ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনুমোদনহীন ভবন নোটিস ছাড়াই ভেঙ্গে ফেলুন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

অনুমোদনহীন ভবন নোটিস ছাড়াই ভেঙ্গে ফেলুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অনুমোদনহীন ভবন নোটিস ছাড়া ভেঙ্গে দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। সচিবালয়ে রবিবার বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সভায় রাজউকের কর্মকর্তাদের গহায়নমন্ত্রী বলেন, যে ভবনগুলো ইতোমধ্যে হয়ে গেছে বা যেগুলোতে ব্যত্যয় ঘটেছে, নিয়মমাফিক ভবন করা হয়নি এগুলো আপনারা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। মোশাররফ হোসেন বলেন, যদি এমন কোন ভবন থাকে যা কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে আপনারা এটাকে ‘উইদাউট গিভিং নোটিস’ (কোন নোটিস ছাড়া) ভেঙ্গে দেন। এভাবে কয়েকটা বিল্ডিং ভেঙ্গে দেন। ভাঙবেন কখন- বৃহস্পতিবার শুরু করবেন শনিবার শেষ করে দেবেন। লেবার যা লাগে আমরা দেব। তারপর তারা (বাড়ির মালিকরা) কোর্টে যাক। তিনি বলেন, আমার জায়গা আছে আমি বিল্ডিং করে ফেললাম, রাজউককে থোড়াই কেয়ার করলাম। তাহলে কিছু হলো। আমি নিয়মমাফিক কাজটি করলাম না। ১০তলার পারমিশন নিছি, করছি ১৫তলা। সাহস দেখিয়ে এ ৫তলা ভেঙ্গে ফেলেন। কোন নোটিস দেয়ার প্রয়োজন নেই।’ গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, যদি এমনকিছু কাজ করতে পারেন তবে মানুষের টনক নড়বে। তখন সবাই নিয়মের মধ্যে আসবে। মন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে একটা মেসেজ দিতে চাই, তা হলো অবৈধভাবে যারা জলাশয় ভরাট করছে, এটা রুখতে হবে। ইমিডিয়েটলি (দ্রুত) রুখতে হবে। জলাধার আইন প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করুন। সভায় উপস্থিত রাজউকের অথরাইজড অফিসারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমি দেখেছি কিছু কিছু জলাধার ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। নদীর পাড়ে (ঢাকার চারপাশে) যে সব নতুন ভবন দেখা যাচ্ছে, এগুলো পারমিশন নিয়েছে কিনা এটা আপনারা সাত দিনের মধ্যে সার্ভে করে দেখবেন। যদি কেউ পারমিশন না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় কোন ভবন করে থাকে সেগুলো ইমিডিয়েটলি বন্ধ করে দেবেন। ভবন নির্মাণের সময়ে আগে পিছনে যে জায়গা ছাড়ার নিয়ম তা কেউ মানে না জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, নিয়ম থাকলেও কোন ভবন ফুটপাত থেকে সাত ফুট ভিতরে দেখাতে পারবেন না। তাহলে এটা আমাদের গাফিলতি। আমরা দেখেও দেখি নাই। এ সময় মন্ত্রী রাজউক চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, এ ধরনের বিল্ডিং থাকলে আপনার সব অথরাইজড অফিসারদের কাছে ব্যাখ্যা চান। এটা কেন হলো? যেখানে আবাসিক এলাকা সেখানে আবাসিক এলাকা থাকবে, যা হয়ে গেছে তা তো হয়েই গেছে। সেখানে আর যেন অন্যরকম কিছু না হয় এটা খেয়াল রাখবেন। একটা হোটেল করতে সময় লাগে, একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করতে সময় লাগে। আমাদের এতগুলো অথরাইজড অফিসার, দশটা জোনে এত লোক থাকতে আমরা কেন পারব না। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদউল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আখতার হোসেন, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মোঃ আব্দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×