ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে সহিংসতার জন্য দায়ী বিদেশী ইসলামপন্থীরা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

মিয়ানমারে সহিংসতার জন্য  দায়ী বিদেশী ইসলামপন্থীরা

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকটি সীমান্ত ঘাঁটিতে হামলার জন্য সরকার ইসলামপন্থী বিদেশী জঙ্গীসমর্থিত একটি গ্রুপকে দায়ী করার পর দেশে আরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনলাইনের। মিয়ানমারের সাবেক সামরিক সরকার গণতন্ত্রের জন্য এক দীর্ঘমেয়াদী উত্তরণ প্রক্রিয়া এবং আরও অবাধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা শুরু করার পর থেকে রাখাইন রাজ্য ধর্র্মীয় সংঘাতকবলিত হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালে এক রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় বৌদ্ধদের হাতে প্রাণ হারায় শতাধিক জাতিগত মুসলিম রোহিঙ্গা। ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম এখনও বাস করছে নোংরা শিবিরে। সরকার এদের নাগরিক বলে গণ্য করতে অস্বীকার করে এসেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন কাইয়ের অফিসের এক বিবৃতিতে শুক্রবার রাতে বলা হয়েছেÑ মাউংদ শহরে বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর জন্য আকামূল মুজাহিদীন নামের একটি গ্রুপ দায়ী। সহিংসতা অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে ওঠে ৯ অক্টোবর। ওই দিন হামলায় ৯ জন পুলিশ ও ৮ হামলাকারী নিহত হয়। হামলাকারীদের ২ জনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আটককৃতদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে অল্প পরিচিত একটি সংগঠনের নাম ওঠে এসেছে। সংগঠনটি ধর্মীয় চরমপন্থী মতাবাদকে ব্যবহার করে তরুণদের প্ররোচিত করছে এবং বিদেশী অর্থ সহায়তাপুষ্ট। বিবৃতিতে বলা হয়, সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছে মাউংদয়ের ক্ষুদ্র গ্রামের বাসিন্দা হাবিসতুহার নামের ৪৫ বছর বয়স্ক এক লোক। হাবিসতুহার পাকিস্তানে তালেবানের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। তার ৪ বোন ও ১ ভাই সৌদি আরবে বাস করে। আটককৃতরা এ কথাও বলেছে যে, হাবিসতুহার প্রায়ই ওই গ্রামে যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, হাবিসতুহার মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে তহবিল পায়। সরকার প্রায় পাঁচ মাস আগে বলেছে, কালিস নামে এক পাকিস্তানী নাগরিক মাউংদ গিয়ে হাবিসতুহারের রিক্রুট করা যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে। সরকার বলেছে, যুবক যোদ্ধাদের রিক্রুটের জন্য ইসলামিক স্টেট (আইএস), তালেবান ও আল কায়েদার মতো ইন্টারনেটে ভিডিও আপলোড করছে গ্রুপটি। সরকার বলেছে, মূল মুজাহিদীনে বর্তমানে ৪শ’ বিদ্রোহী রয়েছে। এরা মাউংদ লড়াই করছে। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সমর্থন ও সাহায্যে নিয়ে মাউংদয়ে চালানো ওই হামলা দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ফল। বিবৃতিতে বলা হয়, সশস্ত্র গ্রুপ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে মূল মুজাহিদীনের।
×