ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যাশার চেয়েও  বেশি অগ্রগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কয়েক বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে, বিশেষ করে হতদরিদ্র বিমোচনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। তবে আয়-রোজগারের দিক দিয়ে এগুলোও দরিদ্রতার বহুমাত্রিক সূচকের সবটিতে সমান অগ্রগতি না হওয়ায় তেমন সুফল মিলছে না দৈনন্দিন জীবনে। এ অবস্থায় স্থায়ীভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। তিন দশক আগে জামালপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন মাজেদা বেগম। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। বদলায়নি শুধু তার জীবিকা নির্বাহের উপায়। কাওরানবাজারে সবজি কেনাবেচার তার এ ব্যবসা থেকে প্রতিদিনের লাভের টাকা যোগ হয় সংসারের নিত্য ব্যয়ে। মধ্যম আয়ের দিকে যাওয়া বাংলাদেশে জীবিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এসব মানুষের গল্প কোন রূপকথা নয়। তবে আশার কথা হলো, গেল কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। যদিও প্রত্যাশা মতো পরিবর্তন আসছে না এসব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। এর কারণ হিসেবে এনজিওগুলো বলছে, দারিদ্র্য বিমোচনে সব সূচকে সমানতালে অগ্রগতি হচ্ছে না বাংলাদেশের। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে দরিদ্র মানুষের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছে দিতে পারছে না সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী হতদরিদ্র শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এসডিজিতে তা অর্জন করতে হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়ার পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের অবস্থান হতদরিদ্র সীমার নিচে।
×