ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘কুঁজো’

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বিএনপি এখন কুঁজোদের’ দলে পরিণত হয়েছে; এই দল নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আওয়ামী লীগকে হটানো যাবে না। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ভোট ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার এক বছর পর সরকার হটানোর আন্দোলন চালিয়েও ব্যর্থ হয়। বিএনপি এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে এলেও তাতে গা করছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শাজাহান খান বিএনপি এবং তাদের পাশাপাশি সংলাপের দাবি জানিয়ে আসা অন্য দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, কার জন্য সংলাপ? কীসের জন্য সংলাপ? সংলাপটা তারা করতে চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে রক্ষার জন্য। নাশকতার আন্দোলনের কারণে বিএনপি দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এগুলো করে তারা বৈতরণী পার হতে পারেনি। আজকে বিএনপি কুঁজোর দলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কুঁজোর চিৎ হয়ে শোবার সাধ জাগলেও তা কোনদিনই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আজকে বিএনপির আন্দোলন করার সাধ জাগছে, কিন্তু আন্দোলন করতে পারছে না। জনগণের জন্য রাজনীতি, মানুষের জন্য রাজনীতি; সেই মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরেছেন, সেই মানুষ কি জাগবে? সেই কারণেই বলছি, বিএনপি এখন কুঁজোর দল। তাদের দিয়ে আর আন্দোলন হবে না। বিব্রতকর স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের জঙ্গীবাদবিরোধী অবস্থানে বিএনপি বেশ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের নেতাকর্মীর কথায় যা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক সময় তারা বাংলাভাই, শায়ক রহমান সৃষ্টি করেছিল। পত্র-পত্রিকায় বাংলাভাইদের কথা লেখা হলেই বলা হলেই তখন বলা হতো জঙ্গীবাদ মিডিয়ার সৃষ্টি। এখন বিএনপি বলার চেষ্টা করছে সবই সরকারের সৃষ্টি। জঙ্গী সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যেসব তথ্য বেরিয়ে আসবে তা সরকারের জন্য বিব্রতকর হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই তাদের তাৎক্ষণিকভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিদিন আমরা খবর পাই, এখানে জঙ্গী আস্তানা বইলা লোক মারা যাচ্ছে, ক্রসফায়ার হচ্ছে, অমুক হচ্ছে, তমুক হচ্ছে। কিন্তু যাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে তাকেই মেরে ফেলা হচ্ছে। মানুষ সন্দেহ করতেছে, তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে এজন্য যে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এমনসব লোকের নাম বের হয়ে আসতে পারে, যেটা সরকারের জন্য এমবারাসিং (বিব্রতকর) হবে। হ্যাঁ, হতে পারে। আমরা তো দেখলাম এর মধ্যে তো তাদের দলের লোকজন, নিজস্ব লোকজন তো আছে। জঙ্গীবাদের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে নজরুল বলেন, জঙ্গীবাদের আমরাই সবচেয়ে বেশি বিরোধী। আমরা জঙ্গীবাদের শুধু ডালপালা নয়, মূল উৎপাটন চাই। আমরা জঙ্গীবাদের অবসান চাই, দ্রুত অবসান চাই। এবার থ্রি? স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন এক সময় মাইনাস টু’র প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলছেন- না, কেউ আমার কথা বলে না। তখন আসলে আমাকেও মাইনাস করার চেষ্টা করা হয়েছে। সঙ্গত কারণে মাইনাস টু না এটা হবে মাইনাস থ্রি। তখনও রব তোলা হয়েছিল এরা রাষ্ট্র পরিচালনায় ভীষণ স্বেচ্ছাচারী বলেই এদের রাজনীতি পরিত্যাগ করা উচিত। কিন্তু পরে সেসব কিছু ভুল প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। এখন এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি ‘শহীদ জেহাদ দিবসে’ সোমবার এক আলোচনা সভায় বলেছেন “এদেশটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একার দেশ নয়, এদেশটা শেখ হাসিনার একার দেশ নয়, এদেশটা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একার দেশ নয়; এটা আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, এখন প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। ফলে সকলকে এগিয়ে এসে এটা প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, এই দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। কেউ তার ইচ্ছামতো এ দেশকে ধ্বংস করবে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে, মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে, আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে যাবে- আর আমরা বসে বসে সেটা দেখব, সেটা হতে পারে না।
×