ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও হারের বৃত্তে শেখ রাসেল

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

আবারও হারের বৃত্তে শেখ রাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে আবারও মাঠে গড়িয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ।’ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের। খেলায় আরামবাগ ১-০ গোলে জয় কুড়িয়ে নেয় শেখ রাসেলকে হারিয়ে। নিজেদের দশম ম্যাচে এটা আরামবাগের তৃতীয় জয়। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো। উন্নতি ঘটেছে এক ধাপ। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা রাসেলের সপ্তম হার। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে আগের একাদশ অবস্থানেই। গত ২৯ আগস্ট মোহামেডানকে হারিয়ে কাক্সিক্ষত প্রথম জয় কুড়িয়ে নিয়ে হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমের লীগ শিরোপাধারী শেখ রাসেল। দলটির সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেনÑ এই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু কোথায় কি! আবারও সেই হারের বৃত্তে আটকে গেল দলটি। শুক্রবার দশম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে (লীগের ম্যাচ নং ৫৫) হারলেও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলেছে তারা। কিন্তু খেললে কি হবে, এত আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়েও ফিনিশারের অভাবে আগের ম্যাচগুলোর মতোই ধুঁকতে হয়েছে বড় বাজেটের দলটিকে। তবে প্রথমার্ধে আরামবাগও পাল্লা দিয়েই খেলে। যদিও গোল করার মতো প্রথম আক্রমণ ছিল রাসেলেরই। ম্যাচের তখন ১৮ মিনিট। রাসেলের মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়া কর্নার করেন। সেই বল হেড করেন ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি। কিন্তু তার জোরালো হেডটি আরামবাগের গোলপোস্টের সামান্য উঁচু দিয়ে বাইরে চলে যায়। ২৪ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করে রাসেল। বক্সে বিদলি ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরীর শট আটকে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। ২৮ মিনিটে আরামবাগের বক্সের বাঁদিক দিয়ে ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি ক্রস করেন। সেই বলে মিঠুন শট নেন, সেটা আবার রনির পায়ে লাগালেও সেই বল পোস্টের বাইরে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৭ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় আরামবাগ। শেখ রাসেলের বক্সে বল ফেলেন আরামবাগের ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল। সেই বল ধরে বাঁপায়ে উঁচু শট নেন আরামবাগের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার থিয়াগো টাইসন। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে আশ্রয় নেয় জালে (১-০)। ইনজুরি টাইমে আরও একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিলের এই ব্রাজিলিয়ান। বক্সে ঢুকে বাঁপায়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বল দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় গোল হজম থেকে দলকে রক্ষা করেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া শেখ রাসেল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায়। ৪৭ মিনিটে রাজুর কর্নার থেকে পেনাল্টি সীমানায় ব্যাকভলি করতে গিয়েও বলের নাগাল পাননি মিঠুন চৌধুরী। ৫১ মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার ক্রসে ইকাঙ্গার হেড চলে যায় মাঠের বাইরে। ৫৩ মিনিটে বল নিয়ে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে থাকেন আরামবাগের জাফর ইকবাল। বক্সে ঢুকে শট নেন। কিন্তু সেই বল সহজেই গ্রিপে নেন রাসেলের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ৫৪ মিনিটে রাসেলের মিঠুনের কর্নার বক্সে হেড নেন ইকাঙ্গা, তবে দক্ষতার সঙ্গেই বল গ্রিপে নেন আরামবাগের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। ৫৫ মিনিটে মোনায়েম খান রাজু মাঝমাঠ থেকে বল পাঠান আরামবাগের বক্সে। ইকাঙ্গা হেড দিয়ে বল পাঠান সতীর্থ ফরোয়ার্ড রনির কাছে। কিন্তু রনির বাঁপায়ের ভলি চলে যায় মাঠের বাইরে। ৫৮ মিনিটে ফ্রি কিক পায় রাসেল। বক্সের খুব কাছ থেকে শট নেন রনি। কিন্তু সেই বল আরামবাগের রক্ষণ দেয়ালে লেগে ফেরত আসে। এর কিছুক্ষণ পর বাঁপ্রান্ত থেকে মিঠুনের বাড়িয়ে দেয়া বল ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে শট নেন রনি। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় শট। ৮১ মিনিটে বক্সের কাছে ফ্রি কিক পেয়েও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আরামবাগের টাইসন। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আরামবাগ।
×