ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট সিরিজ, শীর্ষ অলরাউন্ডারের খেতাব পুনরুদ্ধারের মিশন

বোলিংয়ে বাংলাদেশের ভরসা সাকিব

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

বোলিংয়ে বাংলাদেশের ভরসা সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন টেস্ট না খেলার কারণে শীর্ষস্থান হারাতে হয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিংয়েরও সুযোগ পাননি সাকিব আল হাসান। টানা ১৪ মাস বিরতি দিয়ে আবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে খেলবেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক ১৪৭ উইকেট শিকারি বাঁহাতি সাকিব ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজে অন্যতম ভরসা। কারণ আর কোন স্বীকৃত ও নিয়মিত স্পিনার বর্তমান স্কোয়াডে নেই। আর অলরাউন্ডার হিসেবে তার ব্যাটিংয়ের ওপর বাড়তি একটা নির্ভরতা তো আছেই। টেস্ট সিরিজে তাই সাকিবের ওপর বাংলাদেশ দলের অন্যতম আস্থা। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দলের পেসাররা দারুণ ভূমিকা রাখলেও এবার টেস্ট সিরিজে পেসারের অভাব বোধ করবে স্বাগতিকরা। অন্যতম নির্ভরতার নাম মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরির কারণে নেই। তাই বোলিং বিভাগের সম্পূর্ণ দায়িত্বটাই এবার সাকিবের কাঁধে। সাগরিকার মাঠটায় শুরু হবে বাংলাদেশের এবং সাকিবের টেস্টে প্রত্যাবর্তনের পালা। এখানেই সর্বশেষ যে টেস্ট বাংলাদেশ খেলেছিল সেটা বৃষ্টির দাপটে চারদিনই মাঠে বল গড়ায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ব্যাট করতে পেরেছিল বাংলাদেশ এবং সাকিব ৩৫ রান করেছিলেন। কিন্তু এক ইনিংসই শেষ হয়নি। সেখানেই যেন আবার শুরু হবে সাকিবের। তখনও বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার হিসেবেই সিরিজ শেষ হয়েছিল তার। কিন্তু এরপর আর বাংলাদেশ দল কোন টেস্ট না খেলার কারণে পিছিয়ে গেছেন সাকিব। একাধারে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি২০, ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার অভূতপূর্ব কীর্তি গড়া এ বাঁহাতি এখন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে গেছেন। তবে এবার সুযোগ সেটা পুনরুদ্ধারের জন্য নিজের রেটিং বাড়ানোর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ কিছু করে অশ্বিনকে ধরে ফেলার সুযোগ সাকিবের। আর এক্ষেত্রে বোলিংয়ে নিজের পয়া ভেন্যুটাকেই পাচ্ছেন তিনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৪১ উইকেট নিয়ে এ ভেন্যুর সেরা টেস্ট বোলার তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটেও এ ভেন্যুর সেরা সাকিব। এরচেয়ে বড় কথা টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং নৈপুণ্যটাও তিনি এই সাগরিকাতেই করে দেখিয়েছেন। ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর শুরু হওয়া টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রান দিয়ে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। সে কারণে আবারও নিজের বোলিংয়ের জন্য দারুণ বান্ধব উইকেট সাগরিকায় সাকিব জ্বলে উঠবেন এমন প্রত্যাশা দলের। আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনিই সফলতম বোলার। ৪ টেস্টে বোলিং করে ইংলিশদের বিরুদ্ধে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে অবশ্য ইংলিশদের বিরুদ্ধে তেমন সুবিধা করতে পারেননি কখনও। মাত্র ২৫.২৫ গড়ে ২০২ রান করতে পেরেছেন। একটিই মাত্র অর্ধশতক আছে ইংলিশদের বিরুদ্ধে খেলা ৮ ইনিংসে। তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে সাকিবের বাঁহাতি স্পিনটাই বেশি কার্যকর ভূমিকায় দেখতে উন্মুখ থাকবে বাংলাদেশ দল। কারণ, আর কোন নিয়মিত স্পিনার আপাতত বাংলাদেশ দলে নেই এবং বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং করার মতো পেসারও যথেষ্ট নেই। এ কারণে দুই টেস্টের সিরিজে সাকিবই অন্যতম ভরসা।
×