ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শ্যামল-কৃষ্ণের ১২ মাস কাটে তবলায়

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

শ্যামল-কৃষ্ণের ১২ মাস কাটে তবলায়

আধুনিক বাদ্যযন্ত্র বিলুপ্তি ঘটাতে পারেনি প্রাচীনকালের তবলাকে। সাংস্কৃতিক চর্চায় আজও তবলা রয়েছে বহাল তবিয়তে। তেমনই এলাকা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা। এ উপজেলার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাই সবচেয়ে বেশি পূজা ম-প হয় এ উপজেলায়। এখানে এমন কোন ঘর নেই যেখানে ঢোল, তবলা ও হারমোনিয়ামের ব্যবহার নেই। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের তবলা তৈরির কারিগর শ্যামল দাস। বংশ পরম্পরায় ৩০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। বলেন, তার পূর্বপুরুষ তবলা, ঢাকসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছে। ফলে তিনিও এ পেশাকে আঁকড়ে ধরেছেন। বছরের বারোমাসই তিনি তবলা তৈরি ও মেরামত করে পাঁচ সদস্যের সংসার নিয়ে স্বাচ্ছন্দেই আছেন। শ্যামল দাস ছাড়াও এখানে আরও দশ তবলা তৈরির কারিগর রয়েছে। একইভাবে বাবা কার্তিক চন্দ্র দাসের পেশাকে আঁকড়ে ধরে গৌরনদী পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দরে বাদ্য ভবন নামের প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষ্ণ চন্দ্র দাস। বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে তবলা, হারমোনিয়াম, ঢোলসহ বিভিন্ন ধরনের নতুন বাদ্যযন্ত্র বিক্রি ও পুরনো বাদ্যযন্ত্র মেরামতসহ সকল তালবাদ্যের চামড়া বিক্রি হয়। তিনি আরও বলেন, পাঁচ শ্রমিক নিয়ে তিনি বারোমাসই এ কাজে ব্যস্ত থাকেন। =খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে
×