ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক সেনা কর্মকর্তা হত্যা

প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়নি, রহস্য এখনও পরিষ্কার নয়

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়নি, রহস্য এখনও পরিষ্কার নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াজি আহমেদ চৌধুরী হত্যাকা-ের প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়নি। ফলে খুনের প্রকৃত রহস্য এখনও পরিষ্কার নয়। হত্যাকা-ের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন নিহতের এক ফুফাত ভাই, যিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ লন্ডন প্রবাসীই মামলার মূল আসামি গৃহকর্মী আব্দুল আহাদকে কাজের লোক হিসেবে ওই বাড়িতে দিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর কাফরুল থানায় নিহতের ভাতিজা রেশাদ আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে নিহতের বাড়ির গৃহকর্মী আব্দুল আহাদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিহত ওয়াজি আহমেদ চৌধুরী (৭৬) ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। নিহতের স্ত্রী আতিয়া চৌধুরী বছরছয়েক আগে মারা যান। তাদের বড় ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী (৪৪) প্রায় এক দশক ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। ছোট ছেলে ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী (৪০) বাকপ্রতিবন্ধী। তাকে নিয়েই ওয়াজি আহমেদ চৌধুরী ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার ৪ নম্বর সড়কের ১৪৮ নম্বর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যার খানিক পর ফুয়াদ বাড়ি ফিরে তার পিতাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি দ্রুত তার পিতাকে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, উদ্ধারকালে লাশের গলায় কালো দাগ এবং বুকের বাঁ পাশে আর ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গত ৭ অক্টোবর ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ জানান, ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর গলায় রশি পেঁচিয়ে পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি আব্দুল আহাদকে গ্রেফতার করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। আহাদকে মাত্র দুই মাস আগে নিহত ওয়াজি আহমেদের এক ফুফাত ভাই গৃহকর্মী হিসেবে ওই বাড়িতে পাঠান। ওই ফুফাত ভাই লন্ডন প্রবাসী। তিনিও সন্দেহের উর্ধে নয়। কারণ বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে আহাদকে তিনি তার ফুফাত ভাইয়ের বাড়িতে কাজের লোক সাজিয়ে পাঠিয়েছিলেন কি-না তা স্পষ্ট নয়। এজন্য নিহতের ওই ফুফাত ভাই সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি তার নাম প্রকাশ করেননি। তবে সবই স্পষ্ট হবে আহাদ গ্রেফতার হওয়ার পর।
×