স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ভবিষ্যত উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশার পাশাপাশি নানান সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। শনিবার রাজধানীর গুলশানে বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার ল্যান্ডস্কেপ এবং সেটেলমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘পরবর্তী ঢাকা : এই শহরের নতুন লক্ষ্য’ শীর্ষক এক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব সীমাবদ্ধতার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যত কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে করা পরিকল্পনার বেশকিছু স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়। আগামী ১ থেকে ২০ নবেম্বর পর্যন্ত এ চিত্রপ্রদর্শনী চলবে। এ সময় উপস্থিত বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও গুলশান সোসাইটির সভাপতি এটিএম শামসুল হুদা, শিল্পপতি সালমান এফ রহমান, কূটনীতিক ড. এমএ মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুই মেয়রের উদ্দেশে বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য যা অতি প্রয়োজন তার গুরুত্ব অনুসারে আপনারা সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন। তিনি বুড়িগঙ্গা নদীর আধুনিকায়ন, কাওরানবাজার স্থানান্তর ও গুলশানের পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঢাকা আমাদের, তাই ভবিষ্যত ঢাকাকে বসবাস উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সকল কিছুই করতে হবে। সেজন্য দুই মেয়রকে প্রয়োজন অনুসারে পরিকল্পনামাফিক সামনের দিকে এগোতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক বলেন, জিডিপির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭। কিন্তু ব্যবহার অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা শহরের অবস্থান তৃতীয় বা চতুর্থ।
এর পেছনে ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিষয় উল্লেখ করে অন্য কয়েকটি দেশের শহরের জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ বাস করে, যা কোরিয়ার সিউল, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, সিঙ্গাপুরসহ অনেক শহরের চেয়ে অনেক বেশি।