ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রুবিনা বেগমের স্বীকারোক্তি...

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

রুবিনা বেগমের স্বীকারোক্তি...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইএইচএফ ট্রফি হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট বৃহস্পতিবার শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে শেষ হয়। ফাইনালে পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগেই স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। পুরুষ বিভাগে ভারত ৪৬-২৫ গোলে এবং মহিলা বিভাগে ভারত ৪৮-২৯ গোলে বাংলাদেশকে হারায়। সেন্ট্রাল ও সাউথ এশিয়ার দলগুলো নিয়ে হওয়া এ প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হওয়ায় আইএইচএফ ট্রফির পরের পর্বে খেলার সুযোগ পাবে না বাংলাদেশ। প্রতিটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে হয় পরের পর্ব। মহিলা বিভাগে ভারতের কাছে হেরে মুকুট হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানে হওয়া আইএইচএফ ট্রফির গত আসরে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেবার ওই আসরে ভারত অংশ নেয়নি। প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় পুরুষ দলের ফাইনাল। বাংলাদেশের ছেলেদের হার হলেও উপস্থিত দর্শকরা আশায় বুক বেঁধেছিল মেয়েদের ফাইনালে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। কেননা এর আগের আসরে যে তারা শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি। বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে পারেনি স্বাগতিক দল। বরং প্রথমার্ধেই যেন নির্ধারিত হয়ে যায় খেলার ভাগ্য। বাংলাদেশ দলকে অসহায়ভাবে গোল খেতে দেখে ভারতীয় দলের হয়তো বা কিছুটা ‘দয়া’ হয়ে থাকবে। তাদের দেখা যায় আক্রমণে ও রক্ষণে কিছুটা ঢিল দিতে। এই সুযোগে বাংলাদেশ দল কিছু গোল করে নিজেদের স্কোরটাকে কিঞ্চিৎ ভদ্রস্থ করার প্রয়াস পায়! ম্যাচ শেষে ভারত মহিলা দলের কোচ মণিষা রাঠোরের বক্তব্যেও সেটাই ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনায়াসেই জিতেছি। বাংলাদেশ দলকে একেবারেই সাধারণ মানের বলে মনে হয়েছে।’ বিষয়টা অস্বীকার করেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রুবিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘ওদের দলের সবাই একই স্কুলে পড়ে। সারা বছর একসঙ্গে অনুশীলন করে। তাই ওদের বোঝাপড়াটা বেশ ভাল। এই টুর্নামেন্টের জন্য যেখানে ওরা দুইমাসের প্রস্তুতি নিয়েছে, সেখানে আমাদের প্রস্তুতি ছিল মাত্র ১৫ দিনের।’ ঊষা ক্লাবের হয়ে খেলেন রুবিনা। গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। গত আড়াইমাস ধরে চাকরি করছেন বাংলাদেশ পুলিশে। হ্যান্ডবল খেলা শুরু করেন ২০০৯ সাল থেকে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফাইনালে আমরা ফর্মেশন কাজে লাগাতে পারিনি। ওরা পেরেছে ভালমতোই। আমরা বলতে গেলে ওদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম সব বিভাগেই। কি কৌশলে, কি গতিতে, কি ফিটনেসে ...। এছাড়া দমের ঘাটতিতেও ভুগেছি আমরা।’ খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ কামরুল ইসলাম কিরণ বলেন, ‘আজকের (বৃহস্পতিবার) খেলা দেখে বুঝলাম ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আসলে ওদের অনুশীলনের সুবিধা, যে ধারাবাহিকতা, তা অনেকদিন ধরেই এ রকম। এসব বিষয় আমাদের ক্ষেত্রে একেবারে বিপরীত। ওদের হ্যান্ডবল একাডেমি আছে, অধিকাংশ খেলোয়াড়ও সেখান থেকে আসে, আমাদের এ ধরনের কোন একাডেমি নেই। নিয়মিত অনুশীলনও করতে পারি না। পার্থক্যটা এখানেই।’ বাংলাদেশ পুরুষ দলের অধিনায়ক মোঃ ইমরান বলেন, ‘ওদের চেয়ে আমরা সবকিছুতেই পিছিয়ে। আমাদের গোলকিপিং, ডিফেন্স, শূটিং যথাযথ ছিল না। কাউন্টার এ্যাটাকও রুখতে পারিনি। আসলে এটা আমাদের লজ্জার হার।’
×