ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাগত শি জিনপিং ॥ ত্রিশ বছরের মধ্যে আজ ঢাকা সফরে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

স্বাগত শি জিনপিং ॥ ত্রিশ বছরের মধ্যে আজ ঢাকা সফরে আসছেন চীনের  প্রেসিডেন্ট

তৌহিদুর রহমান ॥ ঢাকা-বেজিংয়ের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজ শুক্রবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ২৫টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের ‘আস্থার প্রতীক’ বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা। ৩০ বছরের মধ্যে এটাই প্রথম কোন চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর। শি জিনপিং কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসবেন। দুদিন সফর শেষে ঢাকা থেকে তিনি ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবেন। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৯ জনের মতো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকে ইতোমধ্যেই মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কং জুয়ানইউ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। শি জিনপিংয়ের এই ঢাকা সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে একটি মাইলস্টোন। শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও ভারত সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক কার্যক্রমের অংশ। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার করা। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ৩০ বছরে এটি কোন চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে ১৯৮৬ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লি জিয়ানিয়েন ঢাকা সফর করেন। শি জিনপিং ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা এবং ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফর করেন। চীনা প্রেসিডেন্টের সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব গণচীনের নেতৃবর্গের ভূয়সী প্রশংসা ও গভীর আস্থা অর্জন করেছে; যার প্রেক্ষিতে গণচীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকারের প্রাজ্ঞ কূটনৈতিক পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিরাজমান সম্পর্ককে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার অংশ হিসেবে ত্রিশ বছর পরে এটাই গণচীনের কোন প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর। আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, গণচীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, অত্যন্ত নিবিড় এবং নানাবিধ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চাশের দশকে দু’বার বঙ্গবন্ধুর গণচীন সফরের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল ২০১০ এবং ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে সেই সম্পর্ক আরও গভীর, নিবিড় ও ব্যাপক অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার রূপ নিয়েছে। চার দশক ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ-অবকাঠামো বিনির্মাণে গণচীনের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে গণচীনের বিনিয়োগ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে গণচীনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২৫টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুত ও জ্বালানি, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, ভৌত অবকাঠামো, সড়ক-সেতু, রেল যোগাযোগ ও জলপথে যোগাযোগ, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর হবে। একই সঙ্গে, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সমুদ্রসম্পদসহ দুর্যোগ মোকাবেলা, জলবাযু পরিবর্তন বিষয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সংযোজিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বহু দশক পরে চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের আস্থার প্রতীক। এই সফর বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের স্মারক এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে এক ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা করবে। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্বেগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু শুনিনি। আমি এ বিষয়ে কিছু জানিও না। চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের ফলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তা মনে করি না। চীনের প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে বাংলাদেশ যোগ দেবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। শি জিনপিংকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। অভ্যর্থনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি জেট চীনের প্রেসিডেন্টের বিমানকে এসকর্ট করে নিয়ে আসবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একুশবার তোপধ্বনির পর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল সফররত প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি দু’দেশের মধ্যকার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। শি জিনপিংকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে আপ্যায়ন করবেন। চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-বেজিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে। ২০১৫ সালে ঢাকা-বেজিং কূটনৈতিক সম্পর্কের চল্লিশ বছর পূর্তি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ৪০ বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক পূর্তি উপলক্ষে গত বছরই ঢাকায় আসার কথা ছিল চীনা প্রেসিডেন্টের। তবে বিভিন্ন কারণে চীনা প্রেসিডেন্টের সফর পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আজ শুক্রবার তিনি ঢাকায় আসছেন। শি জিনপিং এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তখন তিনি চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এদিকে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা প্রেসিডেন্টকে ঢাকা সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লি জিয়ানিয়েন ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এরপর প্রায় ত্রিশ বছর কোন চীনা প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে আসেননি। তিন দশক পর চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরে আসছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফর নিয়ে ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে এই সফর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কেননা, শি জিনপিং শুধু চীনের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও দেশটির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানও। শি জিনপিং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান এবং রাজনৈতিক ও বাজার অর্থনীতির সংস্কার প্রসঙ্গে খোলামেলা নীতির জন্য খ্যাত। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাবা চীনা কমিউনিস্ট গেরিলা আন্দোলনের নেতা ছিলেন। শি জোংশুন পরবর্তীতে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। চীনের শুরুর দিককার প্রসিদ্ধ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সন্তানদের মধ্যে যারা সেদেশের রাজনীতিতে এসেছেন তাদের মধ্যে শি জিনপিংকে সবচেয়ে সার্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর সামনে রেখে দুই দেশের মধ্যে ২৫টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে যেসব চুক্তি সই হবে, তার পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিষয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে যে চুক্তি হবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনও আলোচনা চলছে। তবে দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সহযোগিতা তার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুত প্রকল্পই বেশি। এসব প্রকল্পের মধ্যে রেল খাত, সড়ক পরিবহন, বিদ্যুত, জীবনমান উন্নয়ন, জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প খাত রয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে রাজপথ। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তির বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও শোভা পাচ্ছে। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার কারণে আজ শুক্রবার সকাল দশটা থেকে শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়কে খিলক্ষেত ক্রসিং থেকে মুনমুন কাবাব (পদ্মা অয়েল) ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম অংশ (আউটগোয়িং) বন্ধ থাকবে। শুধু পূর্ব অংশ দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী বিমানবন্দরসহ আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহ্ উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখিত সময়ে ঢাকামুখী দূরপাল্লার বাস ও ট্রাককে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে এয়ারপোর্ট রোড ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিকল্প রাস্তা দিয়ে দূরপাল্লার যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশ করতে আব্দুল্লাহপুর ও ধউর থেকে বেড়িবাঁধ-মিরপুর শাহআলী মাজার রোড হয়ে গাবতলী সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরসূচী ॥ চীনা প্রেসিডেন্ট আজ শুক্রবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবেন। সেখান থেকে তিনি হোটেলে ফিরে যাবেন। বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শি জিনপিং। এছাড়া বঙ্গভবনে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শি জিনপিং। আগামীকাল শনিবার সকাল নয়টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এছাড়া সরকারী কর্মসূচীর বাইরে কোন একফাঁকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ারও একটি বৈঠক হতে পারে।
×