স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস॥ অবৈধ ব্লাড ব্যাংক পরিচালনা, মেয়াদত্তীর্ণ রক্ত ও ওষুধ রাখা এবং চিকিৎসকদের রেফারেন্স ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রোগী ভর্তি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অপব্যবস্থাপনার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খুলনার বেসরকারী গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ওই হাসপাতালের এক ফার্মেসি মালিককে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে র্যাব-১ এবং র্যাব- ৬ এর যৌথ অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে র্যাব-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ এই জরিমানা করেন। এ সময় র্যাব-৬ খুলনার পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নানসহ র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, র্যাব-১ ও র্যাব-৬ সদস্যরা বুধবার বেলা ১২টা থেকে ওই হাসপাতালে অভিযান শুরু করে। এ সময় হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ থেকে ২৩ ব্যাগ রক্ত, বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টসহ (প্যাথলজি পরীক্ষার কেমিক্যাল) অন্যান্য ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে টেকনিশিয়ানের স্বাক্ষর করা প্যাথলজি রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়। আরও বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। অভিযান শেষে র্যাব-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় ওই হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমানসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এ সময় তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ভবিষ্যতে এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়াসহ সংশ্লিষ্টদের জেলে পাঠানো হবে।
এর পর অভিযুক্ত গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান, পরিচালক ডাঃ সুভাষ কুমার সাহা, উপপরিচালক ডাঃ মাহবুবুল হক, ল্যাব ইনস্ট্রাক্টর বাহারুল আলম, ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট জেমস তরুণ সরকার এবং হাসপাতাল ভবনের ডেল্টা ফার্মেসির মালিক নাসির উদ্দিনকে র্যাব-৬ খুলনার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জরিমানার টাকা প্রদান করে তারা ছাড়া পান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: