পরিবর্তে জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি মাসে দুইবার জাদুঘরে দুটি সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
×