ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড  শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ অক্টোবর। তিন দিনের এ মেলা চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলা শুরু হচ্ছে ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ সেøাগান নিয়ে। মেলায় সর্বাধিকসংখ্যক বিদেশী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ উপস্থিত থাকবেন। রবিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’-এর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বিসিসির পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, এ্যাক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবির বনি আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রযাত্রা তুলে ধরতে আগামী ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত হবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করবেন। চতুর্থবারের মতো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করা হচ্ছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ই-কমার্স, ই-গবর্নেন্স, মোবাইল ইনোভেশন, সফটওয়্যার শোকেসিং এবং প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ জোন সংযুক্ত করা হয়েছে। মেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার হবে। এবারের আয়োজনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইসিটি ক্যারিয়ার বিষয়ক সম্মেলন হবে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়েও থাকবে ডেভেলপার কনফারেন্স। এবারের আয়োজনে পাঁচ লাখ দর্শনার্থী সমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি বিশেষভাবে স্থান পাবে। মেলায় নেপাল, উগান্ডা, ভুটান, সৌদি আরব, সুরিনাম, ভিয়েতনাম ও মালদ্বীপের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া এতে ১২৪ জন দেশী ও ৪৩ জন বিদেশী বক্তা অংশ নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিস (বেসিস) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচীর সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করছে বলে জানান পলক। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় দর্শনার্থীদের কোন প্রবেশ ফি দিতে হবে না। মেলার মোট প্রস্তাবিত খরচ ৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এ মেলা থেকে দেশের তরুণ-তরুণীরা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন। প্রতিটি সেমিনারেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখবেন। বিদেশ থেকে আসা তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের আলোচনা প্রযুক্তি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন টেক অফ করছে, উড্ডয়মান অবস্থায় রয়েছে। এটা এখন আর কাল্পনিক নয়, বাস্তব। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেয়ার পর এ সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। এখন ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন আর সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তথ্যপ্রযুক্তিসেবাকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তত্ত্বাবধান করছেন। মানুষ এখন বুঝতে পারছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে কত রকমের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ ৩৫ বছর বয়সের নিচে। এ জনগোষ্ঠীকে আমরা আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কেননা, আইসিটি হচ্ছে এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষকে চলমান ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করে। এখানে আইসিটিতে দক্ষ প্রতিটি মানুষই উদ্যোক্তা হতে পারে। তাই এর সম্ভাবনা অনেক। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জনগণের প্রবেশ অনেক সহজ। এতে সরকার জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে বাধ্য। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষ ঘরে বসেই ৪০ ধরনের সেবা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এ সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
×