ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী ৩১ রানে

হোয়াইটওয়াশ অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

হোয়াইটওয়াশ অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কেপটাউনের নিউল্যান্ডসের দিকে ক্রিকেট বিশ্বের বিশেষ নজর ছিল বুধবার। কারণ একটি ইতিহাস হতে যাচ্ছে। সেই ইতিহাস দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গৌরবের, আর অস্ট্রেলিয়ার জন্য চরম লজ্জার। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কখনও অসিরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বরণ করেনি। কিন্তু সেই কলঙ্ক তাদের উপহার দিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ডময় ১৭৩ রানের ইনিংসের পরও ৩১ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম কোন দল ৫-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় করল। প্রথম ব্যাট করে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ১২২ রানে ৮ উইকেটে ৩২৭ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা। জবাবে ওয়ার্নারের একক লড়াইয়ে আর কেউ সঙ্গী হতে না পারায় অসিদের ইনিংস ৪৮.২ ওভারে গুটিয়ে গেছে ২৯৬ রানে। নিউল্যান্ডসে শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল এ ম্যাচে দারুণ কিছু করেই স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং নিল ঠিকই, কিন্তু ৫২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গেল। কুইন্টন ডি কক (১২), হাশিম আমলা (২৫) ও ফাফ ডু প্লেসিস (১১) ফিরে গেলেন মূলত ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা তরুণ পেসার জো মেনির দারুণ বোলিংয়ে। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ১৭৮ রানের জুটি গড়ে রুশো ও জেপি ডুমিনি দলকে বিপদ থেকে বাঁচালেন। এটি ছিল এ মাঠে যে কোন উইকেট জুটির দ্বিতীয় সেরা পার্টনারশিপ। ডুমিনি ৭৫ বলে ৮ চারে ৭৩ রান করে ফিরতি স্পেলে ফেরা মেনির বলেই সাজঘরে ফেরেন। তবে এরপর ডেভিড মিলার ২৯ বলে ৪ চারে ৩৯ রান করলে তিন শতাধিক রান পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। রুশো ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১১৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর প্রোটিয়া ইনিংস আরও বড় হয়নি মূলত তরুণ অসি পেসার ক্রিস ট্রিমেইনের দুরন্ত বোলিংয়ে। শেষ ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারালেও অবশ্য ৮ উইকেটে ৩২৭ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে মেনি ৪৯ রানে এবং ট্রিমেইন ৬৪ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নামার পর অসিদের গল্পটা শুধু ওয়ার্নারকে ঘিরেই। একক লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। দলীয় ৭৫ রানেই তিনটি উইকেট হারায় তারা। ওয়ার্নারের সঙ্গে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন মিচেল মার্শ চতুর্থ উইকেটে ৬৪ এবং পঞ্চম উইকেটে ট্রাভিস হেড ৯০ রানের জুটি গড়ে। কিন্তু এ দু’জনও ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলে বিদায় নেন। প্রোটিয়া বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ কিংবা আত্মাহুতি দেন অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু একাই লড়ে গেছেন ওয়ার্নার এবং দলের জয়ের স্বপ্নও বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
×