ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার টেস্ট সিরিজের পালা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

এবার টেস্ট সিরিজের পালা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে সিরিজ শেষ। বাংলাদেশ ১-২ ব্যবধানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে। এবার সামনে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে। দুই দলেরই এবার টেস্ট সিরিজে খেলতে নামার পালা। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়া দিয়েই টেস্ট সিরিজের বল মাঠে গড়াবে। এরপর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৮ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে। টেস্ট সিরিজে দুই দলেরই অধিনায়ক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব দেবেন এ্যালিস্টার কুক। অপরদিকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন মুশফিকুর রহীম। ইংল্যান্ডের টেস্ট দল ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশের টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়নি। আজ ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। এরপর আবার রবিবার থেকে আরেকটি দুইদিনের ম্যাচ শুরু হবে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি দেখার পরই বাংলাদেশের টেস্ট দল ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন পুরো টেস্ট দল একসঙ্গে অনুশীলন করতে নামবে। তবে টেস্ট দলে যে মুশফিক, সহঅধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস থাকবেন, তা নিশ্চিতই। এর বাইরে স্পেশালিস্ট স্পিনার কোটায় তাইজুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রুবেল ও জুবায়ের হোসেন লিখনের মধ্যে কে কে থাকেন, সেই দিকেই সবার নজর থাকছে। ওপেনার কোটায় শাহরিয়ার নাফীস না সৌম্য সরকার, তা আজ শুরু হতে যাওয়া প্রস্তুতি ম্যাচেই বোঝা যাবে। প্রস্তুতি ম্যাচে নৈপুণ্য করার ওপর সাব্বির রহমান রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অথবা নুরুল হাসান সোহানেরও এবার টেস্টে খেলার সুযোগ মিলতে পারে। পেস আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমান নেই। তাই এ বিভাগে মোহাম্মদ শহীদ, রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বির সম্ভাবনাই বেশি। শফিউল ইসলামকেও দেখা যেতে পারে। ইংল্যান্ডের দল ঘোষণার আগে দল নিয়ে এত ভাবনায় পড়তে হচ্ছে না। তারা দল আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে। দলে কুকের সঙ্গে মঈন আলী, বেয়ারস্টো, জ্যাক বল, বাটলার, ডাকেট, আদিল রশিদ, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, জাফর আনসারি, গ্যারি ব্যালেন্স, গ্যারেথ ব্যাটি, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্টিভেন ফিন, হাসিব হামিদ ও জো রুট রয়েছেন। ওয়ানডে সিরিজ খেলে টেস্টের দলে না থাকা ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ড চলে গেছেন। ওয়ানডে দলে না থাকলেও টেস্টে থাকা ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে এসে এখন চট্টগ্রামে আছেন। আজ প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার জন্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ইংলিশ ক্রিকেটাররা প্রস্তুতিও নিয়েছেন। ঠিক তেমনি প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে থাকা বিসিবি একাদশের সৌম্য সরকার, শাহরিয়ার নাফীস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শুভাগত হোম, নুরুল হাসান, রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু জাহিদ রাহি, এবাদত হোসেন ও সাদমান ইসলামও প্রস্তুত হয়েছেন। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ শেষেই দুইদিন বিরতি দিয়ে শুরু হয়ে যাবে টেস্ট সিরিজ। যে সিরিজে স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিট ইংল্যান্ড। ২০১০ সালের পর সাড়ে ৬ বছর পর আবার বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। তাতেই বাজিমাত করেছে। ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে। এবার টেস্ট সিরিজ খেলতে নামার পালা। টেস্টে এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। দুই দলের মধ্যকার চারটি টেস্ট সিরিজে দুটি করে ৮টি ম্যাচ হয়। প্রতিটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এরমধ্যে দেশের মাটিতে ২০০৩ ও ২০১০ সালে এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০০৫ ও ২০১০ সালে সিরিজ খেলে হারে। প্রতিটি ম্যাচেই আবার ‘গো-হারা’ হারে বাংলাদেশ। ইনিংস ব্যবধানে তিনটি হারতো আছেই। সঙ্গে ১৮০ রান কিংবা ৭ উইকেটের নিচে ব্যবধানে কোন হার নেই। তবে এখন বাংলাদেশ দল অনেক পরিণত। টেস্টেও ভাল দল হয়ে উঠছে। মাশরাফি যদিও টেস্ট দলে নেই। সেই ২০০৯ সাল থেকেই নেই। তবুও মাশরাফির আশাবাদ শুধু ভাল খেলা নয়, টেস্টেও জেতার বিশ্বাস আছে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে মাশরাফি বলেছেন, ‘টেস্টে আসলে সবকিছুই নির্ভর করে প্রথম ইনিংসের ওপর। ব্যাটিং কিংবা বোলিং যাই হোক না কেন। আমার শুভেচ্ছা তাদের (বাংলাদেশ) সঙ্গে থাকবে। আমার বিশ্বাস আমরা ভাল করব। আমরা যদি প্রথম ইনিংসে যে কোন কিছুতে ভাল করি, আমাদের জেতার সুযোগও থাকবে।’
×