ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সোনামসজিদ বন্দরের কাস্টম সঙ্কট নিরসনে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

সোনামসজিদ বন্দরের কাস্টম সঙ্কট  নিরসনে রাজস্ব বোর্ডের  চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ দীর্ঘ সময় ধরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদের নানান ধরনের সঙ্কট নিরসনে ছুটে আসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন শেষে মিলিত হন বন্দরের আমদানি রফতানি গ্রুপের একাধিক সদস্য, সিএ্যান্ডএফ এজেন্টসহ শ্রমিক গ্রুপের একাধিক নেতা ও রাজস্ব বিভাগের স্থানীয় ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাথে। দীর্ঘ সময় ধরে মত বিনিময় করেন বেসরকারী সংস্থা পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে ৭ অক্টোবর শুক্রবার। মূলত এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন কাস্টম এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশন রাজশাহী শাখা। মত বিনিময় সভায় রাজস্ব প্রধান বলেন, দেশের স্থলবন্দরগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজস্ব আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব বন্দরের উন্নয়ন প্রয়োজন। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই দেশের স্থলবন্দরগুলোর মান উন্নয়নের জন্য জরুরী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক বন্দর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিধায় সোনামসজিদ বন্দরে পণ্য খালাস নিয়ে সময়ক্ষেপণ ও অন্যান্য ভোগান্তি শীঘ্রই শেষ হবে। পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ স্ক্যানিং ওয়েব্রিজ সংক্রান্ত সেবা প্রদানে আধুনিক যন্ত্রপাতির সর্বশেষ অবস্থা ও চাহিদার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক আনিস আহম্মেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কর কমিশনার আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ) আব্দুর রউফ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য ফরিদউদ্দিন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাজ্জাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম ও এসপি টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম ও মিডিয়া কর্মীরা। এদিকে অপর এক মত বিনিময়ে সোনামসজিদ বন্দরে কাস্টমসের তীব্র জনবল সঙ্কটের বিষয়টি উঠে আসে। ৫৭ জন অনুমোদিত জনবলের স্থলে রয়েছে মাত্র ২৮ জন। যুগ্ম কমিশনারের পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। সহকারী কমিশনার চারজনের স্থলে দুইজন রয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তার ৪টি পদ খালি। রয়েছে দুইজন। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার পদ ২০টি রয়েছে ১০ জন। উচ্চতর সহকারী ৩ জনের স্থলে ১ জন রয়েছে। ক্যাশিয়ার মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী ৩টি পদে কোন লোক নেই। ড্রাইভার, সিপাই পদে ১০টি পদ খালি। অপর ছয়টি পদে কোন লোক দেয়া হয়নি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। নেই কোন নৈশ প্রহরী। তবে উপ-পরিদর্শক পদে একজনের স্থলে দুইজন রয়েছে। স্থলবন্দরে দিন দিন আমদানি রফতানি কার্যক্রম বাড়লেও জনবল বাড়ছে না। ভারতের মহদিপুর থেকে এই বন্দরে প্রতিদিন ৩ ’শর অধিক পণ্য ভর্তি ট্রাক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। ফলে রাজস্ব বিভাগের জনবল সঙ্কটের কারণে দিনের পর দিন পণ্য বন্দরে পড়ে থাকে। কাঁচামাল যায় পচে।
×