ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির। ডাল ও আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চিনির দাম বেড়ে আর কমছে না। শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও ভোক্তাদের তা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় দেশীয় জাতের মাছের দাম এখন চড়া। বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে কাঁচাবাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে না। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফকিরাপুল বাজারে এসে বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা সাঈদুর রহমান। তিনি বলেন, চালসহ বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। নিত্যপণ্যের দাম কমানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কোন নজর নেই। দোকানগুলোতে বস্তায় বস্তায় চাল থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। চল্লিশ টাকার নিচে কোন চাল পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন পেঁয়াজের দাম কম ছিল, এখন সেটির দামও বাড়তির দিকে রয়েছে। একমাত্র আলু ছাড়া ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি নেই। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাম বেড়ে সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৬৫-৫০০ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ এবং আমদানিকৃতটি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি। জানা গেছে, কোরবানির ঈদের পর থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেড়ে গেছে চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম। শুধু তাই নয়, অত্যাবশ্যকীয় এসব পণ্যের দাম কমানোর সরকারী নির্দেশনা থাকলেও তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং উল্টো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীদের এ অপকৌশলের কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে না। এ বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্যমূল্য নির্ধারণ এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও দাম চড়া। একমাত্র আলু ছাড়া সব ধরনের সবজি কিনতে ভোক্তাকে ৬০-৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, শীঘ্র দাম কমার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে।
×