ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গলে ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের ভয়ঙ্কর ধূলিঝড়

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১২ অক্টোবর ২০১৬

মঙ্গলে ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের ভয়ঙ্কর ধূলিঝড়

অনলাইন ডেস্ক॥ আর কয়েক বছর পরেই মানুষ মঙ্গলগ্রহে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আর তাই মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া নিয়েও মাথা ঘামাতে হচ্ছে মানুষকে। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই মঙ্গলে ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের ধূলিঝড়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। মঙ্গলগ্রহের ঝড় পৃথিবীর চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। পৃথিবীতে যেমন ঝড় দ্রুত থেমে যায় তেমনটা মঙ্গলগ্রহে ঘটে না। গ্রহটিতে একবার বিশাল ঝড় হলে তা চলতে থাকে কয়েক মাস পর্যন্ত। আর এ কারণে সমগ্র গ্রহটির বায়ুমণ্ডল যেন ধুলোবালিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর সে অবস্থায় মঙ্গলগ্রহে কেউ বসবাস করতে গেলে তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতীতে মঙ্গলগ্রহের এ ঝড় সম্পর্কে মানুষের তেমন কিছু জানা ছিল না। কিন্তু এখন গবেষকরা সে ঝড় সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন। আর এ কাজে তারা বেশ সাফল্যও পেয়েছেন। গবেষকরা সম্প্রতি বিভিন্ন লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন মঙ্গলগ্রহে একটি প্রচণ্ড ঝড় আসছে। এ ঝড়ে প্রচণ্ড ধুলো উড়বে। আর এর মাত্রা এতই ব্যাপক হবে যে, সম্পূর্ণ গ্রহটির বায়ুমণ্ডল ধুলোতে পরিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক জেমস শির্লি বলেন, ‘মঙ্গলগ্রহ অক্টোবরে ২৯ তারিখে ধুলোঝড়ের সিজনের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলগ্রহের জলবায়ুর ধারা বিশ্লেষণ করে এটি অনুমান করা যাচ্ছে যে, এ সময় প্রচণ্ড ধুলোঝড় হবে। আর এটি কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।’ মঙ্গলগ্রহে প্রায়ই ছোট ছোট ধুলোঝড় হয়। তবে এ ধুলোঝড় ছাড়াও সম্পূর্ণ মঙ্গলগ্রহে ঝড় হয়ে থাকে। এ ধরনের ঝড় পৃথিবীতে দেখা যায় না। মঙ্গলগ্রহে বড় আকারের এ ঝড় হয়ে থাকে যখন গ্রহটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্তানে থাকে। মঙ্গলগ্রহের ধুলোঝড় গ্রহটিকে প্রায় ঢেকে ফেলে। আর এ ধরনের সবচেয়ে শক্তিশালী ধুলোঝড় দেখা যায় ২০০৭ সালে। সে সময় এমনকি সৌর প্যানেলগুলোও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে মানুষ মঙ্গলগ্রহে অভিযান পরিচালনা করতে পারে। সে অভিযানে মঙ্গলগ্রহে যেন বিপদে পড়তে না হয় সেজন্য গবেষকরা এখন বাড়তি নজর দিচ্ছেন গ্রহটির জলবায়ু ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে। গ্রহটির বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা থাকলে সে অভিযান নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
×